পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (ত্রয়োদশ কল্প তৃতীয় খণ্ড).pdf/৯৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ఏ8 १७, कछ ७ जान র্যণ করে ভগবস্তুক্ত সাধুরাও সেইরূপ পাপ- | সক্ত মানবের চিত্তকে পুণ্যের দিকে আকৃষ্ট । করিয়া থাকেন। তাই ভাগবতকার বলিয়াছেন, “মহৎসেবাং দ্বারমাহুৰ্বিমুক্তেঃ” মহৎসেবা সাধুসঙ্গই মুক্তির দ্বারস্বরূপ । ফলতঃ ঈশ্বরপরায়ণ সাধুগণের পুণ্যবারিবিধৌত মুখমণ্ডলে কি এক স্বৰ্গীয় ভাব নিহিত আছে। র্তাহাদিগের সংস্পর্শে পাপীর পাপলালসা অন্তৰ্হিত হয় । প্রাণ পুণ্যপ্রভায় উজ্জ্বল হইয় উঠে। লৌহের স্বর্ণে পরিণত হওয়া জুপেক্ষা ইহা অধিকতর অশচর্য্যজনক তাহাতে আর সন্দেহ কি । কোন পাপপঙ্কনিমগ্ন৷ মন্দভাগিনী নারীর আশ্চৰ্য্য জীবন-পরিবর্তন-বাৰ্ত্ত নিম্নে বর্ণিত হইল । প্রাচীন কালে বারমুখী নাম্নী একজন রূপলাবণ্যবতী বারাঙ্গনা কোন নগরে বাস করিত। এই হতভাগিনী যৌবনমদে গৰ্বিবত হইয়। পাপবাণিজ্যে আপনাকে বিক্রয় করত অনেক ধন উপার্জন করিয়াছিল । রাজার ন্যায় অট্টালিকা, নিৰ্ম্মলতোয়া-সরসী-শোভিত বিবিধ ছায়াতরুসমন্বিত বিস্তীর্ণ কুসুমোদ্যান, দাসদাসী সহচরী,ইন্দ্রিয়স্থখসম্ভোগের যতকিছু আয়োজন, তাহার কিছুরই অভাব ছিল না। পাপীয়সী এইরূপে আপনার পাপপ্রবৃত্তি চরিতার্থ করিতেছিল । ইত্যবসরে একদিন কতকগুলি ভ্রমণকারী ভক্ত বৈষ্ণব উক্ত বারনারীর প্রমোদকাননে উপনীত হইলেন। ভক্তগণ পরিশ্রান্ত হইয়া আসিয়াছিলেন । র্তাহার এইস্থানের স্বস্নিগ্ধ রমণীয় ভাবে মুগ্ধ হইয়। ছায়াবৃক্ষতলে বিশ্রাম লাভার্থ উপবেশন করিলেন । তদনন্তর তাহারা সাধুপ্রসঙ্গ ও হরিনাম কীৰ্ত্তনে প্রবৃত্ত হইলেন। যেস্থান ইন্দ্রিয়লোলুপ নরনারীর বিনোদক্ষেত্র ছিল, আজ তাহা ভক্তগণের সৎ প্রসঙ্গে ও কীর্তনকোলাহলে পবিত্র उांव शांद्र१ कब्रिल, श्शडौब्र इब्रिक्ष्वनिष्ठ তাহার চতুর্দিক প্রতিধ্বনিত হইতে লাগিল । বারমুখী প্রাসাদাভ্যন্তরে স্বীয় কক্ষে একাকী উপবিষ্ট ছিল, তাহার কর্ণকুহরে সেই হরিধ্বনি প্রবেশ করিল। , সে উদ্যানের দিকে চক্ষু ফিরাইয়া দেখিল, তাহারই উদ্যান মধ্যে ভক্তগণ প্রমত্তভাবে হরিসংকীৰ্ত্তন করিতেছেন। তখন সে আর স্থির থাকিতে পারিল না, আপনার । পাপময় জীবনের প্রতি তাহার ঘৃণা উপস্থিত হইল। হৃদয়ের মধ্যে অনুতাপের অগ্নি জ্বলিয়া উঠিল । ছি ! ছি! আমাকে শতধিক । কি মুখের আশায় আমি এত দুষ্কৰ্ম্ম করিয়া এতদিন পাপপথে বিচরণ করিলাম ? পাপের দ্বারে দেহ মন বিক্রয় করিয়া যে বিপুল অর্থ উপার্জন করিলাম, তাহার কপর্দক মাত্র ও আমি ধৰ্ম্মার্থে দিই নাই। আর এই ভক্তগণ গৃহ পরিজন, বন্ধুবান্ধব,ধনসম্পদ ধূলির ন্যায় পদদ্বারা দলিত করিয়া আসিয়াছেন । আমিও ইহঁদের ন্যায় সৰ্ব্বস্ব ত্যাগ করিয়৷ সেই পরম সম্পদ শান্তিদাতা শ্ৰীহরির চরণ আশ্রয় করি। এইরূপ চিন্তা করিয়া সেই নারী তৎক্ষণাৎ গৃহ হইতে নিক্ৰান্ত হইল, এবং পরিপূর্ণ একথাল স্থবৰ্ণ মুদ্রা লইয়। বৈষ্ণবগণের নিকটে গমন করিতে লাগিল । পবিত্রমনা বৈষ্ণবগণ কিরূপে জানিবেন যে র্তাহারা বারবিলাসিনীর উদ্যানে আশ্রয় গ্রহণ করিয়াছেন, জানিলে এ পাপপুরীতে র্তাহার। আসিবেনই বা কেন ? কিন্তু ধন্য জগদীশ্বরের বিচিত্র লীলা ! কৌন কৌশলে কোন ঘটনাচক্রের ভিতর দিয়া তিনি পাপী সন্তানকে পুণ্যের পথে ফিরাইয়। আনেন, ক্ষুদ্রবুদ্ধি মানুষ সে বিশ্ব রহস্য