পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (ত্রয়োদশ কল্প তৃতীয় খণ্ড).pdf/৬৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

، اعاده তামাকের অপকারিত &)(r जांभद्रा त्रशूनझांप्न बउनूब छामि८उ *ांब्रि ब्रांझि, ऊांशंरङ ऊांमांक छांब्रटऊब्र बमखांङ উদ্ভিদ বলিয়া বিশেষ কোন পরিচয় পাইতেছি না। আমেরিকায় ও য়ুরোপ অঞ্চলে যাহাকে (Tobacco)বলে, সেই একই উদ্ভিদের আসিয়ারও স্থানে স্থানে অর্থাৎ পারস্য রাজ্যে যেরূপ তুম্বাকি বা তোম্বাক ভারতেও তদ্রুপ তামাক বা তামাকু শব্দে পরিগণিত হওয়া অসম্ভব বলিয়া বোধ হয় না। মহাত্মা এলফিনস্টন সাহেব উত্তম কথাই বলিয়াছেন যে, আমেরিকাদেশে এই উদ্ভিদ যে শব্দে পরিচিত, অন্যান্য দেশের লোকেও যখন সেই একই ধাতু ব্যবহারে ইহার পরিচয় দিয়া থাকেন, তখন আমেরিকা হইতেই যে, ইহার নামকরণ প্রথম হইয়াছিল, ইহা আশ্চর্য্য বা অসম্ভব নহে । তামাক ভারতবর্ষের বনজাত উদ্ভিদ হইলে অতি প্রাচীন কাল হইতে এ দেশের জনসমাজে ব্যবহৃত হউক বা না হউক, ভোলা মহেশের নিকট অপরিচিত থাকিত না । কেন না, তিনি ত ভাঙ্গ ধুতুরা লইয়াই লীলা খেলা করিয়াছেন, র্তাহার তন্ত্রে মন্ত্রে তামাকের গন্ধও নাই। গাজা মদ ও আফিং যে কোন মাদক দ্রব্যই কেন লোকে ব্যবহার না করুক, তামাক এ সকলেরই অগ্রগামী । এমত অবস্থায় শঙ্কর ইহার সন্ধান পাইলে কখনই ছাড়িতেন না, নিতান্ত পক্ষে র্তাহার ঝুলিতে ছুই এক ছিলিম তামাকের সন্ধানও পাওয়া যাইত । এদেশীয় লোকের মধ্যে র্যাহারা নিদানাদি শাস্ত্রের ব্যবস্থামতে চিকিৎসা করিয়া থাকেন, র্তাহাদিগের মধ্যে প্রবীণ"ও সুপণ্ডিত অনেককে জিজ্ঞাসা, করিয়া জানা গিয়াছে যে, নিদানাদি গ্রন্থে তামাকের কোন উল্লেখ नांझे । अशङ्कां छांबभिॐ दछ्ऊब्र छिकि९मां- | শাস্ত্র মন্থন করিয়া “ভাবপ্রকাশ” নামে যে উৎকৃষ্ট চিকিৎসাতত্বের গ্রন্থ প্রচার করেন, উক্ত গ্রন্থেও তামাকের কোন প্রমাণ নাই। তবে কুলাৰ্ণবতন্ত্রে তাম্রকুট ও কালকূট প্রভৃতি বিষাক্ত পদার্থের যে উল্লেখ আছে, তাচাতেও এই উদ্ভিদের জন্মস্থানের কোন উল্লেখ নাই । আবার উক্ত তন্ত্রখানিও যে প্রাচীন নহে, এ কথাও অনেকে বলিয়া থাকেন । পক্ষান্তরে সম্রাট ৪ জাহাঙ্গির যখন স্বহস্তে র্তাহার স্মরণলিপিতে লিখিয়া রাখিয়াছেন যে, তাহার শাসনকালে ভারতের লোকে তামাক খাইতে প্রথম আরম্ভ করিলে তিনি নিষেধ আজ্ঞা প্রচার দ্বারা সৰ্ব্বসাধারণকে তাহ খাইতে নিষেধ করেন, তখন প্রাচীনকাল হইতে যে, ভারতে তামাক ব্যবহৃত হইত ইহা প্রত্যয় করিতে অব শ্যই সন্দেহ উপস্থিত হইবে । মহাত্মা এলফিনষ্টোন সাহেবের ইতিহাস পাঠেও এই কথারই সমর্থন হইতেছে । কিন্তু সম্রাট জাহাঙ্গিরের সেই নিষেধ আজ্ঞা প্রচারের ফল য়ুরোপের রাজাজ। প্রচারের ন্যায় সম্পূর্ণ বিফলই হইয়াছিল । কেন না, “চোরা না মানে ধৰ্ম্মের কাহিনী ।” অতএব, নিষেধ করিয়া কেহ কোন দিন তামাক খাওয়া বন্ধ করিতে পারেন নাই । এদেশে ইংরাজ অধিকার বিস্তার হইবার অনেক পূর্বে অর্থাৎ পঞ্চদশ শতাব্দীর শেষে ও ষোড়শ শতাব্দীর প্রথম হইতেই যখন যুরোপের নানাজাতীয় লোক এদেশে যাতায়াত করিতেন, তখন র্তাহাদের অনুকরণে এদেশীয় আপামরসাধারণ লোক যে, তামাক খাইতে শিক্ষা করিবেন. ইহ অসম্ভব নহে । • Rajasthan Wol Page 548.