পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (ত্রয়োদশ কল্প তৃতীয় খণ্ড).pdf/৫৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

6 o' কহে । রেচক ও পূরক কোন কাৰ্য্যই না করিয়৷ অন্তরস্থ প্রপূরিত বায়ুকে শরীর মধ্যে অবরোধ করাকে অভ্যন্তর বৃত্তি বা কুম্ভক বলে। এই তিন প্রকার প্রাণায়াম দেশ কাল ও সংখ্যার দ্বারা দীর্ঘ ও সূক্ষরূপে সিদ্ধ হইতে দেখা যায়। কেহ কেহ ইহাকেই চতুর্থ প্রাণায়াম বলে। প্রাণায়াম সিদ্ধ হইলেই চিত্তকে যথেচ্ছ নিয়োগ করা যায়। তখন চিত্তের যথার্থ স্বভাব, স্বরূপ অথবা পূর্ণ প্রকাশ শক্তি আবিষ্কৃত হয় এবং এই জন্যই প্রাণায়াম সিদ্ধি দ্বারা ধারণা শক্তি জন্মে । এখন প্রত্যাহার কি তাহা বলিতেছি । যোগশাস্ত্রে লিখিত আছে “স্ব স্ব বিষয়সম্প্রয়োগাভাবে চিত্তস্বরূপানুকার ইতীন্দ্রিয়াণাং প্রত্যাহারঃ । ততঃ পরমবপাতেন্দ্রিয়াণামৃ” অর্থাৎ চক্ষুরাদি ইন্দ্রিয় রূপাদির প্রতি ধাবিত হয় অর্থাৎ তাহাতে আসক্ত হয়, সেই ইন্দ্রিয়াদির আপন আপন বাহগতি (মুখ) ফিরাইয়া আনা অর্থাৎ তাহাদিগের সেই আসক্তি নষ্ট করাকে প্রত্যাহার বলে । অর্থাৎ যখন ইন্দ্রিয়গণ আপন আপন কাৰ্য্য অর্থাৎ পদার্থ গ্রহণ বিমুখ হইয়। চিত্তের অনুযায়ী হইয়া চলে তাহাকেই প্রত্যাহার বলে । উপরোক্ত পাচট যোগাঙ্গ যোগের বহিরঙ্গ অর্থাৎ ধ্যান ধারণা ও সমাধিরূপ অন্তরঙ্গের প্রধান সহায় । এখন ধারণ কি তাহা বলিতেছি । যোগশাস্ত্রে লিখিত আছে “দেশবন্ধশ্চিত্তস্য ধারণ্য ।” অর্থাৎ চিত্তকে নাসাগ্র হৃদয়াদি দেশ বিশেষে বন্ধন করার নাম ধারণা। রাগ দ্বেষাদিশূন্য হইয়া মৈত্রাদি ভাবনার দ্বারা শুদ্ধচিত্ত হইয়া, যম নিয়মাদি সিদ্ধ হইয়া, তৎপরে আসন আয়ত্ত করিয়া, প্ৰাণগতি বশীভূত করিয়া যোগী পদ্মাসন আদি যোগাসনে উপবেশন করেন । তৎপরে তত্ত্ববােধিনী পত্রিক - _ _ --------- یات-Ir— SSASAS SS TMMS SSSSSS ইন্দ্রিয়গণকে আপন আপন বিষয় হইতে । প্রত্যাহার করিয়া যোগী মনের সহিত মিশাইয়া দেন । তৎ পরে নাসাগ্র ভ্রমধ্যে হৃদপদ্মাদি আধ্যাত্মিক প্রদেশে চিত্তকে স্থির রাখেন । ফলতঃ ধারণ করার নাম ধারণা। সেই ধারণা যদি স্থায়ী হয় তবে ক্রমে তাহাই ধ্যান হইয়া দাড়ায় । এখন । ধ্যান কাহাকে বলে বলিতেছি । • “তত্র প্রত্যয়ৈকতনতা ধ্যানম্ ॥” অর্থাৎ হৃদয় আদি অাধ্যাত্মিক প্রদেশে যে ধ্যেয় বস্তুর জ্ঞান হয় তাহাকে ধ্যান বলে । অথবা ধারণীয় পদাথে যখন চিত্তবৃত্তির একতানতা জন্মে তাহাকেই ধ্যান বলে। অর্থাৎ ধারণা যদি প্রবাহাকারে প্রবাহিত হয় তবে তাহাকেই ধ্যান বলা যায়। এখন সমাধি কাহাকে বলে তাহ বলিতেছি । যথা— “তদে বার্থমাত্র নির্ভাসং স্বরূপশূন্তমিব সমাধি: ॥* অর্থাৎ যখন ধ্যানকালীন অর্থ বা ধ্যেয় বস্তুর সংস্কার মাত্র থাকে ও আপনার স্বরূপশূন্য হইয়া যায় তাহাকেই সমাধি বলে । যখন ধ্যান কেবল ধ্যেয় বস্তুকেই প্রকাশ করে যোগী তৎকালে এরূপ আনন্দ উপভোগ করেন যে তাছার বাস্থ্য বিষয়ের দিকে আদেী দৃষ্টি থাকে না, এমন কি তিনি আপনাকেও ভুলিয়া যান এবং সমাধি স্থখ লাভ করেন। বেদব্যাখ্যা । (খ্ৰীমৎ দয়ানন্দ সরস্বতী স্বামীকৃত।) ঋগ্বেদের প্রথম মণ্ডলের প্রথম সূক্তের প্রথম মন্ত্রটি এই ঃ— a.: | | | ওঁ । অগ্নিমীলে পুরোহিতং যজ্ঞস্য 1 - 1 - || – দেবমুজিম। হোতারং রত্ন ধাতমা ॥১ SAMSMMA STT SSS SSAAAS