পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (ত্রয়োদশ কল্প প্রথম খণ্ড).pdf/১৪৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ه د ناد 8 %Rff ృ\లిన) _ க_ _ SS SSSSSSMMSSSLSSSSSS SMMMS SSSS LS SS রাজা রামমোহন রায় প্রকারে বুঝাইতে হয়, অল্পবুদ্ধি ছাত্রের নিকট আর এক প্রকারে বুঝাইতে হয়। কিন্তু পারমার্থিক সত্য ধারণ করা কেবল মাত্র জ্ঞানের কার্য্য নহে, তাহ৷ সঙ্গে সঙ্গে হৃদয়ের ও কার্য্য; এই জন্য যতটা পারা যায় হৃদয়ে গুরুতর আঘাত না লাগে, এরূপ ভাবে ব্রাহ্মধৰ্ম্ম প্রচার করা কর্তব্য। আমরা ঋষিদিগের সঞ্চিত ব্রহ্মজ্ঞান লাভ করিয়াছি । বলিয়া; তাহাদিগের ব্রজ্ঞজ্ঞান আমাদিগের জীবনে পরিণত করিতে যাইতেছি বলিয। তামাদিগের জাতীয় ভাব ত্যাগ রামমোহন রায় প্রত্যেক ধৰ্ম্মাবলম্বীদিগের নিকট তাহাদিগের আপনাপন দেখাইয়া গিয়াছেন যে প্রত্যেক জাতিতে জাতীয়ভাব রক্ষা করিয়া ও সত্যধৰ্ম্ম প্রচার করিতে বাধ্য হয় না। এমন কি, তিনি একস্থানে বলিয়াও গিয়াছেন যে “শাস্ত্রা লুসারে আহার ও ব্যবহার নিম্পন্ন করা উ- ! চিত হয় ।” তিনি আর এক স্থানে বেদান্তসূত্রের কথা উদ্ধৃত করিয়া বলিলেন যে বর্ণাশ্রম ধৰ্ম্ম ত্যাগ করিলেও ব্রহ্মজ্ঞান হইতে পারে; “বর্ণাশ্রমাচার বিনা ও ব্রহ্মজ্ঞানের সাধন হয় । রৈক্য প্রভূতি বর্ণশ্রমাচারের অনুষ্ঠান না করিয়া ও ব্রহ্মজ্ঞান প্রাপ্ত হইয়াছেন । ... ... . তবে ■ @ @ ■ ■ @ বর্ণাশ্রম ধৰ্ম্মত্যাগী যে সাধক তাহা হইতে বর্ণাশ্রম বিশিষ্ট যে সাধক তাহাকে শ্রেষ্ঠ করিয়া কহিয়াছেন।” ‘জাতীয়ভাব রক্ষা করিয়া ব্ৰহ্মজ্ঞান প্রচার’ এই মূলমন্ত্র তাহার জীবনে কেমন সুন্দররূপে দেখাইয়াছেন । তিনি উপবীত আমরণ রক্ষা করিয়াছিলেন, এমন কি র্তাহাকে সমাধিস্থ করিবার সময় তাহার করিবার । কি নিতান্তই আবশ্যক ? না কখনই নহে। । করিয়া সেই তিব্বত পরিব্রাজক রামমোহন রায়ের উপযুক্ত বীরত্ব প্রদর্শন ধৰ্ম্মশাস্ত্র হইতে একেশ্বরবাদ প্রচার করিয়া ! অনুরোধ করিয়াছিলেন যে মৃত্যুর পরে খৃষ্টীয় অনুষ্ঠান অনুসারে সমাধি দেওয়া না হয় ; কিন্তু আবার এদিকে যখন বৰ্ত্তমান লেখকের পূজ্যপাদ পিতামহ তাহার পিতার হইয়া রামমোহন রায়কে দুর্গাপূজায় নিমন্ত্রণ করতে গিয়াছিলেন, তখন রামমোহন রায় সে নিমন্ত্রণ বিনীত ভাবে প্রত্যাখ্যান করিয়াছিলেন , এবং তখনকার কালে দুর্গোৎসবের কুৎসিত অকুৎসিত নানা প্রকার বৃথা আমোদের প্রলোভন অতিক্রম করিতে পারিয়া, এবং ব্রহ্ম প্রীতিতেই আপনার সমুদয় প্রীতি স্থাপন করিয়াছিলেন । এই স্থলে শ্ৰীযুক্ত নগেন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় মহাশয়ের লিখিত রামমোহন রায়ের সুন্দর জীবনচরিত হইতে কয়েক পংক্তি উদ্ধৃত না করিয়া থাকিতে পারিলাম না । তিনি র্তাহার সাৰ্ব্বভৌমিকতা ও জাতীয়ভাব এই উভয়ের সামঞ্জস্য দেখাইতেছেন । “রামমোহন রায় যদি সম্পূর্ণ অসাম্প্রদায়িক ও সার্বভৌমিক ভাবে সমাজ স্থাপন করিয়াছিলেন, তবে তিনি সেই সমাজকে হিন্দুভাবে সজ্জিত করিলেন কেন ? বাস্তবিক তিনি সমাজকে বিশেষরূপে হিন্দু আকার দিয়াছিলেন । ব্রাহ্মণ বেদীতে বসিয়া বেদপাঠ করিতেছেন, বৈদিক শ্লোকের ব্যাখ্যা হইতেছে, এ সকল সম্পূর্ণ হিন্দুভাব । টষ্টউড পত্রের অসাম্প্রদায়িক উদারভাব, এবং ঐরুপ হিন্দুভাবের মধ্যে সঙ্গতি হইতে পারে কি না, ইহাই বিবেচনার বিষয় । “কেহ কেহ উহার জন্য রামমোহন রায়কে অসঙ্গতি দোষে দোষী কহিয়াছেন। গলায় উপবীত দেখা গিয়াছিল এবং তিনি । আমরা সেরূপ কোন দোষ দেখি না ।