পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (ত্রয়োদশ কল্প প্রথম খণ্ড).pdf/১৩২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ՏՏ Ե স্বাধীন ; জীবাত্মা পরমাত্মার প্রতিবিম্ব ধারণ করে— ७हे शूराज शांरीौन ; शक् िश्रृंद्र यांङ्कांद्र थडिविच छौतांস্বান্তে সঞ্চারিত না হইত তাহা হইলে বিষয়ের আকর্যণই তাহার সৰ্ব্বেসৰ্ব্বা হইত—আত্মার স্বাধীনতার নাম গন্ধও তাহাতে থাকিত না। পরমাত্মার মুক্তভাব অাদর্শ রূপে জীবাত্মার অন্তঃকরণে প্রতিভাত হয় বলিয়াই জীবাত্মা বিষয়-সুখের আকর্ষণে বিচলিত না হইয়া তাহার অস্থায়িত্ব হৃদয়ঙ্গম করে—আর “श्रांप्रां८क विषग्न-ट्रश रौीशिग्रां ब्रांथिाऊ *ांtव्र ना” ७झेরূপ মনে করে — এবং সেই সঙ্গে আপনার স্বাধী নত। উপলব্ধি করে। স্বাধীনত—মুক্তভাব-অসীম ভাব—এইরূপ নানা শদেব মূলগত অর্থ একই ; | কি ? অবস্তিতি । ইয়া পডিলেও তাঙ্গর মনের নিগৃঢ় প্রদেশে এই রূপ একটি ধ্বনি উঠে যে, এ সুখ আমার জীবনের সৰ্ব্বস্ব নহে। যদি বল যে, ব্রহ্মাননা ও তো একপ্রকার সুখ—কিন্তু একথাটি কেবল কথা মাত্র। পরিমিত বিষয়ের সহিত মাখামাথি ভাবই ঐহিক সমস্ত মুথের মূল ; পশুরা সেই বন্ধনে একেবারেই বিহবল—তাহারা তাহার একটুও এদিক ওদিকে নড়িতে পারে না ; কিন্তু মনুষ্য পরিমিত বিষয়ের বন্ধন হইতে উচ্চে লক্ষ্য নিবিষ্ট করিতে পারে,—মূল সত্যকে জগতের কোথাও পাওয়া যায় না অথচ সেই মূল সত্যকে মনুষ্য অন্বেষণ করে এবং হৃদয়ে উপলব্ধি করে। মনুষ্যের এইরূপ উচ্চ লক্ষ্য তাহাকে পরিমিত কোনো সামগ্রীরই অধীনত। স্বীকার করিতে দেয় না—ইহাই মনুষ্যের স্বাধীনতা ; এবং এই স্বাধীনতাই ব্ৰহ্মানন্দের সোপান। পরাধীনতা বিষয়-সুখের সোপান— স্বাধীনতা ব্ৰহ্মানন্দের সোপান —দুয়ের মধ্যে এইরূপ মূলগত প্রভেদ। কিন্তু পূর্বেই বলিয়াছি যে, পরব্রহ্ম স্বরূপতঃ স্বাধীন ; জীবাত্মা পরমাত্মার আদর্শ অন্তরে উপলব্ধি করে বলিয়া তাহারই গুণে স্বাধীন ; সংক্ষেপে বলিতে হইলে—পরমাত্মা স্বরূপতঃ স্বাধীন—জীবাত্মা প্রতিরূপতঃ স্বাধীন। আমরা যদি নিজের গুণে স্বাধীন হইতাম তবে ঈশ্বরের প্রসাদ যাদ্ধা আবশ্যক হুইত না ; কিন্তু তাহারই আবির্ভাব অস্তরে প্রাপ্ত হইয়া আমরা তাহারই গুণে স্বাধীন— এই জন্ত পাপ হইতে মুক্ত হইবার জন্য র্তাহার প্রসাদ যাদ্ধ। পরম উৎকৃষ্ট