२७ का, ७ छांन s-akussisse di ব্রাহ্মেরা বলেন যে সকলেই এক কারণ }ম্বারা লোকে যোগাভ্যাস করে তথা যোগ হইতে নির্গত ও সকলেরই গন্তব্য স্থান সেই একই। এই জন্যই ব্রাহ্মধৰ্ম্মের মূল মন্ত্র সেই ব্ৰহ্মপ্রতিপাদক ওঁকার । সেই ওঁঙ্কারপ্রতিপাদ্য যে পরমদেবতা তাহাই ব্রাহ্মদিগের আরাধ্য ও তাহাই তাহাদিগের সেব্য। যোগ শাস্ত্রে লিখিত अiुझ e
- ক্লেশকৰ্ম্মবিপাকাশয়ৈরপরামৃষ্টঃ পুরুষবিশেষ ঈশ্বরঃ । তত্র নিরতিশয়ং সৰ্ব্বজ্ঞ বীজং। স এৰ পূৰ্ব্বেষামপিগুরুঃ। কালেনানবচ্ছেদtৎ । তস্য বাচকঃ প্রণবঃ। তজ্জপস্তদৰ্থভাবনম্। পাতঞ্জল দর্শন ১ পাদ ২৪—২৮ স্বত্র।
অর্থাৎ যে পরম পুরুষ সর্বপ্রকার ক্লেশ কৰ্ম্মফল তথা সংস্কার সম্বন্ধ রহিত ও যিনি জীব হইতে বিশেষ অর্থাৎ ভিন্ন তিনিই ঈশ্বর । সেই ঈশ্বর সম্পূর্ণ জ্ঞানের কারণ স্বরূপ। পূর্বোক্ত গুণযুক্ত পরমেশ্বরই পূর্ব মহর্ষিগণের উপদেষ্ট এবং কাল বা সময় কর্তৃক তিনি খণ্ডিত হন না। অর্থাৎ তিনি পূর্বতন ঋষিগণের হৃদয়ে অধিষ্ঠিত হইয়া সত্যধৰ্ম্মের প্রচার করিয়াছেন। এখন ও যদি কেহ তাহার শরণাপন্ন হয় তাহা হইলেও তিনি কৃপা পূর্বক তাহার হৃদয়ে প্রকাশিত হন । সেই পরমেশ্বরের বাচক প্রণব বা ওঁকার। প্রণব বাচক ও ঈশ্বর বাচ্য। এই সাঙ্কেতিক বাচকরূপ ওঁকারে ঈশ্বরের অনেক নাম একত্রে প্রকাশ পায় । এই জন্যই পুরাতন ঋষিদিগের ইহা এত অাদরের ধন। এই প্রণবের অর্থ বিচার পূর্বক সেই প্রণববাচ্য ঈশ্বরকে চিন্তা করিলে যোগী সাধক বা ভক্তের চিত্ত একাগ্র হয় এবং ইহাকেই প্রকৃত উপাসনা কহে । উপনিষদে লিখিত আছে— স্বাধ্যায়াদুয়োগমালীৎ যোগাৎস্বাধ্যায়মামনেৎ। স্বধ্যায়যোগসম্পত্ত্যা পরমাত্মা প্রকাশ্যতে ॥ স্বাধ্যায় অর্থাৎ বেদ বা প্রণবের জপ বা সমাধিস্থ হইয়া লোকে জপ বা পর মাত্মার স্বরূপ ধ্যান করে । স্বাধ্যায় ও যোগবলে পরমাত্মা হৃদয়ে প্রকাশিত হন অর্থাৎ যোগী বা ভক্ত পূর্ণ ব্ৰহ্মজ্ঞান প্রাপ্ত হন । শাস্ত্রে লিখিত আছে—
- ওমিতিব্ৰহ্ম সৰ্ব্বেহুস্মৈ দেব বলিমাহরস্তি । মধ্যে বামনমালীনং বিশ্বে দেবাউপাসতে ॥ । অর্থাৎ ব্রহ্ম ওঁকারপ্রতিপাদ্য, সমস্ত দেবতা অর্থাৎ বিদ্বানগণ ইহারই পূজা করিয়া থাকেন। জগতের মধ্যস্থিত পূজনীয় পরমাত্মাকেই নিয়ত সমস্ত বিদ্বান সাধু ঋষি যোগীরা উপাসনা করিয়া থাকেন। এখন দেখুন ব্রাহ্মেরা কেবল একমাত্র সার পদার্থ গ্রহণ করিতে ইচ্ছা করেন। র্তাহারা বৃথা আশায় বাগাড়ম্বরে কালক্ষেপ করিতে চাহেন না। র্তাহারা সর্বদাই সেই পরমপিতার অনুগত থাকিয়া হৃদয়ের সর্বস্বধন যে পরম প্রেম তাহাই তাহাকে উপহার দিয়া শান্তি সুখে কাল যাপন করিতে বাসনা করেন। ব্রাহ্মেরা সৰ্ব্বদাই ঈশ্বরের অধীনে থাকিতে ভালবাসেন । র্তাহারা নিশ্চয় জানেন যে পরমাত্মার কৃপা ব্যতীত কোন বিষয়ে কৃতকাৰ্য্য হওয়া যায় না এই জন্যই তাহারা ঈশ্বরকে অনন্যগতি জানিয়া সৰ্ব্বদাই তাহার শরণাপন্ন হইয়া থাকেন। হে মিত্রগণ ! এই ব্রাহ্মধৰ্ম্মই সাধুদিগের হৃদয়ের ধন । যাহা সত্য তাহ অবশ্যই নিত্য । ব্রহ্ম যে সত্য স্বরূপ তাহা সকল ধৰ্ম্মশাস্ত্রই একবাক্যে স্বীকার করেন । এই পরব্রহ্ম-উপাসনাই সকল ধৰ্ম্মের সারাংশ । এখন কেহ এরূপ প্রশ্ন করিতে পারেন যে যদি সমস্ত ধৰ্ম্মের সারাংশ এক হয় তবে ভিন্ন ভিন্ন ধৰ্ম্ম হইবার কারণ কি ? ইহার উত্তরে আমি এইমাত্র বলিতে চাই যে, সমস্ত ধৰ্ম্মের বহিরঙ্গ
