পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (ত্রয়োদশ কল্প প্রথম খণ্ড).pdf/১৭৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ه: باد ۳۲ ع

কলরব করিতে দেখিয়াছি। প্রায় প্রতিদিন তাহাদিগকে ঐরপ গানবাজনার সময় আসিতে দেখিয়া আমার মনে এই ধারণা হয় যে উহারা নিশ্চয়ই সঙ্গীতের মাধুরীতে আকৃষ্ট হইয়াছিল, এবং সেই জন্য গাইতে গাইতে তাহাদের দিকে কতবার আমাদের দৃষ্টি পড়িয়াছিল। সঙ্গীতের আশ্চর্য্য মোহিনী শক্তি ! কথিত আছে ইহার মোহিনী শক্তির প্রভাবে গ্রীসের অরফিয়স্ অরণ্যের পশুদিগকে বশীভূত করিয়াছিলেন, নদীর গতি স্থির করিয়াছিলেন, এমন কি মহান বিটপী সমূহও র্তাহার সঙ্গীতমাধুরীতে আকুল হইয়া অবনত হইয়াছিল। আমাদের শ্ৰীকৃষ্ণের বঁাশীর কি মোহিনী শক্তি ছিল । তিনি এমনি বাজাইতেন যে র্তাহার বঁাশীর সেই সুললিত ভাবপূর্ণ ধ্বনি শুনিয়া জাভীর-কন্যারা যখন যমুনার তীরে জল আনিতে যাইত তখন তাহারা সহজে গৃহে ফিরিয়া যাছতে পারিত না এমনি মোহিত হইত। আর অধিক কি বলিব, শ্ৰীকৃষ্ণের বংশীধ্বনির কথা সৰ্ব্বজনবিদিত । সকলেই জানেন বোধ হয়, “লা মার্সেইল” নামক এক সঙ্গীতের বলে ফরাসিজাতির কিরূপ রণোন্মত্তত জম্মিয়াছিল ! একবার পূর্বে রায়জেনেরোতে তথাকার নিগ্রোর কাজকৰ্ম্ম বশত যে পথে গমনাগমন করিত সেই পথ খুব উচ্চ ছিল বলিয়া তাহারা যাতায়াতের শ্রম সহজ করিবার জন্য সার বাধিয়া গান গাইতে গাইতে দৌড়াইত। তাহাদের গানে বড় গোল হইত বলিয়া, তাহাদিগকে পথে । গান গাইতে নিষেধ করিয়া দেওয়া হয় ; কিন্তু নিগ্রোর না গান করিয়া কিছুতেই সঙ্গীত বসিয়া বিশেষ রূপে চঞ্চলতা প্রকাশ s Sማ® SSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSS SLSSSS S S সেই উচ্চ পথে দৌড়াইতে পারিত না । তাহাতে কৰ্ম্মের ক্ষতি হইত, তাই পুনরায় তাহাদিগকে পথে গান গাইতে অনুমতি দেওয়া হয় । অষ্টাদশ শতাব্দিতে চতুর্দশ লুইর অনশনক্লিষ্ট সেনারা বিস্তর যুদ্ধযাত্রার পর, সন্ধ্যাকালে - rনক সময় তাহাদিগের অৰ্দ্ধাশন ও যুদ্ধযাত্র-জনিত জ্বালা যন্ত্রণ গীতিসুধাপানের দ্বারা অনেকটা দূর কब्रिउछ । আর কত বলিব, সঙ্গীতের আশ্চর্য্য বল, আশ্চৰ্য্য আকর্ষণ ! সঙ্গীত আমাদের দেশে, মুসলমানদিগের রাজত্বকালে তেমন উন্নতি লাভ করিতে পায় নাই বটে, কিন্তু তাহাদিগের কোন কোন বাদ সাহের সময়, বিশেষতঃ আকৃবর সাহর আশ্রয়ে তাহার রক্ষা ও কার্য্য রীতিমত চলিয়াছিল । আমাদের পূৰ্ব্ব সঙ্গীতগুলি লইয়া মুসলমানেরা সোঁখীন প্রাণে বহিরালোচনা করে এবং তাহাতে আসক্ত হইয়া পড়ে, তজ্জন্য তৎসমুদয় অনেকটা বিনাশের মুখ হইতে বাচিয়া গিয়াছে, একেবারে মারা পড়িতে পায় নাই, পরস্তু মধ্যে মধ্যে কিছু ঔৎকর্ষ্য লাভ করিয়া আসিয়াছে । কিন্তু দোষটা এই, যে আমাদের সঙ্গীতের সরলতার উপর অনেক সময় উহাদিগের কষ্ট কল্পনার কৃত্রিমভাব সমূহ বড় স্পর্শ করিয়াছে । বাদসাহের দরবার জাকাইতে গিয়। অনেক সময় সঙ্গীত তাহার সরল মাধুরী হারাইয়া বাহির চাকচিক্যপূর্ণ হইয়া গিয়াছে। কষ্টকল্পনার কৃত্রিম অালাপ আমাদের দুচক্ষের বিষ ; অনেকে ঐরুপ আলাপের দ্বারা সঙ্গীতের রাজ্যে কৌশল বিস্তার করিতে চাহেন, কিন্তু সে কৌশলে বিশেষ তেমন ফল নাই, তাহ