পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (ত্রয়োদশ কল্প প্রথম খণ্ড).pdf/১১৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দ্বারা করাও, তুমি না জানাইলে কেহই জানিতে পারে না। অনন্তর গৌরচন্দ্র হরিদাস ও সনাতনকে আলিঙ্গন দিয়া বিদায় হইলেন। চৈতন্যের আদেশমত হরিদাস সনাতনকে বুঝাইয়া বলিতে লাগিলেন, সনাতন, তোমার ভাগ্যের সীমা নাই । তোমার দেহকে প্রভু নিজস্ব বলিতেছেন, তোমার সমান ভাগ্যবান আর কে আছে ? প্রভুর নিজের দ্বারা যাহা হইবে না তাহা তুমি করিবে, বৃন্দাবনে অবস্থিতি করিয়া তুমি ভক্তি-সিদ্ধান্ত-শাস্ত্র প্রণয়ন ও আচার নির্ণয় করিয়া লোকশিক্ষা দিবে, । তথায় আহবান করিলেন । প্রেমভক্তি বৈরাগ্য ভগবৎসেবা তোমার দ্বারা প্রচারিত হইবে, ইহা অপেক্ষ আর সৌভাগ্য কি আছে ? সনাতন, আমার এই পাপদেহ প্রভুর কোন কার্য্যেই লাগিল না, আমি মিথ্যা জীবন ধারণ করি, ভারতভূমিতে আমি বৃথা জন্মগ্রহণ করিয়াছি। সনাতন বলিলেন, তুমি প্রতিদিন তিন লক্ষ হরিনাম সংকীৰ্ত্তন করিয়া জগতে নাম-মহিমা প্রচার করিতেছ। কেহ আপনি আচরণ করে, কিন্তু প্রচার করে না ; কেহ প্রচার করে আচরণ করে না, তুমি আচরণ ও প্রচার দুই কাৰ্য্যই করিতেছ ; তুমি জগতের পূজনীয় ও সকলের গুরু, তোমার ন্যায় সৌভাগ্যশালী আর কেহই নাই । ক্রমে রথযাত্রার সময় উপস্থিত হইলে গৌড়ের ভক্তবৃন্দ পূর্ববৎ নীলগিরিতে আগমন করিলেন । ভক্তসম্মিলনে নীলাচল আবার উল্লাস উৎসবে প্রফুল্লিত ও আনন্দানিল-হিল্লোলে আন্দোলিত হইয়া অপূর্ব শ্ৰীধারণ করিল। নিত্যানন্দ,অদ্বৈত, ঐবাস প্রভূতি প্রধান প্রধান ভক্তদিগের নিকট সনাতন পরিচিত হইলেন । সাৰ্ব্ব ५७ कन्न, ३ छां★ w.=• = - =ള്ള ബ്-ഷ- = ও ভক্তিরসের অদ্বিতীয় রসিকগণ সনাতনের বিনয়াবনত প্রেমবিগলিত স্নিগ্ধমাধুর্য্যপূর্ণ পবিত্র প্রশান্ত মূর্তি, আশ্চৰ্য্য ভগবৎপরায়ণতা, জীবন্ত বৈরাগ্যপ্রভাব এবং স্থগভীর পাণ্ডিত্য ও শাস্ত্রান্তগা বুদ্ধি সনদর্শন করিয়া পরম পরিতোষ লাভ করিলেন। সনাতনের অসাধারণ বিনয় বৈরাগ্য দেখিয়া সকলেরই হৃদয় তাহার প্রতি আসক্ত হইয়াছিল । গৌরাঙ্গ জ্যৈষ্ঠ মাসে একদিন যমেশ্বরটোটা নামক স্থানে কোন ভক্তগৃহে নিমন্ত্রণ রক্ষার্থ গমন করিয়া সনাতনকে প্রভুর আহবান শুনিয়া সনাতন অহলাদে উন্মত্তবৎ হইয়া উঠিলেন। জ্যৈষ্ঠ মাসের মধ্যাহ্নকালে প্রখর সূৰ্য্যকিরণে সমুদ্রের বালুকারাশি অগ্নিবৎ উত্তপ্ত হইয়াছে। বায়ু-সন্তাড়িত প্রতপ্ত বালুকাকণা অগ্নিবৃষ্টির ন্যায় পতিত হইয়া দিকৃসকল দগ্ধ করিতেছে, এই অবস্থায় সেই প্রচণ্ড বালুরাশির উপর দিয়া সনাতন চলিতে লাগিলেন, পদতল দগ্ধ হইতে লাগিল, তত্ৰাচ অনুরাগের মত্ততাতে কিছুমাত্র জানিতে পারিলেন না । তদবস্থায় সনাতনকে দর্শন করিয়া গৌরচন্দ্র জিজ্ঞাসা করিলেন, সিংহদ্বারের শীতল পথে কেন আসিলে না ? সনাতন উত্তর করিলেন,আমি অস্পৃশ্ব অতি হীন দুরাচার, সিংহদ্বারে যাইতে আমার অধিকার নাই । বিশেষতঃ সেখানে জগন্নাথদেবের সেবকেরা সৰ্ব্বদাই গতায়াত করেন,যদি দৈবাৎ তাহাদিগকে স্পর্শ করিয়া ফেলি, তাহা হইলে আমার সর্বনাশ হইবে । সনাতনের বাক্যে সন্তুষ্ট হইয়া গৌর বলিলেন, “যদিও তুমি পবিত্রস্বভাব এবং দেব ও মুনিগণের পূজ্য, তথাপি মৰ্য্যাদাপালন সাধুর ভূষণ স্বরূপ। ভৌম ভট্টাচাৰ্য্য রামানন্দ প্রভৃতি পাণ্ডিত্য ! মৰ্য্যাদা লঙ্ঘন করিলে লোকসমাজে উপ