পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (ত্রয়োদশ কল্প প্রথম খণ্ড).pdf/১৩৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

موvو چیخwtf রাজা রামমোহন রায় ১৩১ _ _ _ _ ജബ বলে সেই অভাব মোচন করিলেন, তাই । তিনি একজন মহাত্মা পুরুষ । চৈতন্য ,mom صيجي = مصاص তে বাঙ্গালী জাতি সংগঠন হইবার প্রথম সূত্রপাত হইল ; এই সময়েই বঙ্গদেশীয় ধৰ্ম্মসংস্কার করিয়াই ক্ষান্ত ছিলেন, কিন্তু ! গণ আপনাদিগের অজ্ঞাত ভাবে এক রামমোহন রায় ভারতবাসীর জন্য কেবল মাত্র ধৰ্ম্মসংস্কার করিয়াই ক্ষান্ত হয়েন নাই ; যাহাতে ভারতবাসীর কি ধৰ্ম্ম, কি সাহিত্য, কি রাজনীতি, কি সমাজনীতি, সকল বিষয়ের সর্বাঙ্গীণ উন্নতি হয় তাহাই রামমোহন রায়ের প্রাণগত অভিলাষ ছিল । তিনি নব্যভারতের নানা প্রকার অভাব হৃদয়ঙ্গম করিয়া সেই অভাব নিরাসের উপায় উদ্ভাবনে যত্নবান হইয়াছিলেন এবং আপনার সমূহ ক্ষতি স্বীকার করিয়াও সেই অভাব সমূহ দূর করিতে কৃতকাৰ্য্য হইয়াছিলেন ; তাহার সংস্কার ধৰ্ম্মবিষয়ে সীমাবদ্ধ না হইয়া সৰ্ব্বতোমুখী হইয়াছিল । ইহাতেই তিনি প্রাতঃস্মরণীয় মহাত্মা পুরুষ এবং ইহারই জন্য তিনি নব্যভারতের সংস্কারকদিগের শীর্ষস্থানীয় । কিন্তু তিনি যে সকল নূতন সংস্কারে হস্তক্ষেপ করিয়াছিলেন, সেই সকল প্রকার নূতন সংস্কার সুদৃঢ় ধৰ্ম্মের ভি- | ত্তির উপর প্রতিষ্ঠিত করিয়াছিলেন। তিনি প্রথমে স্বীয় ধৰ্ম্মপিপাসার বলে জ্ঞানের সিংহাসনে স্থপ্রতিষ্ঠিত, ঋষিদিগের সেই পুরাতন ধৰ্ম্ম আনয়ন করিলেন ; পরে সেই ধৰ্ম্মের সুবিমল জ্যোতিতে সামাজিক প্রভূতি অন্যান্য সকল বিষয়ই আলোকিত করিয়া দেখিলেন যে, এই সকলেও কুসংস্কারের নিবিড় অন্ধকার রাজত্ব করিতেছে । তখন তিনি ধৰ্ম্মের কেন্দ্রভূমিতে দাড়াইয় সকলপ্রকার কুসংস্কারই উন্মলন করিতে কৃতসংকল্প হইয়া প্রাণপণ পরিশ্রম করিলেন এবং প্রায় সকল বিষয়েই কৃতকাৰ্য্য হইলেন । এই সময়েই প্রকৃতপক্ষে নূতন ংস্কার ও পুরাতনপ্রিয়তার ঘাত প্রতি জাতীয়সূত্রে সম্বদ্ধ হইতে চলিল । ব্রহ্মবিদ্যা যে ভারতবাসীদিগের পৈতামাহ সম্পত্তি, তাহাদিগের নিকট এবং বিশেষতঃ র্তাহার স্বদেশীয় বঙ্গবাসীদিগের নিকট, সেই ব্রহ্মবিদ্যা থানয়ন করিতে গিয়া রামমোহন রায়কে বিশেষ কষ্ট পাইতে হইয়াছিল, কিন্তু ইহা আশ্চর্য্য নহে। সহস্র মূল্যবান পদার্থও অব্যবহার বশতঃ ধূলিরাশি পরিপূর্ণ হইয়া মলিন হইয়া যায়। আর্য্য ঋষিগণ বিস্তর সাধনার বলে ব্রহ্মবিদ্যালাভ করিয়াছিলেন ; কিন্তু নানা ঘটনার স্রোতে পড়িয়া তাহাদিগের পরবর্তী অনেক বংশ মূর্তিপূজার আশ্রয় গ্রহণ করিয়াছিলেন——এদিকে ব্রহ্মবিদ্যার উপর নানাপ্রকার কুসংস্কার জঞ্জাল আসিয়া ব্রহ্মবিদ্যাকে আবরণ করিয়া ফেলিল । কিন্তু এই ব্রহ্মবিদ্যার দু-একটি কিরণরেখা রাশীকৃত জঞ্জাল ভেদ করিয়া বাল্য কালেই রামমোহন রায়ের চক্ষে আসিয়া পড়িয়াছিল। সেই দু-একটি কিরণরেখাতেই তিনি এরূপ মুগ্ধ হইয়া পড়িয়াছিলেন যে, সেই বাল্যকালেই পিতামাতা কর্তৃক প্রদত্ত নিৰ্ব্বাসনদণ্ডের প্রতি ভ্ৰক্ষেপমাত্র না করিয়া তিনি কেবল একমাত্র সত্যলাভের আশায়, নিৰ্ভয়ে অটলভাবে “হিন্দুদিগের পৌৰুলিক ধৰ্ম্মপ্রণালী” নামক এক সুতীক্ষ কুঠারের দ্বারা কুসংস্কারের দুর্ভেদ্য অরণ্য ভদ করিতে অগ্রসর হইলেন । এই গ্রন্থ লিখিয়া তিনি পিতামাতা কর্তৃক বাটি হইতে বহিষ্কৃত হইলেন এবং তিনি এই সময়ে বৌদ্ধধৰ্ম্মের তথ্যানুসন্ধানের নিমিত্ত একাকী পদব্রজে এমন কালে তিববতযাত্রা করিলেন, যখন আজিকার মত বাষ্পীয়