পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (ত্রয়োদশ কল্প তৃতীয় খণ্ড).pdf/৪৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

जॉबf $w * e এক নহে। সমস্ত সাম্প্রদায়িক ধৰ্ম্ম মধ্যে যে সত্য বা সারাংশ আছে তাহাই এক ও তাহাই সত্য ধৰ্ম্ম বা ব্রাহ্মধৰ্ম্ম । যে আচরণ ও ক্রিয়া দ্বারা ব্রহ্মবস্তু নিরূপণ বা ধারণ করা যায় তাহাই ব্রাহ্মধৰ্ম্মের প্রতিপাদ্য। ধৰ্ম্ম বলিতে গেলেই তাহার সহিত পরব্রহ্মের অচ্ছেদ্য সম্বন্ধ থাকা বুঝায় তাহাতে আর কিছুমাত্র সন্দেহ নাই । যে ধৰ্ম্মের সহিত পরব্রহ্মের সম্পর্ক নাই তাহা ধৰ্ম্ম নহে তাহ বাস্তবিক উপধৰ্ম্ম । অতএব ভ্রাতৃগণ আপনারা ষে ধৰ্ম্মবলে পরব্রহ্মের সাক্ষাৎকার লাভে সমর্থ হন তাহারই অনুসরণ করুন। এই বেদ উপনিষদাদি লিখিত সত্যধৰ্ম্মের আলোক দ্বারা পূৰ্ব্বতন আৰ্য্য ঋষিরা সেই অনাদি সত্যং জ্ঞানমনন্তং ব্রহ্মকে হৃদয়ে ধারণ করিতে সক্ষম হইয়াছিলেন । সেই পরম অালোকই ব্রাহ্মধৰ্ম্মের পথপ্রদর্শক । সেই

  • তমীশ্বরাণাং পরমং মহেশ্বরং ।” ব্রাহ্মদিগের একমাত্র আরাধ্য দেবতা ও তিনিই তাহাদিগের একমাত্র বাঞ্ছনীয় পরম বস্তু ও হৃদয়ের সর্বস্ব ধন। এখন জিজ্ঞাসা করি যদি সেই পরম দেবতা ব্রাহ্মদিগের উপাস্য হন ও সেই ব্ৰহ্মপ্রাপ্তির উপায়ই ইহাদিগের ধৰ্ম্ম হয়, তবে কি এই ব্রাহ্মধৰ্ম্ম নবীন ! কখনই নহে। তবে কি ব্রাহ্মধৰ্ম্ম খৃষ্টীয় ধৰ্ম্মের অঙ্গ ? কখনই নহে। এই ব্রাহ্মধৰ্ম্ম কস্মিন কালে কোন ধৰ্ম্মের অঙ্গ নহে। ইহা স্বতঃই সত্যধৰ্ম্ম স্বরূপ । বলিতে কি, এই ব্রাহ্মধৰ্ম্মবলেই ভারতসন্তান উপধৰ্ম্মের হস্ত হইতে নিস্কৃতি পাইয়াছেন । যে সময় ভারত সন্তানেরা আপনাদিগের সনাতন ব্রাহ্মধৰ্ম্ম ভুলিয়া গিয়া জড়োপাসক

হইয়। জড়বুদ্ধি প্রাপ্ত হন, সে সময় যদি উপদেশ । மறகமா 8S প্রাতঃস্মরণীয় রামমোহন রায়কে প্রেরণ পূর্বক সনাতন আর্য্য ধৰ্ম্মের পুনরুদ্ধার না করিতেন, আর র্যাহাঁকে আমি পিতার ন্যায় সম্মান করি ও গুরুর ন্যায় ভক্তি করি, যিনি বর্তমান সময়ে ব্রাহ্মধৰ্ম্মের স্তম্ভ স্বরূপ, যিনি অতুল ঐশ্বৰ্য্যের অধিপতি হইয়াও অষ্ট প্রহর সমাধিস্থ হইয়া রহিয়াছেন, যাহাতে শিশুর সরলতা, বৃদ্ধের গাম্ভীষ্য, সত্যের প্রতাপ, লক্তের ভক্তি, সাধুর মিষ্টালাপ ও বিদ্বানের অভিমানশূন্যতা একত্র দেদীপ্যমান রহিয়াছে সেই মহর্ষি দেবেন্দ্রন: . ঠাকুরের দ্বারা সেই ধৰ্ম্মকে রক্ষা না করিতেন, তবে নিশ্চয় বলিতে পারি এত দিনে খুষ্টধর্মের স্রোত এদেশে কেহই নিবারণ করিতে পারিত না। এই ব্রাহ্মধৰ্ম্ম খৃষ্টের উৎপত্তির বহুকাল পূর্বে জগতে বিশেষতঃ আৰ্য্যভূমিতে প্রচলিত ছিল । ংসার ধৰ্ম্ম প্রতিপালন ও ধৰ্ম্ম যাজন ঈশ্বরপ্রাপ্তির সাধন । অtহারাদি ধৰ্ম্মের সাক্ষাৎ অঙ্গ না হইলেও সাত্ত্বিক আহার করা ধাৰ্ম্মিকের কর্তব্য । সাত্ত্বিক আহারে মনুষ্যের সত্ত্বগুণ বৃদ্ধি পক্ষে কিঞ্চিৎ সহায়তা করে কিন্তু তা বলিয়া সাত্ত্বিক আহার করিয়া অধৰ্ম্মাচরণ করিলে ধৰ্ম্ম সঞ্চয় হয় না। আজ কাল এদেশের অনেক মনুষ্য হিংসা দ্বেষ ঘৃণা অসন্তোষ আদি সমস্ত মন্দ গুণ পোষণ করিয়া বাহ্য স্নান ও নিরামিষ ভোজনকে ধৰ্ম্ম বলিয়া স্বীকার করেন । ইহঁার। আপনাদিগকে মহান পুণাত্মা জ্ঞান করিয়া অহঙ্কারে মত্ত হন । বাস্তবিক ধৰ্ম্ম সাধনে আন্তরিক শুদ্ধতা চাই, বাহ শুদ্ধি তত আবশ্যক করে না । ইহাতে এরূপ মনে করিবেন না যে আমি বাহিরের সাধনগুলিকে একবারেই অকৰ্ম্মণ্য বলিয়া ত্যাগ ঈশ্বর কৃপা পূর্বক জগতের কল্যাণার্থে | করিতে বলি। বাহিরের শুদ্ধি অন্তর