পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (ত্রয়োদশ কল্প তৃতীয় খণ্ড).pdf/৯৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভাত্র ১৮১৫ ষড়দর্শন ভূমিকা i_ ষড়দর্শন ভূমিক | প্রাণি মাত্রেরই “স্থখ হউক, দুঃখ দূর হউক, দুঃখ যেন না হয়” এইরূপ অব্যভিচরিত অভিনিবেশ আছে । ঐ অভিনিবেশ প্রাণি সাধারণের সহজাত ধৰ্ম্ম । অন্তর্নিহিত উক্ত প্রাণিধৰ্ম্ম সামান্যতঃ সুখস্পুহা নামে উল্লিখিত হইয়া থাকে। প্রাণী-বিশেষ মনুষ্যপ্রাণী উক্ত মুখপূহ চরিতার্থ করিবার জন্য সর্বদা ব্যাকুল ও অবিশ্রান্ত চেষ্টিত ; কিন্তু কিছুতেই তাহারা তাহার পূরণ বা সমাপ্তি দেখিতে পায় না। তাহারা সহজ জ্ঞানে লোক মধ্যে যে সকল স্থখসাধন ও দুঃখ নিবারণ দ্রব্য পায় তাহাতে তাহাদের আশানুরূপ মুখ ও দুঃখ নিবৃত্তি হয় না । মানুষ যতই চেষ্টা করুক, মুখ চকিতের ন্যায় আইসে ও চলিয়া যায়, দুঃখ ও ক্ষণকালের নিমিত্ত রুদ্ধ থাকে, আবার আক্রমণ করে । যাহারা সুখ দুঃখের তদ্বিধ-স্ব ভাব পর্যবেক্ষণ করে, জাজ্ব ল্যমান দেখিতে পায়, তাহারা উক্ত স্বভাবান্বিত সুখ দুঃখের প্রতি বড়ই বিরক্ত । সেই সকল বিরক্ত লোক শাস্ত্রে বিবেকী নামে প্রসিদ্ধ। বিবেকী পুরুষেরা উক্ত-স্বভাবান্বিত সুখ দুঃখের প্রবাহ রুদ্ধ করিয়া, তাহার মূল বিধ্বস্ত করিয়া, কোন এক লোকোত্তর অবিনাশী সমমুখে অবস্থান করিতে ইচ্ছুক হয়। তদনুসারে তাহার লৌকিক সুখসাধন পরিত্যাগ করিয়া অলৌকিক স্থখসাধনের অনুসন্ধানে প্রবৃত্ত থাকিতে কুষ্ঠিত হয় না। সমাধি (একাগ্রত) ও স্বযুপ্তি (নিঃস্বপ্ন নিদ্রা) এই দুই অবস্থা তাহাদিগকে অাশ্বাস প্রদান করে। ঐ দুই অবস্থা যেন তাহাদিগকে বলিয়া দেয়, তোমরা যত্ন কর, চেষ্টা কর, করিলে তোমরা নিশ্চয়ই ము আমাদের অপেক্ষ অধিক বিকল্পরহিত নিছুঃখ ও অম্পর্শ অবস্থা পাইবে । এবং সেই অবস্থাই তোমাদের উপরোক্ত স্পৃহার চরম প্রান্ত । | ংসারে অসংখ্য প্রকার স্থখ থাকিলেও সে সকলের শ্রেণী চারের অধিক নহে। বৈষয়িক, মানোরথিক, আভিমানিক ও আভ্যাসিক । দুঃখেরও অনন্ত ভেদ আছে ; পরন্তু সে সকলের শ্রেণীবিভাগ স্থই অথবা তিন। শারীর ও মানস অথবা আধ্যাত্মিক, আধিভৌতিক ও আধিদৈবিক। হুপ্তিসমাধিকালে ঐ চার শ্রেণীর স্থখ ও তিন শ্রেণীর দুঃখ অস্পৃষ্ট থাকে দেখিয়৷ বিবেকীর আশ্বাস—তিনি চেষ্টা করিলে কোন এক কালে মৃপ্তি-সমাধি অপেক্ষ উচ্চতর ও স্থিরতর দুঃখাম্পূষ্ট অবস্থা পাইতে পারেন। মৃপ্তি স্বাভাবিক অর্থাৎ সাধনানিরপেক্ষ কিন্তু সমাধি সাধন-সাপেক্ষ। তাই আরও বিশ্বাস সাধনে সে অবস্থা পাওয়া যায়। এ শরীরে সে অবস্থার দর্শন হউক বা না হউক, সাধনবল অর্জন করিতে পারিলে এ শরীরের অন্তে সে অবস্থার দর্শন হইতে পারে । সেই লোকোত্তর অবস্থা কাহার নিকট স্বর্গ ও কাহার নিকট অপবর্গ (মোক্ষ) নামে প্রসিদ্ধ হইয়াছে। যাহা তাহার উপায়, সাধন বা উপকরণ, তাহ সম্যকরূপে অবধারণ করা ষড়দর্শনের উদ্দেশ্য । পুরুষ (আত্মা) যাহা চায়, প্রার্থনা করে তাহা পুরুষাৰ্থ। পুরুষ স্থখ চায়, দুঃখ দুর করিতে চায়, সে জন্য স্থখ ও দুঃখবিঘাত দুই পুরুষাৰ্থ। যেখানে তাহার বিশ্রাম বা শেষ সীমা তাহ পরম পুরুষাৰ্থ নামে গণনীয়। বিবেকীর প্রকৃতিভেদে তাদৃশ *ब्रश श्रृंक्रशांzर्थद्र श्रांकांत दिछिन्न शहै८ङ দেখা যায়। কোন কোন বিবেকী মুখের