পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (ত্রয়োদশ কল্প প্রথম খণ্ড).pdf/১০৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Ծին ՖԵ 3Վ ബം === শ্ৰী যুক্ত বাবু যোগেন্দ্রনাথ বসু বি, এ হেড মাষ্টার দেওঘর সুহৃদবরেষু— দেওঘরের ভিক্ষোপজীবী কুণ্ঠরোগগ্ৰস্থ জনগণের আবাস গৃহ নিৰ্ম্মাণ সম্বন্ধে তুমি যে প্রস্তাব কবিয়াছিলে তাহা আমি সৰ্ব্বাস্তঃকরণেব সহিত অনুমোদন করি । श्रब्र निन झझेल यथन यांभि श्रौक्लिऊ झहेग्न झांन् পরিবর্তন হেতু প্রায় দুই মাস কাল দেওঘr= অবস্থান করি তখন এই হতভাগ্যদিগের অনিৰ্ব্বাচ্য শোচনীয় অবস্থা প্রত্যক্ষ করিতে আমার বিলক্ষণ সুযোগ হইয়াছিল। দেখিয়াছিলাম ইহাল একে রোগের জালায় অস্থির তাহাতে আবার ইহার নিতান্ত নিরাশ্রয় ; ও অন্নহীন ও লোকসমাজে ঘুণিত । বস্তুতঃ ইহাদের দুঃখে সহানুভূতি প্রকাশ করে এমন লোক অতি বিরল। সুতরাং ইহারা অতি কষ্টেই ইহাদের দুঃখময় জীবনভার বহন করিয়া আসি তেছে। কুষ্ঠরোগের যেরূপ প্রকৃতি এবং ঐ রোগাক্রান্ত ব্যক্তি মাত্রেই কাল সহকারে যেরূপ কুৎসিত আকার ধারণ করে তাহীতে মানব হৃদয়ে দয়া ও সহানুভূতির উদ্রেক হওয়া দূরে থাকুক বরং উহাদের প্রতি বিসদৃশ ঘৃণা ও অশ্রদ্ধার ভাব লক্ষিত হয় । এমন কি এই হতভাগ্যদিগকে দেখিবা মাত্র লোকে অস্পৃশ্য বলিয়া উহাদিগকে দূরে রাখিবার চেষ্টা পায়, কিন্তু এরূপ ব্যবহার কখনই ধৰ্ম্মামুমোদিত নহে । বিচার করিয়৷ দেখিলে এ পৃথিবীতে যদি কোন ব্যক্তি আমাদের আন্তরিক সহানুভূতি ও প্রকৃত দয়া দাক্ষিণ্যের পাত্র থাকে তবে সে এই ঈশ্বরনিগৃহীত কুষ্ঠ রোগগ্ৰস্ত হতভাগ্য ব্যক্তিগণ । আমি দেওঘরে থাকিতে এই কুষ্ঠ রোগের নানা অবস্থা স্বচক্ষে প্রত্যক্ষ করিয়াছি। তন্মধ্যে ইহার ক্ষত ও গলিত অবস্থাই অতি ভয়ানক ও জনসমাজের পক্ষে বিশেষ অনিষ্টকারক। এই সময়েই উক্ত কদৰ্য্য রোগ অতিশয় সংক্রামক হইয় উঠে সুতরাং ইহাদের বাস জন্য একটা স্বতন্ত্র স্থান নির্দেশ করা নিতান্ত আবহ্যক । দেওঘর অধিবাসীরা ইহাদের সংস্রবে থাকিয়৷ অতি অল্প কাল মধ্যেই যে এই সংক্রামকতার পরিচয় পাইতেছে কেবল তাহাই নহে ভারতবর্ষের নানা প্রদেশ হইতে সমাগত বৈদ্যনাথ দেবদর্শনার্থী যাত্রীদের মধ্যেও এই রোগ সংক্রামিত হইবার বিশেষ আশঙ্কা দেখা যাইতেছে। এরূপ স্থলে সৰ্ব্বসাধারণের মঙ্গলের জন্য কুষ্ঠ রোগগ্রস্ত ব্যক্তিদের স্বতন্ত্র বাসস্থান নিৰ্ম্মাণ কুষ্ঠ-নিবাস

