পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (ত্রয়োদশ কল্প প্রথম খণ্ড).pdf/১৩৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

f १ ७ द छ, ? उाण ჯ\5ა = *men- s- - =ജ് . --ജബ -- = = ->അ==. --അ==ം--Rങ്ക


F-H

তত্ত্ববােধিনী পত্রিক - SAG SM SMSAS MSMSAS S S S দুষ্প বৃত্তি সকলের সহায়তাই করিয়াছিল। আমরা হয়তো উনবিংশ শতাব্দীর শেষভাগে এই রাজধানী কলিকাতায় বসিয়া পূর্বকার কৌলীন্যপ্রথার নির্দয় পশুভাব সম্যকরূপে উপলব্ধি করিতে পারিব না ! কিন্তু তথাপি আমাদিগের এবিষয়ে একবার ভাবিয়া দেখা কৰ্ত্তব্য, কারণ এই বিদ্যোজ্বল সময়েও আমরা দু-একটী কুলীনের কথা সংবাদপত্রে দেখিতে পাই । এই সেদিন বরিশাল অঞ্চলে একটা ভদ্রলোক অর্থাৎ গবর্ণমেণ্টের কৰ্ম্মচারী ও দ্রবেশধারী ব্যক্তি এককালে পচিশ বৎসর হইতে চারি পাঁচ বৎসরের পর্য্যন্ত ছয় সহোদর ভগিনীদিগকে বিবাহ করিয়া আপনার কুল উজ্জ্বল করিয়াছেন । এই সকল শুনিয়া হৃদয় কি নিদারুণ ঘৃণায় পরিপূর্ণ হইয়া আইসে। । আজ আমরা এই একটী কৌলীন্য প্রথার ; সংঘটন দেখিয়া ঘৃণায় লজ্জায় অভিভূত হইয়া পড়িতেছি। কিন্তু রামমোহন রায়ের সময়ে এমন ঘটনা হয়তো প্রতিগৃহের নিত্য নৈমিত্তিক ঘটনা ছিল এবং ইহার উপরে সহমরণের প্রথা দুৰ্দ্দান্তভাবে রাজত্ব করিতেছিল । হন রায় স্বীয় অমোঘ অস্ত্রবলে কুসংস্কার সমুদয় একেবারে বিচ্ছিন্ন করিয়া ফেলিতে লাগিলেন এবং তখনকার সময়ের দোষে ইহার জন্য র্তাহাকে প্রভূত পরিমাণে স্বার্থত্যাগ করিতে হইয়াছিল ; তিনি যে কিছু মাত্র কুষ্ঠিত না হইয়া অকাতরে স্বাৰ্থত্যাগ করিয়াছিলেন, ইহাতেই তাহার মহত্ত্ব। র্তাহার গ্রন্থাবলী এবং জীবনচরিত পাঠ করিলে জ্বলন্তভাবে অনুভব করি যে, তিনি একজন স্বদেশপ্রেমিক, উদারহৃদয় এইরূপ ঘোর সা- | মাজিক অরাজকতার সময়ে প্রভাতের পূৰ্ব্বগগনে শোভনমূর্তি অন্ধকার-নিরাস-ক্ষম । সৰ্য্যের ন্যায় উথিত হইয়া রাজা রামমো- ৷ নব্যভারতের সংস্কারক ছিলেন। ইংরা#ss got 2 afo atto go necessity is the mother of invention, as offe, a sta উপস্থিত হইলেই তাহা দূর করিবার উপায় উদ্ভাবিত হয়—ইহা অতি যথার্থ। আমরা র্তাহাকেই তত অধিক মহৎ লোক বলিব, যিনি যত পরিমাণে এই অভাব অন্বেষণ করিয়া আপনার প্রাণ পর্যন্ত দিয়াও অভাব নিরাসের উপায় উদ্ভাবন করিতে সক্ষম হইবেন । প্রায় চারি শত বৎসর অতীত হইতে চলি য়াছে, ভারতবর্ষ তান্ত্রিক আচা রের কুজ্ববাটিকায় আচ্ছন্ন হইয়া গিয়াছিল ; পশুবলি যে কত হইত, তাহার কে সংখ্যা করিলে, সময়ে সময়ে নরবলি পৰ্য্যন্ত হইতে শুনা গিয়াছে। ক্রমে দেবতার পূজার্থ যত হউক বা না হউক, নিষ্ঠুর পশুবলি, তান্ত্রিকদিগের উদরের এবং তৎসঙ্গে হিংসা,নিষ্ঠুর আমোদ প্রভৃতি পশুবৃত্তিরও পরিতৃপ্তি সাধন করিত। যে দেশের ঋষিগণ সকল কৰ্ম্মই ধৰ্ম্মের সহিত সংযুক্ত রাখিতে কহিয়াছেন ; যে দেশের শাস্ত্রসমুদ্র, নিবৃত্তি সংযমের শ্রেষ্ঠত সহস্ৰ সহস্ৰ বৎসর ঘোষণা করিয়া আসিয়াছে, সেই দেশের সাধু ব্যক্তিগণ, প্রকৃত মমুষ্যত্বের প্রতি তান্ত্রিকদিগের এরূপ অত্যাচার এবং ধৰ্ম্মের নামে অধৰ্ম্মের এরূপ ভয়াবহ প্রশ্রয়দান কখনো কি সহ্য করিতে পারেন ? তাই তদানীন্তন ধৰ্ম্মালোচনার প্রধানস্থান নব দ্বীপ হইতে প্রেমের অবতার চৈতন্যদেব উঠিয়া ‘অহিংসাই পরম ধৰ্ম্ম এবং ভগবস্তুক্তিই জগতে সার’ এই দুই মন্ত্রবলে,সঙ্কীৰ্ত্তনের উন্মাদিনী শক্তিতে, দয়াপ্রবণ ভারতবাসীর অন্তর্নিহিত দয়াবৃত্তি ও ভগবৎপ্রেম জাগ্ৰত করিয়া তুলিলেন। চৈতন্য তখনকার এই ধর্মের অভাব হৃদয়ঙ্গম করিয়া বিস্তর স্বাৰ্থত্যাগের