পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (ত্রয়োদশ কল্প প্রথম খণ্ড).pdf/১৩৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

यtर्डिक w» ° সেই বিষয়ই যথাসাধ্য উল্লেখ করিলাম। র্তাহার সামাজিক, রাজনৈতিক প্রভূতি ংস্কার সম্বন্ধে এবং তাহার উদারত। প্রভৃতি সম্বন্ধেও অামা অপেক্ষা অনেক বিজ্ঞতর ব্যক্তি কর্তৃক তানেকবার অনেক কথা হইয়া গিয়াছে, সুতরাং সে সকল বিষয় এখানে বিশেষভাবে উল্লেখ করিতে ক্ষান্ত থাকিব ! তবে তাহার সেই সকল সংস্কার কার্য্যে যে স্ত্রীজাতির প্রতি প্রগাঢ় শ্রদ্ধা প্রকাশ পাইয়াছিল, পরিবর্তনের এই মুখ্য সময়টালে, সে বিময় অন্ততঃ কিছু ও আলোচনা করা তা বশ্যক । ইহ জগতে অখিল মাতা পরমেশ্বরের প্রতিনিধিস্বরূপ, স্নেহমমতায় মাতৃস্থানীয় নারীজাতির প্রতি র্যাহার শ্রদ্ধা নাই, যিনি নারীজাতির মাতৃত্বকে স্বচ্ছন্দে অবহেলা করিতে পারেন, তিনি বোধ হয় যথার্থ বড়লোক কদাপি হইতে পারিবেন না । সম্প্রতি যিনি সমস্ত ভারতকে কাদাইয়া । আনন্দধামে গমন করিয়াছেন, সেই ঈশ্বর- , চন্দ্র বিদ্যাসাগর মহাশয়ের নারীজাতির ' প্রতি কত প্রগাঢ় শ্রদ্ধা ও সহানুভূতি ছিল । সকলেই বোধ হয় জানেন যে, তিনি একদা গ্রীষ্মকালের দ্বিপ্রহরে ক্ষুধাতুর তৃষ্ণাতুর হইয়া এক দোকানে গিয়া দোকানীর নিকট জলপ্রার্থনা করিলেন । দোকানী কেবল জলই দিতে প্রস্তুত হইল ; তাহার স্ত্রী তাহীকে কেবলমাত্র | জল দিতে নিষেধ করিয়া প্রথমে যৎকিঞ্চিৎ ৷ আহারীয় দ্রব্য গুহ হইতে অনিয়া দিতে বলিল ; তাহাতে দোকানী ক্রুদ্ধ হইয়া স্ত্রীকে তিরস্কার করিয়া বলিতে লাগিল যে, তাহার জ্বালায় সংসারে কিছু সঞ্চিত থাকিবার উপায় নাই । স্ত্রী এরূপ তিরস্কার সহ করিয়াও ক্ষুধার্ত বিদ্যাসাগর মহাশয়কে কিছু আহারীয় আনিয়া প্রদান রাজা রামমোহন রায় -ബ** = ജ= ജ ՏNԾ(t করিল ! এই এক ঘটনাতেই বিদ্যাসাগর মহাশয় নারীজাতির স্বকোমলভাব, র্তাহtদিগের মাতৃত্ব সুস্পষ্ট উপলব্ধি করিলেন। তিনি যেমন আপনার মাতাকে সাক্ষাৎ দেবতারূপে দেখিতেন, সেইরূপ সমস্ত স্ত্রীজাতিকে মাতৃচক্ষে দেখিয়া তাহাদিগের দুঃখনিবারণের জন্য প্রাণপণ চেষ্টা করিয়া ছিলেন । রামমোহন রায় ও স্ত্রীজাতিকে অত্যন্ত শ্রদ্ধাভক্তি করিতেন । তিনি যখন তিববত প্রদেশে একাকী অসহায় অবস্থায় গমন করিয়াড়িলেন, সেই সময়ে সেখানকার স্ত্রীলোকেরাই পুরুষদিগের সহস্র প্রকার অত্যাচার হইতে র্তাহাকে রক্ষা করিয়াছিল। রামমোহন রায় ও এই এক ঘটনাতেই স্ত্রীজাতির হৃদয় দেখিয়া মুগ্ধ হইয়া গিয়াছিলেন; এমন কি,তাহার জীবনের শেষভাগেও যখন এই ঘটনার কথা উল্লেখ করিতেন, তখন তাহার চক্ষু হইতে অবিরলধারে অশ্রু বহিতে থাকিত । সেই যে তিনি তিববত হইতে স্ত্রীজাতির স্নেহমমতা হৃদয়ে অঙ্কিত করিয়া আনিয়াছিলেন, জীবনের শতসহস্ৰ বিঘ্ন বিপত্তি ও তাহা মুছিয়া দিতে সক্ষম হয় নাই। “স্ত্রীলোকদিগের প্রতি র্তাহার ব্যবহার অতি চমৎকার । স্ত্রাজাতিকে তিনি অত্যন্ত সমাদর করিতেন । র্তাহার একজন আত্মীয় বলেন যে, তিনি যখন বসিয়া থাকিতেন, তখন কোন স্ত্রীলোককে তনি তাহার সহিত দাড়াইয়া কথা কহিতে দিতেন না । হয়, স্ত্রীলোকটকে বসাইতেন, নতুবা নিজে দণ্ডায়মান হইয়া তাহার সহিত কথা কহিতেন।”ঃ তিনি যে কেবল স্ত্রীজাতির সহিত উত্তম ব্যবহার করিতেন, তাহা নহে, তিনি র্তাহাদিগের প্রকৃত • সুযোগ্য লেখক খ্রযুক্ত নগেন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় প্রণীত "রামমোহন রায়ের জীবন চরিত।”