পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (ত্রয়োদশ কল্প তৃতীয় খণ্ড).pdf/৯৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

છેર তত্ত্ববোধিনী পত্রিক

  • ७, कछ ७ छणि

পক্ষপাতী ; সে জন্য র্তাহারা সুখের প্রতি যত অনুরক্ত, দুঃখের প্রতি তত বিশিষ্ট । নহে । বেদান্তদর্শনপ্রণেতা ব্যাস ও কৰ্ম্মমীমাংসা লেখক জৈমিনি এই শ্রেণীর বিবেকী। সেই জন্যই ব্যাসের দর্শনে নিত্য নিরতিশয়াখণ্ডানন্দপ্রাপ্তি পরম পুরুষার্থ এবং জৈমিনির দর্শনে - নিরান্তরিত দুঃখাসম্ভিন্ন সুখভোগ পরমপুরুষাৰ্থ। । কোন কোন বিবেকীর প্রকৃতিতে দুঃখের লেশও অসহনীয়। র্তাহারা সুখ চাহেন না, দুঃখ বিদূরিত. হইলেই কৃতার্থ বোধ করেন । দুঃখের প্রতি ইহঁাদের বড়ই বিদ্বেষ। গৌতম কপিল পতঞ্জলি ইহারা সেই শ্রেণীর বিবেকী। কাযেই ইহঁাদের দর্শনে আত্যন্তিক দুঃখনিবৃত্তি পরম পুরুষাৰ্থ। র্যাহাদের দর্শনে যেরূপ পুরুষাৰ্থ তাহাদের দর্শনে আত্মাও তাহারই অনুরূপ । গৌতম মুখ চাহেন না, তিনি কেবল দুঃখাভাবই চাহেন, সেই কারণে র্তাহার দর্শনে আত্মা আকাশের ন্যায় অচেতন ও নিছু খস্বভাব। ইহঁার দর্শনে চেতন ও জ্ঞান একই পদার্থ এবং ঃখাভাবই সুখ । জ্ঞান, সুখ ও ইচ্ছ। প্রভূতি আত্ম দ্রব্যের গুণবিশেষ এবং সে সমস্তই মনঃসংযোগাধীন উৎপন্ন হয় । মনঃসংযোগ বিচ্ছিন্ন করিয়া দিতে পারিলে আত্মার ঐ সকল গুণ জন্মিবে না, সুতরাং আত্মা তখন স্বীয় নিদুঃখ স্বভাবে প্রতিষ্ঠিত হইবেন । কপিল ও পতঞ্জলি, ইহঁাদের দর্শনে চেতনা ও জ্ঞান এক নহে, অত্যন্ত পৃথক, এবং সুখও দুঃখাভাবরূপী নহে । তাহাও, পৃথক পৃথক মনোবৃত্তি। চেতনা এক সিদ্ধ বস্তু এবং তৎসমিধান বা তৎসংশ্রবে জ্ঞান ও স্বখ প্রভৃতি মনের বৃত্তি বিশেষ প্রকাশমান। সাধন সামর্থ্য উৎপাদন দ্বারা মনের নিরোধ অবস্থা উৎপাদন করিতে পারিলে চিন্দ্রপী আত্মা কেবল হন সুতরাং তখন তিনি স্বীয় বিকারীভূত স্থখছুঃখাতীত স্বরূপে অবস্থান করেন । বেদান্তপ্রণেতা ব্যাসের দর্শনে আত্মা চেতনা, আনন্দ ও অস্তিতা, এই চার নাম মাত্রে বিভিন্ন; পরং বস্তুতঃ এক বা অভিন্ন ; সৰ্ব্বব্যাপিনী অস্তিতার প্রাদেশিক প্রকাশ চেতনা, চেতনার ঔপাধিক প্রকাশ আনন্দ এবং তিনের পূর্ণতায় আত্মা । স্থূল কথা— আনন্দই আত্মা । সচ্চিদানন্দ আত্মা মনোবৃত্তির প্রচ্ছাদনে স্বরূপপ্রচু্যতের ন্যায় হইয়া আছেন, উপায় প্রয়োগে সে প্রচ্ছমতা দূরীকৃত করিতে পারিলে তখন তিনি আনন্দ চিদ্‌ঘনরূপে বিরাজ করিবেন। জৈমিনির দর্শনে সুখ ও দুঃখধ্বংস উভয়ই পুরুষাৰ্থ,সেই কারণে তদীয় দর্শনে আত্মা দ্বিরূপী । মুখরূপীও বটে,দুঃখরূপীও বটে। এতদীয় মতে আত্মা একপ্রকার দ্রব্য ; তাহাতে জ্ঞান অজ্ঞান ও সুখ দুঃখ উভয়েরই অবস্থান আছে । আগে দুঃখ ংস, তৎপরে সুখের বৃদ্ধি। জৈমিনির দর্শনে আত্মা খদ্যোতের ন্যায় দ্বিরূপী । কৰ্ম্মের দ্বারা চিদ্ভাগের সামর্থ বৃদ্ধি করিতে পারিলেই অনন্তরিত দুঃখীসম্ভিন্ন স্বর্গ সুখে অবস্থান করা যাইতে পারে। যে আশায় বা যে সুখের প্রত্যাশায় উপরি উক্ত ষড়দর্শনের প্রবৃত্তি, সে আশ। এ শরীরে সম্পূর্ণরূপে পর্য্যাপ্ত হইবার নহে। এ সম্পূর্ণরূপ শরীরে তাহার অত্যুত্তম উপ করণ সকল অর্জন করিয়া রাখিতে হয় ; পরে শরীরের অন্যথা ভাবে তাহ পাওয়া যাইতে পারে। আত্মা অজর ও অমর। যে কিছু কাৰ্য্য, সমস্তই ক্রিয়ার ও তত্ত্বজ্ঞানের অধীন। অজর অমর “ চেতন আত্মা শরীরের ও মনের সাহায্যে, ক্রিয়ার