পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (ত্রয়োদশ কল্প প্রথম খণ্ড).pdf/১১০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ృంNలి তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা ז"זס ג דיף eג হওয়া যায় না । ঈশ্বরের কৃপায় মানবাত্মা ব্রহ্মানন্দ উপভোগ করিতে পাইলে তাহার মধুর রসে আকৃষ্ট হইয়াই, উহা সৰ্ব্বপ্রকার অনিত্য সুখ পরিত্যাগ করে । ধৰ্ম্মসাধন করিয়া যদ্যপি এরূপ কোন তৃপ্তি না পাওয়া যাইত, তাহা হইলে কোন ব্যক্তি উহা সাধন করিতে পারিত না । উহ। অতিশয় নীরস ও কঠোর বলিয়া বোধ হইত। ধৰ্ম্মোৎপাদ্য এই সুমিষ্ট রস প্রাপ্ত হইয়াই সাধক আপনাকে বলীয়ান মনে করে । প্রেমই মানবাত্মার প্রকৃত রস। আত্মপ্রভাবে যে মুক্তি হয় না সাধকগণ ইহা বিলক্ষণরূপে হৃদয়ঙ্গম করিতে সমর্থ হইয়াছেন । র্তাহারা কহেন যতক্ষণ আত্মপ্রভাব আছে বলিয়া বিশ্বাস থাকে ততক্ষণই ব্রহ্মানন্দ প্রাপ্তির প্রতিবন্ধকতা থাকে। আত্মদৰ্প চূর্ণ হইলেই ব্রহ্মকৃপা অবতীর্ণ হয় । তজ্জন্যই ঈশা বলিলেন দীনাত্বাগণ ধন্য কারণ র্তাহারা ঈশ্বর দর্শন করিবেন এবং শ্রীচৈত্য ও বলিলেন সাধক মে পৰ্য্যন্ত আপনাকে তৃণপেক্ষ নীচ দেখিতে না পান সে পৰ্য্যন্ত তিনি হরিসংকীর্তনের যোগ্য হয়েন না। বাস্তবিক ধৰ্ম্মরাজ্যে দীনতা অনুভব করিতে না পারিলে ব্যাকুলত ও প্রার্থনার ভাব বৰ্দ্ধিত হইতে পারে না । যে ব্যক্তি মনে করে আত্মচেষ্টায় পাপমুক্ত ও পবিত্র থাকিতে পারা যায় সে ব্যক্তির প্রার্থনার ভাব অতিশয় ক্ষীণ । দুর্বলতা নিবারণের উপায়ান্তর প্রাপ্ত না হইয়াই সকল সাধক স্বীকার করিয়াছেন, প্রার্থনা ব্যতিরেকে মুক্ত হইতে পারা যায় না, ঈশ্বরের কৃপা হইলেই প্রকৃত মুক্তি হয়, আত্মপ্রভাবে মুক্তি অসম্ভব। কেহ কেহ মনে করিতে পারেন আত্মপ্রভাবে মুক্তি হয় না বটে, - - SAAAASAAS SLLLS MDTCSMSMS কিন্তু মুক্তির নিমিত্ত চেষ্টা হইতে পারে। আমরা বলি এই চেষ্টার কারণ আত্মপ্রভাব নহে, ধৰ্ম্মোৎপাদ্য অপূর্ব সুখ শান্তিই ইহার প্রকৃত কারণ। উহারই আকর্ষণে আমরা ধৰ্ম্মসাধনে প্রবৃত্ত হই । আমরা স্বাধীন বা অধীন জানিতে হইলে কোন যুক্তির সাহায্য গ্রহণ করিবার অাবশুক নাই। আত্মানুসন্ধান দ্বারা আমরা ইছা জ্ঞাত হইতে পারি। ঈশ্বরের নিকটে প্রেমরস ভিক্ষা না করিয়া কেবল আত্মপ্রভাবে পাপমুক্ত ও পবিত্র থাকিতে পারা যায় কি না ? একবার চেষ্টা করিয়া দেখিলেই হইল। কেহ যদি চেষ্টা করেন দেখিবেন, তিনি কৃতকার্য্য হইতে পারিবেন না। পাপ হইতে তিনি আপন চিত্ত কিছুদিন সংযত রাখিতে পরিবেন বটে, কিন্তু পাপের বীজ—পাপইচ্ছ। তাহার চিত্ত হইতে দূরীকৃত হইবে না। এই যে সাময়িক আত্মসংযম অর্থাৎ পাপ হইতে নিবৃত্তি, তাহাও আত্মার স্বাধীন ইচ্ছার কার্য্য নহে। পাপকাৰ্য্য হইতে আমরা যাতনা পাই । সেই যন্ত্রণাই আমাদিগকে পাপ হইতে বিরত হইতে বাধ্য করে । পাপে যাতনা না থাকিলে কেহ পাপ হইতে প্রতিনিবৃত্ত হইতে পারিত না, এমন কি পাপবোধই হইত না । আমরা যেরূপ অপূর্ণ ও দুর্বল জীব, আমাদিগের স্বাধীনতা থাকিলে দুৰ্গতির সীমা থাকিত না । করুণাময় জগদীশ্বর স্বহস্তে অামাদিগকে প্রতিনিয়ত রক্ষা করিতেছেন, তজন্যই আমরা সুরক্ষিত হইতেছি। অনাদি অনন্ত সৰ্ব্বশক্তিমান ঈশ্বরই কেবল | স্বাধীন আর কেহ স্বাধীন নহে। এক্ষণে এক প্রশ্ন হইতে পারে—তবে কি তিনি র্তাহার নিয়ম দ্বারা আমাদিগকে পাপ কার্য্যে প্রবৃত্ত করিয়া যাতনা দিতেছেন ?