পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (ত্রয়োদশ কল্প তৃতীয় খণ্ড).pdf/৯৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভtঞ্জ ১৮১৫ ও জ্ঞানের কৌশলে, সকল উদ্দেশ্যই সাধন করিতে সক্ষম। জীব ক্রিয়ার নিপুশতায় ও জ্ঞানের কৌশলে যেমন ঐহিক পূহ চরিতার্থ করিতে পারে, তেমনি, পারত্রিক স্পৃহা পূরণ করিতেও সমর্থ। কি ইহলোকে, কি পরলোকে, কুত্রাপি তত্ত্বজ্ঞান ও ক্রিয়। এই দুই ব্যতীত ইষ্ট সাধনের তৃতীয় উপায় নাই । তত্ত্বজ্ঞান, বিষয়ভেদে বিভিন্ন, ক্রিয়াও শাস্ত্রভেদে ব| বিষয়ভেদে বিভিন্ন । শয়ন, ভোজন, গমন, অঙ্গপরিচালন এ গুলিও ক্রিয়া এবং যাগ, দান, হোম, তপঃ, জপ, ধ্যান, ধারণা, যোগ, এ গুলিও ক্রিয়া । পূৰ্ব্বোক্ত ক্রিয় ঐহিক সুখে ব্যাপৃত । পরোক্ত ক্রিয়া পারলৌকিক সুখের জননী । ঘটজ্ঞান, পটজ্ঞান প্রভৃতি দৃশ্য বস্তুবিজ্ঞানও তত্ত্বজ্ঞান এবং আত্মজ্ঞান ঈশ্বরজ্ঞানও তত্ত্বজ্ঞান । প্রথমোক্ত তত্ত্বজ্ঞানেও নিঃশ্রেয়স লাভ হয়, এবং শেষোক্ত তত্ত্বজ্ঞানেও নিঃশ্রেয়স । লাভ হয় । প্রথমোক্ত তত্ত্বজ্ঞানে যে নিঃশ্রেয়স লাভ হয়, তাহা যৎকিঞ্চিৎ, সাময়িক ও অস্থায়ী । শেষোক্ত তত্ত্বজ্ঞানে যে নিঃশ্রেয়স পাওয়া যায়, তাহা পূর্ণ, অনবধি সুতরাং নিত্য বা স্থায়ী । সেই যে নিঃশ্রেয়স—জীব যাহা ক্রিয়ায় ও তত্ত্বজ্ঞান বিশেষে কাল কালান্তরে লাভ করিয়া স্বীয় মুখস্প হাকে পূর্ণ বা সমাপ্তি করিবে, সেই নিঃশ্রেয়স লাভই জীবের “স্থখ হউক, ছঃখ দূর হউক”ইত্যাকার স্পৃহার বিশ্রান্তি ভূমি এবং তাহাই ষড়দর্শনের প্রধান প্রদশনীয়। ষড়দর্শন কি ? ষড়দর্শন কেবল কতকগুলি অলৌকিক শারীর মানস ক্রিয়ার ও তত্ত্বজ্ঞানের শিল্পপ্রদর্শনী। ক্রিয়াংশ জৈমিনির দর্শন যাগ, দান, হোম, তপঃ, জপ, ধ্যান, গ্রহণে প্রস্তুত হইয়াছে । পতঞ্জলির দর্শন তপ, জপ, ধ্যান, বারমুখী চরিত । సె\లి ধারণা, ও সমাধি ইত্যাদি ক্রিয়াংশ লইয়া প্রস্বত্ত্ব আছে। . d গৌতমের ও কণাদের দর্শন সর্বপ্রকার তত্ত্বজ্ঞান নিরূপণে ও ব্যাসের ও কপিলের দর্শন লোকদিগকে মুখ্যরূপে আত্মতত্ত্বজ্ঞান শিক্ষা দিতে প্রবৃত্ত আছে । অল্প ভাবিয়া দেখিলেই প্রতীত হয়, উদ্দেশ্য বিষয়ে সমৃদায় দর্শনেরই ঐক্য মত আছে । সকলেই “স্থখংমে ভূয়াৎ স্থঃখ মাডুৎ” এই অভিনিবেশের দ্বারা পরিচালিত এবং সকলেই সেই সৰ্ব্ববিগ্রান্তি রূপ মোক্ষের ভিখারী। সকলেরই aণক্ষে, নিরস্ত-সমস্তংসার দর্শনরূপ মোক্ষলক্ষণে ও তৎপ্রাপক শমদমাদি ক্রিয়া কৌশলে ও আত্ম্যাথার্থ্য বিজ্ঞানাদি তত্ত্বজ্ঞান শিল্পে অবিবাদ দেখা যায়। ষড়দর্শনের মধ্যে যে পরস্পর প্রভেদ আছে সে প্রভেদ প্রণালীগত । সাধ্যগত ও নহে, সাধনগত ও নহে । যে প্রণালীতে যে দর্শন প্রবৃত্ত বা রচিত তাহ। পরে প্রদর্শিত হইবে । বারমুখী চরিত।* কথিত আছে,স্পর্শমণির স্পর্শে লোহও স্বর্ণে পরিণত হয় । ভৌতিক জগতে এরূপ স্পর্শমণি অাছে কি না আমরা জানি না। কিন্তু অধ্যাত্ম জগতে সাধুসঙ্গ যে যথার্থ স্পর্শমণি, তাহাতে কোনও সন্দেহ নাই। মহাত্মা শঙ্করাচার্য্য বলিয়া ছেন,

  • ক্ষণমিহ সজ্জনসঙ্গতিরেক ভবতি ভবfর্ণবতরণে

নৌকা ।” ক্ষণকাল সজ্জনের সঙ্গ লাভ করিলে ভবসমুদ্র উত্তীর্ণ হওয়া যায়, ইহা অতি | সত্য কথা। চুম্বক যেমন লৌহকে আক • ভক্তিমাল অবলম্বনে লিখিত । حسع