পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (ত্রয়োদশ কল্প প্রথম খণ্ড).pdf/১২৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ృS8 তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা ४७ कछ, ७ छ!' উপস্থিত। আত্মার স্বাধীনতা না থাকিলে, মাত্মার দায়িত্ব বোধ ও কাৰ্য্য-চেষ্টা বিড়স্বনা হইয়। পড়ে । আমরা অবস্থার দাস হইয়া যাই । স্বয়ং ঈশ্বর পাপ ও পুণ্য কার্য্যের কারণ হইয়া যান । ঈশ্বরে নির্দ য়তা, অসমদৰ্শিতা প্রভৃতি দোষ আশে, এবং আত্মায় অলসতা প্রশ্রয় পায় । ইচ্ছাময় পরমেশ্বর ইহা নিরাকরণার্থ মানবাত্মার স্বাধীনতা না থাকিলেও মানব হৃদয়ে এক বিশ্বাস প্রদান করিয়াছেন যে ইহার স্বাধীনতা আছে । আকাশের নীলিমা যেরূপ সত্য ঘটনা ন হইলেও দশকের নিকটে সত্য বলিয়া বোধ হয়, সেইরূপ মানবাত্মার স্বাধীনতা না থাকিলেও উহ! আমাদিগের নিকটে স্বাধীন বলিয়া বোধ হয়। পরমেশ্বর এই বিশ্বাসটা আমাদিগের অন্তরে এরূপ প্রবল করিয়া দিয়াছেন যে শত শত লোক উহার বিরুদ্ধে অভিমত ব্যক্ত করিলেও উহা নষ্ট হয় না। এমন কি আত্মার স্বাধীনতা নাই, এই কথা চিন্তা করিবামাত্র প্রাণে অশান্তি উপস্থিত হয় । আমাদিগের আত্মার স্বাধীনতা কল্পনা করিবার একটী কারণও আছে । আমরা কোন একটা বিষয়ে বদ্ধভাবে | বহু চেষ্টা করিয়াও যখন প্রকৃত স্থখ প্রাপ্ত নিযুক্ত থাকি না, অর্থাৎ কোন একটী বিষয় অামাদিগকে সুখই প্রদান করুক আর দুঃখই প্রদান করুক, তাহাকেই লইয়া আমরা কালাতিপাত করি না । কোন বিষয়ে নিযুক্ত হইয়। যদি আমরা দুঃখ প্রাপ্ত হই, তাহা হইলে অবিলম্বে তাঁহাকে পরিত্যাগ করিয়া অন্য কোন সুখকর বিষয়ে প্রবৃত্ত হই। এমন কি কোন সুখদায়ক বিষয়ে নিযুক্ত হইয়াও যদ্যপি অtমরা জানিতে পারি তদপেক্ষা অধিকতর সুখদায়ক বিষয় অাছে, তাহা হইলে পূৰ্ব্ব বিষয়টা পরিত্যাগ করিয়া পরবিষয় টতে নিযুক্ত হইবার নিমিত্ত আমাদের প্রবৃত্তি হয়। এইরূপে আমরা এক বিষয় ছাড়িয়া বিষয়ান্তরে গমন করিতে পারি বলিয়া আমাদিগের স্বাধীনতা আছে বোধ হয় । কিন্তু এই বিষয়ান্তর গমনের প্রকৃত কারণ কি আমরা অনুসন্ধান করি না । সুখ ও দুঃখের উত্তেজনাকে প্রধান কারণ বলিয়া আমরা বিবেচনা না করিয়া অপেন ইচ্ছাকেই প্রধান কারণ বলিয়া নির্দেশ করি। পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণ শক্তি আবিস্কৃত হইবার পূর্বে মনুষ্যগণ উদ্ধ হইতে ভূপৃষ্ঠে পতিত হইলে যেরূপ মনে করিত তাহারা আপন ইচ্ছা ক্রমে ভূপৃষ্ঠের দিকে আইসে, কোন শক্তির দ্বারা আকৃষ্ট হইয় আইসে না, সেইরূপ মানবগণ সুখের আকর্ষণী শক্তি দ্বারা বিষয় হইতে বিষয়ান্তরে আকৃষ্ট হইয়াও মনে করে তাহার আপন ইচ্ছানুযায়ী আইসে। যাহা হউক উক্ত বিশ্বাসট চিরকাল আমাদিগের হৃদয়ে রাজত্ব করে না । কিন্তু উহা কাহারও কথায় বা কোন যুক্তি দ্বারা দূরীভূত হয় না । মানবাত্মা কল্পিত স্বাধীনতা ধনে ধনী মনে করিয়া কল্পিত আত্ম প্রভাবে সংসারে সুখী হইবার নিমিত্ত চেষ্টা করে, না হয়, তখন তাহার আত্মপ্রভাবে সন্দেহ জন্মে এবং পরে বুঝিতে পারে তাহার কিঞ্চিম্মাত্রও স্বাধীনতা নাই এবং সে পরমাত্মার নিতান্ত অধীন। এই সময়ে মানবাত্ম। আপনাকে অতিশয় দীন হীন ও দুর্বল দেখিতে পায় । সুখী হইবার নিমিত্ত সে কেবল ঈশ্বরকৃপার উপর নির্ভর করে । , দয়াময় ঈশ্বর তাহার ব্যাকুলতা দেখিয়া তাহাকে তৃপ্ত করিবার নিমিত্ত অমৃত রস প্রদান করেন । তৃষ্ণাৰ্ত্ত মানবাত্মা ঈশ্বরপ্রদত্ত স্থধারস পান করিয়া