পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (ত্রয়োদশ কল্প প্রথম খণ্ড).pdf/২০১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

מול שב הן): উদ্বোধন న8 - এইরূপে যখন প্রকৃতির মধ্যে প্রকৃতির প্রাণ, আত্মার মধ্যে আত্মার প্রাণ এবং ঋষিদিগের বাক্যে ঈশ্বরের স্বরূপ দেখিব, তখন এই ত্রিবিধ সাধনে ঈশ্বরকে লাভ করিতে সমর্থ হইব । ঈশ্বর এই ত্রিবিধ সাধনের ভাব আমারদের আত্মাতে মুদ্রিত করিয়া দিন । হে আত্মার আত্মা সত্যস্বরূপ পরমেশ্বর ! তোমাকে সত্যভাবে প্রাণের প্রাণরূপে না দেখিলে চিত্ত পরিশুদ্ধ হয় না । তুমিই শান্তিনিকেতন, যখন আমরা দাপে পড়িয়া স্নান হইব, তখন যেন তোমাকে দেখিয়া সকল তাপ দূর করিতে সমর্থ | হই। প্রকৃতির মধ্যে যেন আমরা তোমাকে দেখি । সাধকের বাক্যে যেন তোমার পরিচয় পাইয়া কৃতাৰ্থ হই । তোমার নিকট অামারদের এই প্রার্থনা । এবেলাও শ্রদ্ধাস্পদ শ্ৰীযুক্ত রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সঙ্গীতে যোগদান করিয়া সৰ্ব্বসাধারণকে বিমুগ্ধ করিয়াছিলেন । এইরূপে দিবসব্যাপী উৎসবের অবসান হইল। হৃদয়ের ভার কিছু কালের মত যেন অন্তহিত হইল। শ্ৰীযুক্ত বাবু দ্বিপেন্দ্রনাথ ঠাকুর মহাশয়ের তত্ত্বাবধানে কি আতিথ্যসৎকারে, কি অন্যবিধ আয়োজনে কোন বিষয়ে যাত্রীবর্গের লেশমাত্র কষ্ট হয় নাই। এ সকলই ভগবানের কৃপায়। حبھی تھی کیے۔بے উংসবের উদ্বোধন। শুভদিন আসিতেছে । আনন্দের কোলাহল শোনা যাইতেছে । উৎসবের বসন্ত বায়ু হৃদয়কে স্পর্শ করিয়া শীতল করিতেছে। হৃদয়-কাননে ধৰ্ম্মবৃক্ষের প্রেম, ভক্তি, প্রীতির পাতাগুলি সংসারানলের প্রচণ্ড উত্তাপে শুষ্ক হইয়া গিয়াছিল বটে কিন্তু উৎসবের বসন্ত বায়ু ব্রহ্মোৎসবের বার্তা সঙ্গে লইয়া প্রবাহিত হওয়াতে সেগুলি পুনরায় সজীব হইবার উদুযোগ হইতেছে । এই সময়ে আমাদের

  • on so to

প্রাণপক্ষী সেই প্রাণের প্রাণকে দেখিবার জন্য কাতরস্বরে কি ডাকিবে না ? এই সময়ে একবার সকলে আপনাপন অন্তরে ধীর ভাবে চিন্তা করিয়া দেখ যে, কি শুভ দিনের আগমন । মহাত্ম রামমোহন রায় ১১ই মাঘে বঙ্গদেশের কি পরম শুভদিনের প্রতিষ্ঠা করিয়া গিয়াছেন । যৎকালে বঙ্গদেশের জনসমাজ ক্রিয়াকলাপের বাছাড়ম্বরে পরিপূর্ণ হইয়া উঠিয়াছে ও পূর্বতন আর্য্য ঋষিগণের চিত্ৰ সঞ্চিত ব্ৰহ্মজ্ঞানের অভাবে ঘে1: অজ্ঞানান্ধকারে আচ্ছন্ন হইয় পড়িয়াছে, সেই দুদিনের সময়ে মহাত্ম। রামমোহন রায় ব্রহ্মোপাসনাকে পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করিয়া বঙ্গদেশের তমোরাশি নাশ করিয়া পরম কল্যাণ সাধন করিয়া গিয়াছেন । সেই ব্রহ্মোপাসনার মহোৎসবের দিন প্রণয উপস্থিত। আর আমাদের মোহনিদ্রায় অচেতন হইয়া পড়িয়া থাকা কৰ্ত্তব্য নহে। “উত্তিষ্ঠত জাগ্ৰত” উত্থান কর মোহনিদ্রা হইতে জাগ্রত হও । তার কত কাল অজ্ঞানান্ধকারে পড়িয়া থাকিবে ? আর বিষয় গরল পান করিয়া অবসন্ন হইয়। পড়িও না ও মৃত্যুর পাশে বদ্ধ হইয়া চির কালের সম্বলকে হারাই ও না । সকলে জাগ্রত হও, মোহপাশকে চ্ছিন্ন কর ও মৃত্যুকে পরাজয় করিয়া অমৃত লাভের জন্য অগ্রসর হও । অজ্ঞানই আমাদের মৃত্যু, এই মৃত্যু হইতে রক্ষা পাওয়ার একমাত্র উপায় ব্রহ্মজ্ঞান। চিরদিন জ্ঞান ভক্তির সহিত ব্রহ্মোপাসনা পরিত্যাগ করিয়া ঘটপট পরমাণু লইয়া শুদ্ধ হৃদয়ে অবস্থান করিলে, স্থখ শান্তিলাভ করিতে পরিবে না ও মৃত্যুকে অতিক্রম করিতে না পারিয়া অমৃতলাভে বঞ্চিত হইবে । অনেক দিন হইতে আমরা ব্রহ্মচৰ্য্য ভুলিয়া গিয়া সংসারের বিষয়গরল পান করিয়া অবসন্ন হইয়া পড়িয়াছি। দুর্দান্ত রিপুগণের আক্রমণে সংসারের পথে ভ্রমণ করিতে করিতে পাপের কণ্টকে অঙ্গ সকল ক্ষত বিক্ষত হইয়া গিয়াছে । এই আগামী ব্রহ্মোৎসব রূপ আনন্দ সাগরে মগ্ন হইলে ভগবানের কৃপাবারিতে ক্ষত সকল পোত