পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (ত্রয়োদশ কল্প তৃতীয় খণ্ড).pdf/৮৭

4גישג השי し^○ সম্পূর্ণ অরোগী হইয়াছিল। কোন স্থচিকিৎসকের বাচনিক অবগত হওয়া গিয়াছে যে, কোন স্থানে অল্পবয়স্ক একটা কুলবধুর মৃগীরোগ হইয়াছিল। ঐ চিকিৎসকই তাহার চিকিৎসা করেন। কোন ঔষধ দ্বারাই রোগের প্রতিকার হইল না দেখিয়া তিনি রোগীর জীবনগত নানা তথ্য অনুসন্ধানে জানিতে পারেন যে, তাহার তামাক খাওয়া অভ্যাস আছে। ঐ সময় হইতে নানা কৌশলে তামাক খাওয়া বন্ধ করার পর সে সম্পূর্ণ অারোগ্য লাভ করে। ভদ্র পরিবার মধ্যে রমণীগণের হু কা বা ফরশীযোগে তামাক খাওয়ার দৃষ্টান্ত বিরল সন্দেহ নাই, কিন্তু তামাকের গুল । রমণীকুলে আবালবৃদ্ধ যে ভাবে ব্যবহার করিয়া থাকেন, তাহাতে কুদৃষ্টান্তের সংখ্যা অল্প নহে । আজকাল ভ্রন্দ্র মহিলারা এমন স্বাধীনভাবে তামাকের গুল ব্যবহার করিতেছেন যে, তাহাতে প্রত্যেক পরিবারের কৰ্ত্তাদিগের তামাক ব্যবহারে কোন রূপ প্রশ্রয় দেওয়া নাই বলিলে মিথ্যা কথা যে কোন উত্তেজক পদার্থ উদর স্থ হইলেই যে স্নায়ুগুলির অবস্থা অবনত হয়, ইহা বহুদৰ্শন দ্বারা সপ্রমাণ হইয়াছে । অত এব মৃগী ও তাছার সমশ্রেণীর অন্যান্য । রোগে এই প্রকার উত্তেজক পদার্থ সেবন করিতে দেওয়া কখনই কর্তব্য নহে। যে ব্যক্তি মিথ্যা কথা না বলিয়া থাকিতে পারে না, তাহাকে যেমন মিথ্যাবাদী ও যে মদ না খাইয়৷ থাকিতে পারে না, তাহাকে যেমন মাতাল বলে, সেইরূপ যে ব্যক্তি তামাক না খাইয়া থাকিতে পারে না তাহাকেও তামাকখোর বলী যাইতে পারে। তামাকখোরগণ এই বলিয়া আত্মপ্রবোধ দেয় যে, বহু দিন অভ্যাস করিলে তামাকে কোন অনিষ্ট করিতে পারে না ; কেন না অনেক দিন যাহা অভ্যাস করা যায়, তাহ দ্বিতীয় স্বভাবের মধ্যে গণ্য হইয়া থাকে । বস্তুতঃ তাহাদের একথা ঠিক নহে, তামাকখাওয়ার অভ্যাস কি প্রকারে দ্বিতীয় স্বভাব হইতে পারে ? কারণ মানব প্রকৃতির সহিত যখন তামাকের উপক্ষারের কোন রাসায়নিক সম্বন্ধ নাই, তখন এখম স্বভা. বল সঙ্কিত কোন অংশে তাহার সম্বন্ধ না থাকিলে কি প্রকারে তাহা দ্বিতীয় স্বভাবের মধ্যে গণ্য হইবে। অতএব ইহা যে সম্পূর্ণ অযৌক্তিক ও অসম্ভব, তাহা সকলেই সহজে বুঝিতে পারেন। অনেকে আবার বলেন যে, তামাকে ম্যালেরিয়া নাশ করে, এই জন্য র্তাহারা তামাক খাইয়া থাকেন ; কিন্তু কোন বহুদৰ্শী লোক বলিয়াছেন যে, তামাক খাইলে ম্যালেরিয়া নষ্ট হওয়! তো দূরের কথা কোন পীড়াই নিবারিত হয় না এবং ম্যালেরিয়া ঘটিত জ্বরে তামাক ব্যবহাবে কোনই উপকার দর্শে না । বলা হয়। কোন ডাক্তার লিখিয়াছেন যে, ' র্তাহার মতে শীতপ্রধান দেশে তামাক ব্যবহারে যে পরিমাণে লোকের ক্ষতি হয়, ভারতবর্ষের ন্যায় উষ্ণ প্রধান দেশে তাহা হইতে সমধিক অহিত হইয়া থাকে ; সুতরাং ভারতবাসীদিগের কখনই তামাক খাওয়া উচিত নহে। এ সম্বন্ধে একজন চিকিৎসক একটী রহস্যজনক কথা বলিয়াছেন । তিনি বলেন জাগ্রৎ অপেক্ষা নিদ্রাবস্থায় ম্যালিয়ার বিষ অধিক পরিমাণে শরীরে প্রবেশ করে ; সুতরাং পাৰ্ব্বত্য প্রদেশে ও ম্যালিরিয়াময় স্থানে ভ্রমণ করিতে হইলে অনিদ্রার নিতান্তই প্রয়োজন,সে পক্ষে তামাক যেমন উপযুক্ত পদার্থ এমত আর কিছুই নাই। এখন দেখুন তামাকের সেই স্বভাবে কেমন