পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (ত্রয়োদশ কল্প তৃতীয় খণ্ড).pdf/৫৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

63 তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা

  • s७ रूछ। \

smoo_ _ _ উত্তরে বলা হইয়াছে যে বৰ্দ্ধমান জেলার মধ্যে দামোদর অতি বেগবতী নদী । ইংরাজীতে ইহাকে দামুদা’ বলে। ওয়াডেল বলেন যে এই দামুদা একটি সাওতালী বা মুণ্ড কথা । ইহার অর্থ ‘কাণ সোণ’ । যেমন অনেক স্থলে দেখিতে পাওয়া যায় নদীর নাম হইতে তন্নিকটস্থ নগর বা উপনগরের নাম হইয়া থাকে, যথা হুগলী নদী হইতে হুগলী সহর হইয়াছে; সেইরূপ কান দোনা দোমোদর) হইতে কান সোণ নগর কানসোন নগর (কাঞ্চন নগর) হইয়াছে। শশাঙ্কের সময়ে ইহা অতি সমৃদ্ধিশালী ছিল ; কালের । বিচিত্র গতিতে ইহা এক্ষণে এক সামান্য গ্রামে পরিণত হইয়াছে । ইহা বৰ্দ্ধমান । নগর অপেক্ষা অনেক প্রাচীন। এখানে বৎসরে দুইবার মেলা হইয়া থাকে। কাঞ্চন নগরের থালা প্রভৃতি কাসা পিতলের তৈজসাদি অতি বিখ্যাত। এখানকার ধুতিও বিখ্যাত। ছুরি র্কাচি এই স্থান হইতে বহুল পরিমাণে বিক্রয় হইয়া, থাকে। বৰ্দ্ধমানের ভূত পূৰ্ব্ব কোনও এক । শত মায়া মেঘ কাটি নূতন তপন উঠে। রাজা কাঞ্চন নগর হইতে পিতল কঁাশাদির ব্যবসায় নূতনগঞ্জ নামক স্থানে প্রতিষ্ঠিত করেন । ইহাতে কাঞ্চন নগরেরর প্রতিষ্ঠার হ্রাস হইয়াছিল, কিন্তু একবারে তিরোহিত হয় নাই । মৃতন জগৎ । পদতলে প্রজ্বলন্ত অনন্ত বালুক রাশি, দিগন্তে হাসিতেছিল মরীচিক ছল-হাসি । মরুমাঝে প্রবাহিত প্রবল অনল বায়, হতেছিল অবসন্ন পরাণ মুমূর্ব প্রায়। বাসন। মরিয়াছিল ফুরাইয়াছিল খেলা, শুকায়ে গিয়াছিল আশার মোহন মালা । দূরে শুধু শুনিতাম শমনের পদধ্বনি, \ মুহূর্তে মুহূর্তে তার ভীম আগমন গণি । অবশেষে মরুমাঝে হইত সমাধি মোর কেহ নাহি ফেলিতে গে৷ এক বিন্দু অশ্রু লোর । আজ কেগো সেথ হতে হেথায় আনিল ' মোরে, নূতন জগৎ কেগো খুলিল এ আঁখি পেরে । হেথায় গাহিছে পার্থী, বহিছে মলয় বায়, চঞ্চল তটিনী রাণী কূলে কুলে উছলায়। নূতন বসন্ত হেথা শ্যাম ধরণীর প্রাণে, জাগায় স্বপন শত চির হরষের গানে । চির পূর্ণিমার নিশি হেথ নাহি হয় ভোর, চির নিদ্রিতের মত ঘুমায় আঁধার ঘোর । হেথায় প্রাণের মাঝে অনন্ত বাসনা জাগে, মহান উল্লাস ভরে অধীর পরাণ মাঝে শত প্রেম শত স্নেহ ঢালিতে এ বিশ্বপরে। হেথা করুণার স্রোতে দ্রবিত হৃদয় ভরে, কি এক আনন্দ বাৰ্ত্ত পশে পরাণের পরে ! অসীম অনন্ত প্রেমে হৃদি উঠে উথলিয়া আজ যবে হৃদি মাঝে সখ। দাড়ালে আসিয়৷ ঐ পদম্পর্শে শত মোহের বন্ধন টুটে প্রকাশ । কার সুধা বাণী পশিতেছে প্রাণে ? কে আনিল অশ্রু এ শুষ্ক নয়নে ? মৃত প্রাণ আজ হলো সঞ্জীবিত, আঁধার হৃদয় হলো আলোকিত, ব্যাকুল পরাণ, লুঠাইছে আজ কাহার চরণে? কার প্রেম হাস্যে ভরেছে জগত, বহিতেছে বিশ্বে করুণার স্রোত ? কার প্রেম মূৰ্ত্তি প্রকাশিছে আজ এঅন্ধ নয়নে ? বদ্ধ হয়ে এই মায়া কারাগারে, . { ভাবিতমি র্যারে কত দুরান্তরে,