পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (ত্রয়োদশ কল্প প্রথম খণ্ড).pdf/১১৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ృృషి s७ कछ, * छां★ -ബജ = م===== مد نے کے لیے ہے. खुञ्ज् - = ജ= ക =ജമ്മ്ബ് ഷ ma mzm mmm s-in * -oooo- - আনন্দনীরে নিমগ্ন হয়েন, সনাতনের দেহও আমার পক্ষে সেইরূপ । সনাতনের কণ্ডু ক্লেদময় দেহে আমার ঘৃণা হয় না। বৈষ্ণবশরীরকে সাধারণ মনে করিও না । তাহ। চিদানন্দময় ও অপ্রাকৃত। ভক্ত যখন ভগবানে আত্মসমপণ করিয়া তাহার নামে দীক্ষিত হয়, শ্ৰীহরি তখন তাহার দেহকে আপনার ন্যায় অপ্রাকৃত চিদানন্দময় করিয়া ল’ন, ভক্ত সেই অপ্রাকৃত দেহে ভগবানের ভজনা করেন । ভাগবতে ভগবান বলিয়াছেন,মরণশীল মানব যখন সমস্ত কৰ্ম্ম পরিত্যাগ করিয়া অামার সেবাতে আত্মসমপণ করে তখন সে অমৃতত্ব লাভ করিয়া আমার সহিত একাত্মা হইয়া যায়। সনাতনের শরীরে কণ্ডু উৎপন্ন করিয়া ভগবান আমাকে পরীক্ষা করিলেন, আমি ইহাতে ঘৃণা করিলে প্রভুর নিকট অপরাধী হইতাম । সনাতন, তুমি দুঃখ করিও না, তোমাকে আলিঙ্গন করিয়া আমি অতুল আনন্দ পাইয়া থাকি। এ বৎসর তুমি এইখানে থাক, তার পর তোমাকে বৃন্দাবনে পাঠাইয়া দিব।” “চৈতন্য চরিতামৃতে” কথিত হইয়াছে,গৌরাঙ্গ সনাতনকে পুনর্বার আলিঙ্গন করিলে সনাতনের কণ্ডুরোগ আরোগ্য হইল এবং দেহ সুবর্ণকান্তি ধারণ করিল। অনন্তর দোলযাত্রার উৎসব সমাপ্ত হইলে,বৃন্দাবনে গিয়া সনাতন কি কি কাৰ্য্য করিবেন, তাহার উপদেশ দিয়া চৈতন্য তাহাকে বিদায় দিলেন । বিদায় কালে উভয়ের নয়ন দিয়া অবিরল প্রেমাঞধারা প্রবাহিত হইতে লাগিল । অতিকষ্টে আবেগ সম্বরণ করিয়া সনাতন বিদায় হইলেন । ইতিপূর্বে গৌরচন্দ্র যে যে গ্রাম জনপদ, নানাজাতি-বিহঙ্গ-নিনাদিত স্বরম্য কাননকুঞ্জ, প্রফুল্লিত বৃক্ষলতা, স্বচ্ছ তত্ত্ববোধিনী পত্রিক সলিল গিরিনিকারিণী ও শোভনতম গিরিচড প্রভৃতি বিচিত্র প্রাকৃতিক শো 4." ভার আকর স্বরূপ বনভূমির মধ্য দিয়া বৃন্দাবন গমন করিয়াছিলেন, বলভদ্রের নিকট সনাতন তৎসমুদায় লিখিয়া লইয়। ছোট নাগপুরের সেই বনপথে বৃন্দাবন অভিমুখে চলিতে লাগিলেন। ক্রমশঃ । আমাদের দায়িত্ব । আমাদের জীবনে এই একটী মহা দোষ, যে আমরা অনেক সময়ে নিজের দোষ না দেখিয়া পরের উপর দোষ অারোপ করি। আপনার দুঃখ ক্লেশের জন্য পরকে দোষী করি, নিজের দোষ অনুভব করি না । আবার কখনো কখনো সেই মঙ্গলময় ন্যায়স্বরূপের উপর দোষ আরোপ করি ; প্রতি মুহূর্তে যে র্তাহার করুণা লাভ করিয়া জীবন ধারণ করিতেছি তাহা বিস্মৃত হই । ফলতঃ আমাদের দুঃখ তাপ স্বদোষেই উৎপন্ন হয় ; ঈশ্বর হইতে যে দুঃখ তাপ পাই তাহা অামাদের আত্মগ্লানি এবং তাহা অামাদের ংশোধনেরই মহৌষধ, তাহা অামাদের বিকারের প্রতিকার । এই ঔষধ সেবনের যে কষ্ট তাহ অতি সামান্য, ধর্তব্যের মধ্যেই নয় । আমরা স্বদোষেই বাস্তবিক দুঃখ যাতনা ভোগ করি। যেমন এই বায়ু উপরিস্থ সূর্য্যের উত্তাপ প্রাপ্ত হইলেও তদ্বারা তেমন তপ্ত হয় না, কিন্তু প্রধানতঃ ভূমিগত উত্তাপের দ্বারাই উষ্ণ হয় এবং তাহা যত উৰ্দ্ধে উঠে তত বিশুদ্ধ, সরল ও শীতলতা প্রাপ্ত হয়; সেইরূপ আমরাও নানা দোষে দুষ্ট হইয় তাহার নিকটে গেলে আমাদের মোহজনিত সমস্ত তাপ চলিয়া যায়, তাহার প্রতাপের নিকট