পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (ত্রয়োদশ কল্প তৃতীয় খণ্ড).pdf/৪৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

षषिं १४४e Ράμι Αυάund ব্রহ্মোপাসনা করিতেন । মহাত্মা জনক রাজা হইয়াও ঋষিশ্রেষ্ঠ রূপে খ্যাত হয়েন । অতএব যদি লোকে ইচ্ছা করেন তবে তিনি এখনও ব্রাহ্মধৰ্ম্ম সেইরূপে যাজন করিতে পারেন । جھے سے ہے ইন্দ্রিয়নিগ্ৰহ । ( পূর্বপ্রকাশিতের পর । ) যোগশাস্ত্রে উভয় প্রকার যোগেরই উল্লেখ আছে । সাংখ্যদর্শনে লিখিত অাছে যে যদিচ অষ্টাঙ্গ যোগ অর্থাৎ যম, নিয়ম, আসন, প্রাণায়াম, প্রত্যাহার, ধারণা, ধ্যান ও সমাধি জ্ঞানের সাধন স্বরূপ তথাপি মুখ্যাধিকারীর পক্ষে যম, নিয়ম, আসন, প্রাণায়াম ও প্রত্যাহার এই পঞ্চাঙ্গ যোগ তত আবশ্ব ক হয় না, কারণ র্তাহারা রেন অর্থাৎ যাহার। উত্তমাধিকারী তা জ্ঞানসাধন থাকেন । পাতঞ্জল যোগশাস্ত্রে বলে “যোগশ্চিত্তবৃত্তিনিরোধঃ” অর্থাৎ মনের বৃত্তি সকলকে নিরোধ বা রুদ্ধ করার নাম যোগ । এই মনোবৃত্তি আবার পাচ প্রকার, যথা बुखनिः श्रेक्ष्ठशाः ह्निर्हे! बङ्क्षिtः । প্রমাণৰিপৰ্য্যয়বিকল্পনিদ্রাস্তৃতয়ঃ ॥ যোগ শাস্ত্র সমাধিপাদ ৫ ৷ ৬ ৷ বৃত্তি পাচ প্রকার, এবং এই পঞ্চধা বৃত্তি আবার ক্লিষ্ট ও অক্লিষ্ট এই দুই ভাগে বিভক্ত। অর্থাৎ রাগ দ্বেষ মোহ আদি বৃত্তি সংসার-দুঃখের কারণ এজন্য ক্লিষ্ট বলা যায় এবং অপর মৈত্রী ইন্দ্রিানিগ্ৰহ উাছার পরিবারবর্গের সহিত একত্রে | করুণ বৈরাগ্যাদি রিলে যোগসিদ্ধি হইয়া থাকে । কেবল ধারণা ধ্যান ও সমাধি দ্বারাই | জ্ঞান ও যোগ সিদ্ধি লাভ করিতে পা- ; 8V) o সংসার-দুঃখের নাশক বলিয়া অক্লিষ্ট সংজ্ঞা প্রাপ্ত হয়। পুনশ্চ প্রমাণ বিপৰ্য্যয় বিকল্প নিদ্রা ও স্মৃতি এই পাঁচ প্রকার মনের বৃত্তি। প্রত্যক্ষ অনুমান ও শব্দ প্রমাণকে প্রমাণ বৃত্তি বলে । যে জ্ঞান মিথ্যা অর্থাৎ যাহা পদার্থদর্শনের পর অন্যথা হইয়া যায় এই মিথ্য জ্ঞানকে বিপর্ময়-বৃত্তি বলে। বাস্তবিক পদার্থ নাই অথচ কোন শব্দ প্রয়োগ জন্য যে একপ্রকার আকাশকুসুমবৎ মনোবৃত্তি জন্মে তাহাকে বিকল্পবৃত্তি কহে । যে অজ্ঞানে সমস্ত মনোবৃত্তি লীন হয় তাহার আশ্রয় লইয়া যে মনোবৃত্তি উদিত থাকে তাহাকে অর্থাৎ তৎকালের তমোবৃত্তিকে নিদ্রাবৃত্তি বলে। প্রমাণবৃত্তির ংস্কারকে স্মৃতিবৃত্তি বলে । যোগকালে এই পাঁচ প্রকার মনোবৃত্তি নিরুদ্ধ কমহর্ষি কপিল ও এবিষয় স্বীকার করেন। কারণ সাংখ্য দর্শনে লিখিত আছে “রক্তি নিরোধাত্তৎসিদ্ধিঃ” অর্থাৎ মনোবৃত্তি নিহার কেবল বৈরাগ্য সহিত ধ্যান হইতেই । যোগে সিদ্ধিলাভ . করিয়া । রোধ দ্বারা সিদ্ধি লাভ হয় । এখন এই মন কিরূপে নিগৃহীত হয় তদ্বিষয়ে কিছু বলিতেছি । কোন কোন নবীন আচার্যের মত এই যে মনকে যথেচ্ছ কাম্য বস্তু উপভোগ করিতে দিবে। যখন মন উক্ত বিষয় ভোগ করিতে করিতে স্পৃহাশূন্য হইবে তখনই আপনা আপনি निशूशैङ হইবে । অন্য কোন এক আচার্য্যের মত যে বল পূর্বক কৰ্ম্মেন্দ্রিয়গণকে সংযত করিলেই কাৰ্য্যসিদ্ধি হয় । এই छूझे *ItԵրৰ্য্যের মত তাদৃশ প্রশস্ত নহে। কারণ প্রথমতঃ কাম্য বস্তুর উপভোগ দ্বারা বাসন। নিবৃত্তি হয় না । ভগবান মনু বলিয়াছেন,

  • ন জাতু কামঃ কামানামুপভোগেন শাম্যতি । হৰিষ কৃষ্ণবক্সেৰ ভূয় এবাতিবৰ্দ্ধতে " .