ফল-প্রদ। নিম্নলিখিত প্রশ্নোত্তরে সমস্ত পরিষ্কার রূপে প্রকাশ পাইবে । প্রশ্ন। মনুষ্যের বুদ্ধিবৃত্তির স্বাধীনতা কি রূপ ? উত্তর । বুদ্ধির মূলে অপরিসীম মূল সত্যের অাদর্শ বিদ্যমান থাকাতে, তাহ কোনো পরিমিত সত্যে না পরিমিত বিষয়ের বন্ধন হইতে উপরে ! জীবাত্ম সহস্র মুখের আকর্ষণে জডা- ৷ কোথায় আমি ! за 4 я, 2 иј4 সস্তুষ্ট থাকিতে পারে না ; পরিমিত সত্যের অনুসন্ধান কোনো কালেই শেষ হইতে পারে না । পশু-পক্ষীরা পরিমিত বিষয়েই সস্তুষ্ট —সত্যের অপরিমিত মাহাত্ম্য তাছাদের মনে আদবেই অধিকার পায় না ; কাজেই দাড়াইতেছে যে, তাহদের বুদ্ধিবৃত্তি শৃঙ্খলাবদ্ধ। কিন্তু মনুধাবুদ্ধি কোনো পরিমিত বস্তুতে আবদ্ধ থাকিতে পারে না । কেন ? না যেহেতু শুদ্ধ বুদ্ধ মুক্ত সত্যের অাদশ তাহার অন্তঃকরণে ধ্রুবতারার দ্যায় স্থির রহিप्रां८छ् ; उॉछांद्रशे ८छाॉ|ङ cशांश्८भध cउष्ण कब्रिग्री জীবাত্মাতে পতিভাত হয় । প্রশ্ন । মমুষোর ইচ্ছfর স্বাধীনতা কিরূপ ? উত্তর । বিষয়াতীত শুদ্ধ বুদ্ধ মুক্ত সত্যের প্রতিবিম্ব জীবাত্মাকে মুক্তির পথ দেখাইতেছে, জীবাত্ম। বিষয়েব বন্ধনে অt বদ্ধ হইয়। সে পথে সহসা অগ্রসর হইতে পারিতেছে না ; অথচ বুঝিতে পারিতেছে যে, সে পথে যাইতে তাহার অধিকার আছে এবং সেই পথই অন স্তু মঙ্গলের সোপান । এইরূপে সে অাপনার স্বাধীনতা হৃদয়ঙ্গম করিতেছে । কিন্তু সে স্বাধীনতার মূল জীবাত্মা নিজে নহে-শুদ্ধ বুদ্ধ মুক্ত স্বরূপের আদশ যাহা তাছার জ্ঞানে প্রতিবিম্বিত হইতেছে তাহাই তাছার মূল। এই জন্য ঈশ্বরের প্রসাদ যাচূঞা জীবাত্মার স্বাধীনতার পক্ষে মহোপকারী ;— শুদ্ধবুদ্ধ মুক্ত স্বরূপের আদর্শ অস্তরে থাকাতেই জীবাত্ম। স্বাধীন এবং সেই আদর্শ অস্তরে পরিস্ফুট করাই স্বাধীনত পরিস্ফুট করিবার প্রকৃষ্ট উপায়। রাজা রামমোহন রায় । সিটিকলেজ গৃহে রাজা রামমোহন রায়ের স্মরণার্থ সভায় শ্রদ্ধাস্পদ শ্ৰীযুক্ত ক্ষিতীন্দ্রনাথ ঠাকুর কর্তৃক পঠিত । কালিদাস রঘুবংশের গুণকীৰ্ত্তন করিবার পূর্বে বলিয়া গিয়াছেন যে, “ক সূৰ্য্যপ্রভবো বংশঃ ক চাল্পবিষয় মতিঃ” ; আমিও আজ মহাত্মা রাজা রামমোহন রায়ের গুণকীর্তনের পূর্বে সেই কথারই পুনরাবৃত্তি করিতেছি—কোথায় সেই ধৰ্ম্মের বলে বলীয়ান, স্বার্থের প্রতি নিৰ্ম্মম, অগাধ বুদ্ধিমান রাজ রামমোহন রায় আর আমার অত্যন্ত ভয়