পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (ত্রয়োদশ কল্প তৃতীয় খণ্ড).pdf/৯৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

.. ψfη "ν»« বারমুখী চরিত δά কিরূপে হৃদয়ঙ্গম করিতে সমর্থ হইবে ? ভক্তগণ দেখিলেন, একজন বিচিত্ররত্নভূষণে ভূষিত পরমস্বন্দরী রমণী চতুর্দিক আলোকিত করিয়া তাহাদিগের নিকটে অসিতেছে। উক্ত কামিনী স্থবৰ্ণমুদ্রাপূর্ণ থাল হস্তে মহান্তগণের নিকটস্থ হইয়া বাস্পপূর্ণ লোচনে করুণ কাতরকণ্ঠে বলিতে লাগিল, আমি অতি পাপিষ্ঠ, কৃপা করিয়া আমার এই মোহরগুলি গ্রহণ করুন, অামার ভা ওরে আরও বহু অর্থ আছে,তাহ শ্ৰীহরির । সেবাতে ব্যয় করিয়া আমাকে কৃতাৰ্থ । করুন । তখন মহান্তগণ এই নারীর বাক্যে । বিস্মিত হইয়। তাহার পরিচয় জানিবার জন্য ব্যস্ত হইলেন। রমণী নিজমুখে আত্ম- ' পরিচয় দিতে না পারিয়া লজ্জাবনতমুখী হইয়া দাড়াইয়া রহিল। তখন ভক্তগণ সস্নেহ মধুরস্বরে বলিলেন, মা, তুমি কে, কাহার রমণী, সবিশেষ পরিচয় দাও । যাহাতে তোমার কল্যাণ হয় আমরা প্রাণপণে সেই চেষ্টা করি তোমার কোন ভয় নাই । তখন বারমুখী অশ্রু মোচন করিতে করিতে আপনার পাপ কলঙ্কিত জীবনের পরিচয় প্রদান করিল। সান্ত না বাক্যে বলিলেন, মা, ভগবানের

  • চরণে যখন তোমার ঐকান্তিক নিষ্ঠা জন্মিয়াছে, তখন তুমি কৃতাৰ্থ হইয়াছ, বিগত জীবনের পাপ স্মরণ করিয়া আর দুঃখিত হইও না । তুমি এই মোহরগুলি রঙ্গনাথ বিগ্রহের চরণে সমপণ করিয়া কায়মনোবাক্যে র্তাহার আশ্রয় গ্রহণ কর, ভগবান অবশ্য তোমাকে কৃপা করিবেন। বারমুখী বুঝিতে পারিল যে, মহান্তগণ র্তাহার প্রদত্ত উপহার উপেক্ষা করিলেন । তখন সে আপনাকে ধিক্কার দিতে দিতে অশ্রুসিক্তলোচনে রঙ্গনাথ মন্দিরে গমন করিল। কিন্তু রঙ্গনাথ দেবের সেব

_ -- o - سہ سے - یے صـص ہے۔ করা বৈধ জ্ঞান করিলেন না। বারমুখীকে সন্তুষ্ট করিবার জন্য তিনি পরে বলিলেন তুমি এই অর্থে ঠাকুরের চুড়া প্রস্তুত করিয়া দিও । ইহা শ্রবণ করিয়া বারমুখী গৃহে আগমন করিল, এবং বহু অর্থ ব্যয় করিয়া রঙ্গনাথের জন্য মণিমুক্তাখচিত নানাবিধ অলঙ্কার প্রস্তুত করিয়া লইয়া গেল। কিন্তু সেই সেবক এবারেও তাহা গ্রহণ করিলেন না । তিনি স্পষ্ট বলিলেন, তুমি মহা অধৰ্ম্মাচরণ করিয়া অর্থোপার্জন করিয়াছ, সেই অর্থে এই সকল অলঙ্কার প্রস্তুত হইয়াছে, ইহ। কখনও দেবসেবার যোগ্য নহে । ইহা শ্রবণ করিয়া বারমুখী দরদরিতধারে অশ্রুবিসর্জন করিতে করিতে মলিনমুখে গৃহে প্রত্যাগমন করিল, এবং অনশনে দেহ ত্যাগ করিবে বলিয়া প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হইয়। ভূমিতলে লুঠাইয়৷ উচ্চৈঃস্বরে ক্র দন ক রিতে লাগিল । দয়াময় ভগবানের নিকটে শ্রেষ্ঠ নিকৃষ্ট ধনী দরিদ্র, ব্রাহ্মণ চণ্ডাল লৌকিক পাপপুণ্য, উত্তম অধমের কোন প্রভেদ নাই ; একান্ত নিষ্ঠাসহকারে যে তাহাকে ভক্তি করে সেই তাহার প্রিয় হয়। মহান্তগণ তাহা । শ্রবণ করিয়া বিস্ময়ে স্তম্ভিত হইলেন এবং | কথিত আছে,এই বারনারীর দুশ্চর তপস্যাচরণে প্রীত হইয়া রঙ্গনাথদেব সেবক ব্রাহ্মণকে স্বপ্নে এই আদেশ করিয়াছিলেন যে, তুমি শীঘ্ৰ গিয়া বারমুখীকে লইয়া আইস, সে স্বহস্তে আমায় অলঙ্কার পরাইয়া দিবে, তুমি তাহাকে ঘৃণা না করিয়া মন্ত্রদীক্ষা দিয়া শিষ্যরূপে গ্রহণ করিবে । তদনুসারে সেবক ব্রাহ্মণ বারমুখীকে দীক্ষা প্রদান করেন ও বারমুখী স্বহস্তে বিগ্রহকে অলঙ্কার পরাইয়া কৃতাৰ্থ হয় । দীক্ষা গ্রহণন্তে বারমুখী আপনার অর্থ সম্পত্তি দীনদরিদ্রদিগকে বিতরণ করিল ও যথাসৰ্ব্বস্ব ব্যয় করিয়া মহামহোৎসবের আয়োজন করত ভক্ত সাধকদিগের সেবা করিয়াছিল, বারমুখী এখন পথের ভিখা কও বেশ্বার সামগ্ৰী বলিয়া সে অর্থ গ্রহণ | রিণী হইয়া ভগবানের প্রেমন্থৰ পানে