পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (ত্রয়োদশ কল্প তৃতীয় খণ্ড).pdf/৭২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কের ধূমপান করিয়া আপন নাড়ীর গতি পরীক্ষা করিয়া দেখেন, তবে জানিতে । جمعیت اعتماد سه === - حاساس

  • mes

щщ, জনিত তাহার যে অপচয় হয়, তাহার পূরণ হয় না এবং পীড়া আদি ছুর্দিনে অনাহারের যাতনা সহ্য করিতে যে বলের প্রয়োজন, তাহাও সঞ্চিত হয় মা । মানুষে তামাক খায় কেন ? প্রকৃতি কি তাহ চায় ? না, কখনই নহে, মানবপ্রকৃতির সহিত তামাকের কোনই সম্পর্ক নাই । সুশিক্ষিত ও সুনীতিসম্পন্ন যুবকগণ তামাক না খাইয়াও কেমন স্থখে আপন আপন জীবন যাপন করিয়া থাকেন । ইহা ব্যতীত যদি কোটি কোটি মনুষ্যের মধ্যে এক জনেরও জীবন তামাক সেবন ব্যতীত সুখে চলিতে পারে, তাহ হইলে ইহাই প্রমাণ হইবে যে, আহারের ন্যায় শরীরের পক্ষে তামাক অত্যাবশ্যক পদার্থ নহে। তবে আবার বলি মানুষ তামাক খায় কেন ? না, বিলাসিতার জন্য বিলাসীর দেখাদেখি তামাক খায়, দোষাদোষ বিচার করিয়া কেহই খায় না । অনেকে মরীচিকায় জল ভ্রমের ন্যায় শান্তিসুখের আশায়ও তামাক খায় । কেহ কেহ আবার শূন্যহৃদয়ে কাল কাটাইতে পারে না, এজন্যও তামাকের আশুমত্ততায় আকৃষ্ট হইয়া তামাক টানিয়া টানিয়া সময় অতিবাহিত করে । ফলতঃ তামাক দ্বারা কৰ্ম্মঠের শ্রমশান্তি কিছুই সাধিত হয় না, বরং উহা নিষ্কৰ্ম্মার একমাত্র অবলম্বন তাহাতে আর সন্দেহ নাই। তামাক খাইলে আশু কিছু মত্ততা ও মনের উত্তেজনা হয়, কেননা তামাকের উত্তেজক ও অবসাদক ছুইটী গুণ আছে । তামাক খাওয়ার অল্পক্ষণ পরেই যে শরীরের অবসাদ দশ উপস্থিত হয়, ইহা বুঝিবার এক জহজ উপায় আছে । যাহার পরিমিত ভাবে সময়ে সময়ে তামাক খাওয়া অভ্যাস আছে, তিনি যদি দশ মিনিট কাল তামা পারিবেন যে, স্বাভাবিক অবস্থায় তাহার নাড়ীর যে গতি ছিল, তামাক সেবনে তাহার বেগ অধিকতর হইয়াছে এবং পরক্ষণেই অস্বাভাবিক অবস্থা অর্থাৎ নিম্নতর গতি হইয়াছে। তামাক খাওয়া অভ্যাস করিলে এই অবসাদ দশ। এরূপ ভাবে সকল শারীরিক যন্ত্রের উপর কার্য্য করে যে, প্রতিনিয়তই তাহার উত্তেজনার , প্রয়োজন হইয়া উঠে । এই কারণে তামাকসেবনকারীকে পুনঃ পুনঃ তামাক খাইতে হয়। তাম্বল চর্বণ করিলে এই শুষ্কতার কথঞ্চিৎ উপশম হয় বলিয়া তামাক সেবকের নিকট তাম্বুলের বড়ই অাদর দেখা যায় । কলিকাতা মেডিকেল কলেজের সুবিখ্যাত ডাক্তার ম্যাকনামারা বলিয়াছেন যে, কোন ব্যক্তির স্বাভাবিক অবস্থায় নাড়ীর গতি ৬০ কি ৭০ থাকিলে, তামাক খাইতে খাইতে তাহার ১২০ হইতে ১৩০ বার পৰ্য্যন্ত স্পন্দন হয়, কিছু কাল পরেই আবার উহার ক্রিয় ৪০ মাত্রায় পরিণত হয়। একটা চুরট খাইয়া শেষ করিতে করিতে যখন এই অবস্থা উপস্থিত হয়, তখন প্রতিনিয়ত হৃৎপিণ্ডের এইরূপ অস্বাভাবিক উত্তেজনা ও অবসাদ হইলে মানবজীবনের জীবনী শক্তি যে কি দুর্দশায় পতিত হয়, তাহা একবার চিম্ভা করিয়া দেখ । তামাক ব্যবহারে তাহার বিষ কি প্রকারে মানব শরীরে কার্য্য করে তাহা পরীক্ষা করিয়া ডাক্তার এডোয়ার্ড এস্লিথ ১৮৬৪খঃ অব্দে বৃটিশ সভায় যে অভিপ্রায় । প্রকাশ করিয়াছিলেন মানচেষ্টার সহরের প্রসিদ্ধ চিকিৎসক ডাক্তার আসকন (Dr