পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (ত্রয়োদশ কল্প প্রথম খণ্ড).pdf/১৯৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ృన8 তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা ইহাকে বাহিরের চন্দ্র সূৰ্য্য বায়ু অগ্নির পূজা বলিবে ? প্রাতঃকালের ভিতর এমন এক মহাচৈতন্য—নীলাকাশের ভিতর এমন এক আত্মবিকাশ—জ্যোতিষ্কমণ্ডলীর ভিতর এমন এক সমাচার অাছে, তাহা যে শ্রবণ করে, জড় তাহার নিকট চৈতন্যময়, প্রাণময়, মহাভাব-পূর্ণ হইয়া উঠে। জড়ের মধ্যপথে কত রসজ্ঞতা, গম্ভীর জ্ঞান ও দর্শন রহিয়াছে, সেই সমুদয়েরই উপকরণ বাহ্যবস্তু। বাহাবস্তুর ভিতরে যে এমন সজীবতা আছে, তাহা যে অনুভব করিয়াছে সেই বলিতে পারে। যাহার প্রেমনিমন্ত্রণে আমরা এখানে । আসিয়াছি তাহার দৃষ্টান্ত এই যে, বাহিরের বস্তু—বাহিরের বস্তু নহে । অপদার্থ নহে। জড়ে মহা প্রকৃতি মহা ভাব মহাপ্রাণ মহাচৈতন্য রহিয়াছেন ; যাহার পরিচয় পাইলে অশান্তি ও তাপের কারণ থাকে না । মহর্ষির জীবন-ইতিহাস শেষ পরিচ্ছেদে আসিয়াছে । র্তাহার দৃষ্টান্ত এক্ষণে আমারদের সকলেরই আদশ ! আমার প্রথম কথা এই ৷ দ্বিতীয় কথা । লোকে কেবল স্বভাব দেখিয়া ভাবুক হয় না ; কিন্তু স্বভাবের গুণ দেখিয়া হয়। প্রকৃতি গভীর রহস্যময় বটে, কিন্তু চন্দ্র সূৰ্য্য দেখিয়া ব্রহ্মপিপাসা মেটে না । মিনি মন স্থির করিতে পারেন তিনিই সফলকাম হন । আমি এক সময় মহর্ষির সহিত নৌকাযোগে ভ্রমণ করিতে গিয়াছিলাম। দেখিলাম তিনি অতি প্রত্যুষে শয্যা ত্যাগ করিয়া ৪টার সময় হইতে টো পৰ্য্যন্ত আকাশে সূৰ্য্যপ্রকাশের দিকে এক দৃষ্টিতে চাহিয়৷ রহিলেন । কিন্তু আমাদের মনের স্থিরতা নাই, হৃদয়ে আস্থা নাই। যে সূৰ্য্য আজ >9可雷,》西阿 MS TMASAMCAAA SAAAAAS তেছেন, কাল হয়ত তাহ বড়ে সমাচ্ছন্ন হইল। যে বায়ু আজ সুমন্দ হিল্লোলে । বহমান, কাল হয়ত তাহা প্রবল বেগে বহিয়া তোমার ঘরের ছাদ ভাঙ্গিল, তোমার প্রিয়জন সকলকে জলে নিমগ্ন করিয়া ফেলিল, বৃক্ষ লতা সমূহকে ধরাশায়ী করিল। যে বায়ুর হিল্লোলে তোমার শরীর শীতল হয়, কালই তাহা হইতে নগর গ্রাম উৎসম হইয়া যায়। অতএব যদিও ধৰ্ম্মের পক্ষে প্রকৃতি মহদুপায় বলিতে পারি, কিন্তু স্থিরতা সূৰ্য্যও দেয় না, ফুল ও দেয় না । প্রজ্ঞা কোথা হইতে পাওয়া যায় ? এখানে আবার মহর্ষির দৃষ্টান্ত। তিনি স্বভাব হইতে যেমন ভাব ইন্দ্ৰিয় । গ্রহণ করেন, তেমনি আবার মহামান্য ঋষিবাক্য হইতে ধৰ্ম্মের মাহাত্ম্য উপার্জন করেন। আজ কাল ধৰ্ম্মগ্রন্থ পাঠে তোমারদের মারাত্মক অশ্রদ্ধা । বলদের সম্মুখে লালবর্ণ কাপড় ধরিলে যেমন সে লাফাইয়া উঠে,সংস্কৃত শ্লোক পাঠে তেমনি তোমরা উদাম হইয়। উঠ । কিন্তু যে পৰ্য্যন্ত ধৰ্ম্মের দৃষ্টান্ত,ধাৰ্ম্মিকদিগের দৃষ্টান্ত, নীতির ভাব তোমাদিগকে আহবান না করিবে, সে পৰ্য্যন্ত দেশসংস্কার, ধৰ্ম্মপ্রচার সৰ্ব্বৈব মিথ্যা, কেবল বক্ততার ছড়াছড়ি *Yख । যদি ব্ৰহ্মলাভ, ব্রহ্মপ্রসঙ্গ, ব্ৰহ্মজ্ঞান, ব্ৰহ্মধ্যান, ব্ৰহ্মামৃত রসপান করিতে চাও, শ্রদ্ধাবান হইয়া ঋষিবাক্য অনুসরণ কর । ধৰ্ম্মগ্রন্থ বা ধাৰ্ম্মিক মাত্রেই যে দোষের অতীত, এমন নহে। কিন্তু পূৰ্ব্বমত পূৰ্ব্ব দৃষ্টান্ত অবলম্বন করিয়া যেমন জ্ঞানবিজ্ঞানের উন্নতি হয় ব্রাহ্মধৰ্ম্ম প্রচারেও তেমনি । ধৰ্ম্মপ্রচার দেশ সংস্কার করিতে যাও কর, কিন্তু যদি জ্ঞানালোকে মুক্তি প্রশান্তভাবে কিরণরাজি বিকীর্ণ করি । লাভ করিতে যাও, তবে এই পুরাতন