পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (ত্রয়োদশ কল্প তৃতীয় খণ্ড).pdf/৫৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

# 58 שג ' ইন্দ্রিয়মিগ্রহ . . 8.పి

  • श्ऊriलेि ऊTां★ी कब्र क6या । এখন অপরিগ্রহ সম্বন্ধে শাস্ত্রকার কিরূপ কহিয়াছেন তাহা বলিতেছি । আমার ७३ इफेक, खेश श्छेक श्ऊाॉनि छूফাকে পরিগ্রহ বলা যায়। অতএব যাহা দেহ রক্ষার্থে একান্ত আবশ্যক তাহ ভিন্ন অন্য সমস্ত ত্যাগ করাকে অপরিগ্রহ কহে । শাস্ত্রে লিখিত আছে “দেহরক্ষাতিরিক্তভোগসাধনাস্বীকরণং অপরিগ্রহং” । অর্থাৎ দেহরক্ষার অতিরিক্ত ভোগ সাধন দ্রেব্য অস্বীকার করাকেই অপরিগ্রহ বলা

যায় । এখন যম কহাকে বলে সামান্য রূপে কথিত হইল । সম্প্রতি নিয়ম কাহাকে বলে বলিতেছি । পাতঞ্জল যোগ শাস্ত্রে লিখিত আছে “শোঁচসন্তোষতপঃস্বাধ্যায়েশ্বরপ্রণিধাননি নিয়মাঃ ।” অর্থাৎ শৌচ, সন্তোষ, তপস্যা, স্বাধ্যায় ও ঈশ্বর প্রণিধান এই পাচটা ক্রিয়ানুষ্ঠানকে নিয়ম বলে । শৌচ শব্দে পবিত্রতা বুঝায়। এই শোচ বাহ্য ও আভ্যন্তর রূপ দুই ভাগে বিভক্ত । বাহ্য শোচে বাহিরের বস্তু যথা গৃহ বস্ত্র শয্যাদি তথা স্থূল শরীরের পবিত্রত বা শুদ্ধি বুঝায়। যোগীর পক্ষে রাগদ্বেষ পক্ষপাতাদি পরিত্যাগ পূর্বক অন্তর তথা জল মৃত্তিকা আদি দ্বারা স্থল শরীর ও অপরাপর আবশু্যক পদার্থ গুলিকে পবিত্র রাখা অবশ্য কর্তব্য । ইহাকেই শোচ কহে। সন্তোষ শব্দে তৃপ্তি বুঝায় অর্থাৎ যাহা অনায়াসে লভ্য তাহাতেই পরিতৃপ্ত থাকিবে । এইরূপ সন্তোষ অভ্যাস করিয়া সিদ্ধ হইলে যোগী এক প্রকার উপমারহিত মহৎ মুখ প্রাপ্ত হন যাহা অপরে প্রাপ্ত হইতে পারে না। অর্থযুক্ত প্রণব মন্ত্রের ধানকে তপস্যা কহে । যোগী তপোনিষ্ঠ হইলে অর্থাৎ শাস্ত্রবিহিত তপস্যায় | | | | রত হইলে শরীর ও ইঞ্জিয়ের আবরণ নষ্ট হইয়া যায় অর্থাৎ শরীর ও ইন্দ্রিয়ের উপর যোগীর সম্পূর্ণ ক্ষমতা জন্মে। স্বাধ্যায় অর্থে বেদাদি শাস্ত্রের পাঠ ও সৎবিচার বুঝায়। ঈশ্বরে চিত্ত নিবেশ করাকে ঈশ্বরপ্রণিধান বলে । এই ঈশ্বরপ্রণিধান যখন যোগীর পলি-কিতা প্রাপ্ত হয় তখন তিনি অন্য স*পন না করলেও উৎকৃষ্টতর সমাধিলাভ করিতে পwরন । এই ঈশ্বর প্রণিধাণকেই ভক্তিযোগ বলে । কাষ্ঠলোষ্ঠাদিকে ঈশ্বর বলিয়া গ্রহণ করিয়া ভক্তি শ্রদ্ধা করি.ে তাহাকে ঈশ্বরপ্রণিধান বা ভক্তিযোগ বলে না । এখন নিযম কাহাকে বলে তাহ সামান্যরূপে কথিত হইল। অষ্টাঙ্গ যোগের তৃতীয় অঙ্গ আসন । পাতঞ্জল দর্শনে লিখিত আছে “স্থিরমুখমাসনমূ ।” অর্থাৎ চিত্তে কোন রূপ উদ্বেগ বা বিঘ্ন না জন্মে এরূপ ভাবে উপবেশন করার নাম আসন। অভ্যাস দৃঢ় হইলে আসন করিতে কোনরূপ ক্লেশ হয় না । এখন প্রাণায়াম কাহাকে বলে বলিতেছি । যোগশাস্ত্রে লিখিত আছে, ‘তস্মিন সতি শ্বাস প্রশ্বাসয়োগতিবিচ্ছেদঃ প্রাণfয়ামঃ ।” অর্থাৎ আসন স্থির হইলে যে শ্বাস প্রশ্বাসের গতি অবরোধ হয় তাহাকে প্রাণায়াম বলে । অথবা শ্বাস প্রশ্বাসের স্বাভাবিক গতি ভঙ্গ করিয়া শাস্ত্রোক্ত নিয়ম মুসারে অধীন করা বা স্থান বিশেষে বিধৃত করাকে প্রাণtয়াম বলে । এই প্রাণায়াম তিন প্রকার, যথা বাহ্যবৃত্তি, অভ্যস্তর বৃত্তি ও স্তম্ভবৃত্তি। অর্থাৎ শরীরস্থ বায়ুকে বাহিরে স্থাপন করার নাম বাহ বৃত্তি বা রেচক । বাহিরের বায়ু নিশ্বাস দ্বারা অাকর্ষণ করিয়া শরীর মধ্যে পূর্ণ করাকে অভ্যন্তর বৃত্তি বা পূরক