পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (ত্রয়োদশ কল্প প্রথম খণ্ড).pdf/১৭৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

סיגשג אוי) z= কথায় মিউজিক বলা হইত, মিউজিকটা যেন গাছের গুড়ির স্বরূপ ছিল । ইউরোপে সঙ্গীতের যথার্থ উন্নতি খুন্টধৰ্ম্মের প্রভাবে হয়। পূর্বে ইউরোপে সঙ্গীত ভারি নীরস ছিল ; তথাকার অন্যান্য দেশের কথা আর কি বলিব, দুই সভ্য প্রাচীন দেশ গ্রীস ও রোমেরই সঙ্গীত কর্কশ ছিল ; গ্রাসের অপেক্ষা রোমের সঙ্গীত অধিকতর জঘন্য ছিল । রোমীয় সঙ্গীতের ঘোর রুক্ষ বেশ পূর্বেই বলিয়াছি অপেক্ষাকৃত ভাল গ্রীসীয় সঙ্গীতের দ্বারা বিশেষরূপে পরিবর্তিত হইয়া যায়। যাহা হউক, বস্তুতঃ প্রথমে ইউরোপের কোন প্রদেশেরই সঙ্গীত জীবন্ত মধুর, প্রাঞ্জল, যথার্থ উন্নত ছিল না, কিন্তু খৃষ্টধর্মের আবির্ভাবের পর খৃষ্টধৰ্ম্ম রোমীয় ধৰ্ম্মযাজ কদিগের দ্বারা সঙ্গীতের সমূহ উন্নতি ঘটে । র্তাহারা নিরাপদে র্তাহt সঙ্গীত । $ጓJ) = ধৰ্ম্ম সম্পৰ্কীয় অনুষ্ঠানে খুব ঘটার সহিত সঙ্গীত যোগের কথা উল্লেখ করিয়া গিয়াছেন, তবুও তাঁহা হইতে হিব্রু সঙ্গীতের অবস্থা বুঝিবার যে নাই, হিব্রু সঙ্গীত যে কিরূপ ছিল এবং তাহা অপর দেশকে কিছু স্পর্শ করিয়াছে কি না তাহা কিছুই জানা যায় না বf rলও চলে । হিব্রুজাতি সাধারণতঃ যেমন অন্যান্য শিল্প বিজ্ঞানেও বিশেষ উন্নতিলাভ করিতে পারে নাই, সেইরূপ তাহারা সঙ্গীতবিদ্যাতে ও বিশেষ উন্নতি করিতে পারে স্নাই । তাহীদের মধ্যে কোনরূপ স্বরলিপির চিতুমাত্র ও পাওয়া যায় না । সঙ্গীত তাহারা মিসর বাসীদিগের নিকট শিখিয়াছিল। দের নিস্তব্ধ ধৰ্ম্মমন্দিরে বসিয়া একাগ্রচিত্তে । ধৰ্ম্ম কার্য্যে সহায়তালাভের জন্য সঙ্গীতের চর্চায় প্রবৃত্ত হইতেন। খৃষ্টধর্মের প্রভাবে, ইউরোপীয় সঙ্গীতে মাধুর্য্য, সৌন্দর্য্য ও কারুণ্য সঞ্চারের সূত্রপাত হয় । সকল দেশেই ধৰ্ম্মের মধুরিমায় সঙ্গীত মধুর হইয়াছে, উন্নতিলাভ করিয়াছে। খৃষ্টের স্বজাতি ইহুদিদিগের দ্বারা ইউরোপে কি কিছু সঙ্গীতের উন্নতি হইয়াছে ? খৃষ্টের ধৰ্ম্ম ইউরোপকে স্পর্শ করিল, মগ্ন করিল, এই সুযোগে ইহুদিদিগের সঙ্গীত ইউরোপকে সম্ভবতঃ স্পর্শ করিয়াছে বলিয়া মনে হইতে পারে। কিন্তু কই ? হিব্রু সঙ্গীতের প্রভাবের কথা কোন কালে তেমন তো শোনা যায় না । ওল্ড টেষ্টমেণ্টের গ্রন্থকর্তারা বারবার সঙ্গীত অভ্যাসের কথা এবং ডেভিড সলোমন এই দুই রাজার অধীনে ইত্রেলীয় মিসরে সঙ্গীতের মন্দ উন্নতি হয় নাই, তাহার বেশ প্রমাণ পাওয়া যায়। পর্য্যটকের প্রাচীন মিসরের মমিদিগের সমাধি গৃহ পৰ্য্যবেক্ষণ করিয়া, মিসরে সঙ্গীতের উন্নতি সম্বন্ধে অনেক চিন্তু পাইয়াছেন । কোন মমি সমাধিগৃহের দেয়ালে এইরূপ চিত্র অঙ্কিত অাছে—-ছয় জন নটী সাদা কাপড় পরিয়া রহিয়াছে, তাহাদের স্কন্ধের উপর কালো আল্গা পশমের জাল ঝুলিতেছে, তাহাদের ঘন কৃষ্ণ কুন্তল ভাজ ভঁাজ হইয়া পড়িয়াছে ; সেই কুন্তলগুলি তাহাদের মস্তকের চতুর্দিকে ঝুলিবার দরুণ মুখাবরণ-সদৃশ শোভা পাইতেছে। সেই ছয় জন চিত্রে এমনি ভাবে স্থাপিত যে, দেখিলে মনে হয় যেন তাহারা সারি বাধিয়া চলিতেছে এবং এক সময়ে সকলে বাজাইতেছে । তাহীদের মধ্যে যে প্রথম নেত্রী তাহার হস্তে চতুর্দশতন্ত্রিসংযুক্ত একটা হাপর্যন্ত্র, দ্বিতীয়ের হস্তে একটা গিটার যন্ত্র। এই গিটার যন্ত্র আধুনিক ইউরোপীয় গিটারের অসদৃশ নহে ; তৃতীয়ের হস্তে একটা সুনিৰ্ম্মিত বীণা ; চতুর্থ নট