পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (ত্রয়োদশ কল্প প্রথম খণ্ড).pdf/১৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

כיל של אזויה? নববর্ষ ব্রাহ্মসমাজ SS so লোভে ব্ৰজবাসীর ভাবে করে অনুগতি । শাস্ত্র যুক্তি নাহি মানে রাগালুগার প্রকৃতি। बांश उाखव्र श्झांद्र छूझेऊ मांथन । বাহ্যে সাধক দেহে করে শ্রবণ কীৰ্ত্তন ॥ এই মত করে যেবা রাগানুগ ভক্তি । কৃষ্ণের চরণে তার উপজয়ে প্রীতি ॥ প্রেমাঙ্কুরে রতি, ভাব হয় দুই নাম । যাহা হইতে বশ হন শ্ৰীভগবান ॥ যাহা হইতে পাই কৃষ্ণের প্রেমরস ধন । এই ত কহিল অভিধেয় বিবরণ ॥ চৈঃ চঃ মধ্যখণ্ড ২২ অধ্যায় । ক্রমশ: | to mo নববর্ষ ব্রাহ্মসমাজ । ১ বৈশাখ সোমবার, ব্রাহ্মসম্বৎ ৬২ ৷ র্যাহার মঙ্গল ইচ্ছায় সংবৎসর পরিবর্তিত হইতেছে—ঋতু-চক্র পরিবর্তিত হইতেছে ; জগৎবাসী অমৃতের পুত্র কন্যাগণের সহিত —সূর্য্যের উদয়াস্ত হইতেছে—এবং মনুষ্যের আত্মাতে জ্ঞানধৰ্ম্ম বিকসিত হইয়। অপরিবর্তনীয় সত্য এবং মঙ্গলের প্রতি হস্ত প্রসারণ করিতেছে বৎসরের প্রারম্ভ মুহুর্তে সেই মঙ্গলের অাকর পরম দেবতাকে বার বার নমস্কার করি । আমরা সুখেই থাকি দুঃখেই থাকি ; সম্পদেই থাকি বিপদেই থাকি--সকল সময়েই আমরা তাহারছ মঙ্গল-ক্রোড়ে অবস্থিতি করিতেছি;—তিনিই আমাদের অন্ধকারের জ্যোতি—শোকতাপের শান্তিবারি—বিপদের কাণ্ডারী। তাই আমরা এই কল্যাণ মুহুর্তে নূতন বৎসরের দ্বারোপান্তে কৃতাঞ্জলি-পুটে দণ্ডায়মান হইয়া প্রথমেই র্তাহার চরণে প্ৰণিপাত করিতেছি—তিনি আমাদিগকে চিরজীবন তাহার মঙ্গলচ্ছায়ায় রক্ষা করুন। I সংসারের নামই পরিবর্তন—কাল পরিবৰ্ত্তি ত হইতেছে, ধন জন জীবন পরিবর্তিত হইতেছে,এই পরিবর্তনের তুমুল বিভ্রান্তির মধ্যে আত্মার অভ্যন্তরে পরমাত্মার মুখ জ্যোতিই মঙ্গলের একমাত্র ধ্রুব তারা । র্তাহার মঙ্গল জ্যোতি অন্তরে প্রকাশিত হইলে সংসার-সমুদ্রের তুমুল কোলাহল তৎক্ষণাৎ নিস্তব্ধ হইয়া যায়, এবং মোহশোকের যবনিকা অপসারিত হইয়া গিয়া মনশ্চক্ষুতে দেবলোকের মহিমা প্রভাসিত হইয়া উঠে । ভগবদ্ভক্ত সাধু সজ্জনের নিপাপ নিষ্কলঙ্ক পবিত্র আত্মা হইতে দেবলোক দূরে অবস্থিতি করে না ; যেখানে পরমাত্মার মুখ-জ্যোতি প্রকাশমান সেই খানেই পুণ্য লোক, সেইখানেই দেবলোক, সেখানেই মোক্ষধাম । ইহ লোকে বা পরলোকে সত্য সুন্দর মঙ্গল স্বরূপ পর মাত্মার জ্যোতিৰ্ম্ময় সন্নিধানে র্যাহার। সুবিমল আনন্দে নিরন্তর ভাসিতেছেন,সেই এক সঙ্গে মিলিয়া অদ্য আমরা আমাদের পরম-দেবতার মহিমা গানে, বিগত বৎসরের সমস্ত রোগ শোক পাপতাপ দূরে নিৰ্বাসিত করিয়া দিব এবং সম্মুখাগত বৎসরের প্রারম্ভে হৃদয়াভ্যন্তরে দিগন্তভেদী মঙ্গল-সোপানের মূল পত্তন করিব— তাই আমরা অদ্য এখানে সবান্ধবে সমাগত হইয়া সৰ্ব্বাগ্রে নিখিল মঙ্গল-বিধাতা পরমাত্মার প্রসাদ যাচঞা করিতেছি । হে বিঘ্নবিনাশন পতিত পাবন জগতের পিতামাতা ! তোমার অভয় মঙ্গল মূর্তি আমাদিগের নিকট প্রকাশিত কর। সূর্যের জ্যোতিতে যেমন তুমি পৃথিবীকে জ্যোতিস্মান কর, তেমনি তোমার আনন্দ জ্যো. তিতে আমাদের আত্মাকে জ্যোতিষ্মান কর । অসত্য হইতে আমাদিগকে সত্যের