পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (ত্রয়োদশ কল্প তৃতীয় খণ্ড).pdf/৯০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

b~ᎸᎼ কেন এ পৃথিবীতে থাকুক না, এই অল্পকালের জন্য তাহার দায়িত্ব আছে। মানবদেহ দুই দিনের জন্য বটে,কিন্তু आजै। cय চিরস্থায়ী, অমর ও বিকাশশীল । এখানে যে আত্মা যেমন সাধন করিবে পরিণামে সে সেই পরিমাণে ফল লাভ করিবে ইহা সকল দেশের ধৰ্ম্মশাস্ত্রের কথা । অতএব দেশের মতে মত দিয়া পাপাচরণে মত্ত হওয়া জ্ঞানবিশিষ্ট মানবের কর্তব্য নহে। যে আমেরিকার তামাকের বিষে আজি পৃথিবীর প্রায় সমগ্ৰ ভাগ পুড়িতেছে, আবার সেই দেশের বর্তমান অবস্থা একবার স্মরণ করিয়া দেখ । তামাক ব্যবহারের কত শাসনবিধিই সে স্থানে প্রচলিত হইয়াছে, তাহ নির্ণয় করা কঠিন । ১৮৯০ খ. অব্দের ২ সেপ্টেম্বর হইতে নিউইয়র্ক নগরে যে বিধির প্রচলন হইয়াছে,তাহাতে ষোড়শবর্ষের নিম্নবয়স্ক বাল ককে সাধারণের তত্ত্ববোধিনী পত্রিক •=o হইব । २७ कछ, ७ छ:नं y উন্নতি কি সহজে হইবে ? প্রকৃত চরিত্র প্রস্তুত করিতে হইলে আমাদিগকে অনেক বিষয় প্রথমে ভুলিতে হইবে । অতএব, যদি চরিত্র চাও তবে আগে জাগ, এ কুশিক্ষা ভুলিয়া যাও, চরিত্রের উপদ্রব গুলিকে দেশছাড়া কর । আর ইতস্ততঃ করিবার সময় নাই। দেশের সাধারণ কোন কুপ্রথা বা কুআচরণ দূর করিতে হইলে, একজনের পক্ষে অসাধ্য না হউক দুঃসাধ্য বটে, কিন্তু “দশের লড়ি একের বোঝা” এই মন্ত্র শিরোধাৰ্য্য করিয়া যদি আমরা কৃতসংকল্প হই, দয়াময় ঈশ্বরের কৃপায় তবে অবশ্যই কৃতকাৰ্য্য হইবই সৎ যাহার ইচ্ছা ভগবান তাহার সহায়, এই জীবন্ত সত্যে চিরদিন বিশ্বাস করিয়া চল, দেখিবে সত্যের জয় হইবেই হইবে । সমক্ষে তামাক খাইলে অর্থদণ্ড দিতে । হয় । তামাক ব্যবহারের শাসন আর ও ' গুরু শিষ্য সম্বন্ধে হিন্দু শাস্ত্র মত। অনেক দেশে হইতেছে ; যথা—ফরাসী- | r দেশের বিদ্যালয়ের ছাত্ৰগণের অনুন্নতদশা উপস্থিত দেখিয়া তত্রত্য বিদ্যাবিভাগের অধ্যক্ষগণ যাহাতে ছাত্রসমূহ তামাক খাইতে না পারে, এমত বিধান প্রচার করিয়াছেন । আমাদের হতভাগ্য ভারতের বিদ্যার্থিগণের অনেকেরই এ সম্বন্ধে শাসন প্রয়োজন, কিন্তু তাহার ক্রমশঃ । প্রতি কি কাহারও দৃষ্টি আছে ? এ দুদিনে । আমাদের সহায় কেই বা হইবে ? হায় হায়! যে জাতীয় চরিত্র উন্নত করিবার জন্য দেশীয় কত কত মহানুভব ব্যক্তি কত যত্ন কত অর্থ ব্যয় করিতেছেন, তাহার মূল যে কীটদষ্ট তাহ কি একবার কেহ চিন্তা করিয়া দেখিতেছেন ? যে চরিত্রের পত্তনভূমি দোষযুক্ত, তাহার | অস্মদেশীয় আর্য্য বৌদ্ধ তথা মিসরাদি দেশের প্রাচীন ধৰ্ম্মশাস্ত্রে অনেক স্থানে সাঙ্কেতিক পদ ব্যবহৃত হইয়াছে যাহা প্রকৃত তত্ত্বজ্ঞ ব্যতীত অপরে সহজে বুঝিতে সক্ষম নহেন । আর ব্রহ্মোপদেশ বড় সূক্ষ ও গুপ্ত বিষয় এই জন্যই আমাদিগের সৎ শাস্ত্রে সৎগুরুর শরণাপন্ন হওয়া একান্ত আবশ্যক ইহা বারংবার কথিত হইয়াছে ! অতএব সৎগুরু কাহাকে বলে ও কি উপায় বা সিদ্ধিবলে ভঁাহাকে প্রাপ্ত হওয়া যায় তাহা অবগত হওয়া সকলেরই কর্তব্য । জগতে মনুষ্যের গুরু বলিলেই সর্বপ্রথমে সেই পরম গুরু পরমেশ্বরকেই বুঝায়। পাতঞ্জল যোগ শাস্ত্রে লিখিত आएझ o