পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (ত্রয়োদশ কল্প তৃতীয় খণ্ড).pdf/৮৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S سb 疇 তত্ত্ববোধিনী পত্রিক ,

  • ७, कझ ७ छtभी

তাহাকে তোমার মনে করিও না, তাহারি মনে করিও । এবং তাহার ইঙ্গিত মত ব্যয় করিয়া আত্মপ্রসাদ ও র্তাহার প্রসাদ লাভ করিয়া জীবনের ফললা ভ করিও । সম্পদে তাহার আশ্রিত হইয়া থাকিও । সৌভাগ্য অতীব চঞ্চল । ‘সম্পদ তড়িত সমান উন্মীলি নিমীলয়ে।’ সৌভাগ্য সময়ে গৰ্ব্বিত হইও না। বরং পরমেশ্বরকে সকল সৌভাগ্যের কারণ জানিয়া বিনীত হইও । কত লোক জঠোর জ্বালায় অস্থির। কত অনাথ—কত লজ্জাশীল বিধবা "নির্জনে অশ্রুপাত করিতেছে, তুমি তাহাদের অশ্রুমোচন করিও । বস্ত্রহীন ব্যক্তি শীতার্ত হইয়া কত ক্লেশই পাইতেছে—তুমি তাহাদের দুঃখ দূর করিও । আত্মীয় আশ্রিতের ক্লেশে অন্ধ হইয়া থাকিও না । যাহার তোমাকে জানে না, তাহাদের ক্লেশে উদাসীন থাকিয়া ধৰ্ম্মহীন হইও না। এই রূপে দানশীল হইও । এই দান ঈশ্বরের চরণে পুষ্পাঞ্জলি স্বরূপ হইয়া রহিবেক । রসনা যে অস্থিহীন তাহা সৰ্ব্বদা স্মরণে রাখিও । সকলকেই মিষ্ট কথা কহিও । এই সকল কার্য্যই ঈশ্বর ভাল বাসেন । সেই ভালবাসার কার্য্য সম্পন্ন কর। ইহাই তাহার উপাসনা । “তস্মিন গ্ৰীতিস্তস্য প্রিয়কাৰ্য্যসাধনঞ্চ তদুপাসনমেব।’ বিপদেও আমাদের মঙ্গল লাভ হইতে পারে। কিন্তু বিপদের করাল মূর্তি কেহই দেখিতে চাহে না । বিপদের নাম শ্রবণ মাত্রেই সকলেরই হৃৎকম্প উপস্থিত হয় । ইহা কাল সপের ন্যায়। কিন্তু ইহার মস্তকে উজ্জ্বল মণি আছে। এই মণি লাভ করা বড় কঠিন ব্যাপার। কিন্তু কঠিন বলিয়া অসাধ্য নহে। বিপদকালে যদি সেই করুণাময়কে ডাকিতে পারি— যদি ডাকিবার মত ডাকিতে পারি, যদি | | তাহার নিকট হইতে মন্ত্র শিক্ষা করিতে পারি, তবে নিশ্চয়ই সেই মন্ত্রবলে বিপদ রূপ ভুজঙ্গমকে বশীভূত করিতে সমর্থ হই। তখন ইহার মাথার উজ্জ্বল মণি লইয়া মহাসম্পদ লাভ করি । “তব কৃপ৷ যে লভে, কি ভয় ভব সংকটে, কাটি যাবে বিপদ লাখ লাখ ।” Q ঈশ্বরের ইচ্ছায় বিপদ আসিয়াছে বলিয়। আমরা যেন হাল ছাড়িয়া না দেই । যদি আমরা বিপদের সদব্যবহার করিতে পারি, তাহা হইলে আমাদের আত্মার যে সকল শক্তি প্রচ্ছন্ন ভাবে আছে, তাহা প্রস্ফুটিত হইয়া উঠিবে। তৃষ্ণার সময় ঈশ্বরের ইচ্ছায় তৃষ্ণা আসিয়াছে বলিয়া, আমরা যেমন চুপ করিয়া থাকি না, জল অন্বেষণ করি, বিপদের সময়ে ও ঈশ্বরের ইচ্ছায় বিপদ আসিয়াছে বলিয়া আমরা যেন নিশ্চেষ্ট না হই । কি উপায়ে প্রতীকার হইবে আমরা যেন তদগতচিত্তে র্তাহাকেই জিজ্ঞাসা করি । তিনিই তাহ বলিয়া দিবেন। ঘোরতর অর্থকষ্ট—নিদারুণ নিৰ্য্যাতন—বা প্রিয় জনের মৃত্যুই উপস্থিত হউক, ৰ্তাহাকে ছাড়িও না, সকল কালে সকল অবস্থায় তার শরণাপন্ন হইয়া থাকিও । তিনি করুণাময়, তিনি তোমাকে কখন পরিত্যাগ করিবেন না। যদি নিজের মৃত্যুই সন্মুখীন হয়,সে গুরু বিপদেও বিচলিত হইও না । “বিপদ সম্পদ তব পদ লাভে মৃত্যু সে অমৃত সমান ।” তখন র্তাহার চরণ-তরীর উপর ভগ্ন হৃদয় ভাল করিয়া স্থাপন করি ও । এক মনে ভক্তি পূর্বক তাহাকে স্মরণ করিও। ধ্যান যোগে দেখিও তুমি সেই পরম মাতার ক্রোড়ে শয়ান । ভয় তোমাকে পরিত্যাগ করিবে। আঁধারের মধ্যে আলো জ্বলিয়। উঠিবে। আনন্দে তোমার আত্মা উৎফুল্প