===========

δώ

সৰ্ব্বত্তোভাবে প্রার্থনীয়। নচেৎ এই রোগের বীজ চতুর্দিকে পরিচালিত ও বৃদ্ধি প্রাপ্ত হইলে কালে সকলেরই উহার ফল ভোগ করিতে হইবে। আশা করি উপরোক্ত কারণ সমূহ পর্য্যালোচনা করিলে কুষ্ঠ রোগীদের জন্য তোমার সাহায্য প্রার্থনার আবেদন জন সাধারণের নিকট সাদরে গৃহীত হইবে, ও সকলে এ কবাক্য হইয়া তোমার পোষকতা করিবেন। তুমি ইতি পূৰ্ব্বে আমাকে বলিয়াছিলে যে ৫০ জন কুষ্ঠরোগীর বাসোপযোগী গৃহ নিৰ্ম্মাণ করিতে গেলে প্রায় দুই সহস্র টাকা ব্যয় হুইবে । আমিও ভাবিয়াছিলাম দেওঘরে একটি বিশ্রাম গুহ নিৰ্ম্মাণ করিব ও নিজের ভ". শরীর রক্ষার্থ সময়ে সময়ে আপনার শ্রমসাধ্য ব্যবসায় ও অপরাপর কার্য্য হইতে আপস্থত হইয়া তথায় আসিয়া বিশ্রাম লাভ করিব কিন্তু এখন দেখিতেছি আমার স্বাস্থ্য অপেক্ষ কুষ্ঠরোগীদের দুরবস্থা বিমোচন অধিকতর প্রয়োজনীয়। উহtদের মঙ্গলোদেশে আমি সে সংকল্প পরিত্যাগ করি লাম। অতঃপর যদি সকলের অভিমত হয় তাহা হইলে আমি নিজ ব্যয়ে কুষ্ঠরোগীদের জন্ত একটা আবাস গৃহ নিৰ্ম্মাণ করিয়া অর্থেব সার্থকতা লাভ ও মাপনাকে চরিতার্থ জ্ঞান করি । এ সম্বন্ধে আমার আর একটি কথা বলিবার আছে যদি দেওঘর অধিবাসীদিগের বিশেষ কোন আপত্তি না থাকে তাহ হইলে ভগবানের কৃপায় আমি যাহার অবিশ্রান্ত ঘত্বে ও মুকুমার সুশ্ৰষায় পুনৰ্ব্বার স্বাস্থ্য লাভ করিয়াছি আমার সেই পতিরত। সহধৰ্ম্মিণীর নামানুসারে এই কুষ্ঠাশ্রমের নামকরণ হয়। পরিশেষে বক্তব্য এই যে ঐ প্রধান প্রয়োজনীয় আবাস গৃহ নিৰ্ম্মাণ করিলেই আমাদের পক্ষে যথেষ্ট হইল না তাহাদের অশন, বসন ও চিকিৎসা প্রভৃতির উপায় বিধান করাও আমাদেব অন্ততর প্রধান কৰ্ত্তব্য । এ সকল ব্যাপার যাহাতে সুচারুরূপে নিৰ্ব্বাহিত হইতে পারে তাহার একটি স্থায়ী বন্দোবস্ত কবিতে হইলে অধিকতর অর্থের প্রয়োজন সুতরাং আমার বিশ্বাস এই যে কুষ্ঠাশ্ৰম প্রতিষ্ঠিত হইবার পূৰ্ব্বেহ স্বদেশবাসী জনগণের মধ্যে র্যাহারা স্বভাবতঃ উদারচেতাও পরোপকারী তাহাদের যত্নে সেই অর্থ সংগৃহীত হইবে । দেওঘরে অবস্থান কালে বৈদ্যনাথ দেবের প্রধান পুরোহিত মহান্ত মহাশয়ের সহিত আমার কথোপকথন হইয়াছিল তাহাতে বুঝিয়াছিলাম যে তিনি মনে করিলে বৈদ্যনাথ দেবের আয় হইতেই নিত্য প্রয়োজনীয় অtহারাদির সুব্যবস্থা করিতে