পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (ত্রয়োদশ কল্প প্রথম খণ্ড).pdf/২০৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

कां इन »v >७ সাংসরিক ব্রাহ্মসমাজ २०(t হইবে । বর্তমান কালে ধৰ্ম্মের প্রতি কেমন এক অশ্রদ্ধার ভাল তাসিয়া সমাজের গুরুতর অনিষ্ট সাধন করিতেছে। অামাদিগের কর্তব্য যে আমরা সকলেই দুটপ্রযত্ব হইয়া হৃদয় হইতে এই অশ্রদ্ধার ভাবকে দূর করিয়া তৎপরিবর্তে ধৰ্ম্মের বিমল ভাব গ্রহণ করি এবং ঈশ্বরের সভান্তে । আত্মাকে পূর্ণ রাখি । যে দিন জগতের লোকে ঈশ্বরকে লাভ করিবার জন্য ব্যtকুল হইবে, ঈশ্বরকে আত্মার একমাত্র উপাস্য দেবতা করিবে, সেই দিনে, সেই শুভদিনে এই জগত হইতে দণ্ডভয় তিরোহিত হইবে ; প্রীতিশাসনের প্রভাবে মর্ত্যলোক স্বগলোক হইয়া যাইবে । ঈশ্বরের প্রসাদে জীবনকে কৃতার্থ করিতে ইচ্ছা করিলে, র্তাহার প্রকাশ—— র্তাহার প্রশান্ত আবির্ভাব আত্মাতে অনুভব করিতে ইচ্ছা করিলে আমাদিগের নিশ্চেষ্ট হইয়া থাকিলে চলিবে না । আমরা যত্ন করিব না,নিশ্চেষ্ট ভাবে অলসভাবে কাল যাপন করিব আর ঈশ্বরের প্রসাদ যাচঞা করিব—ইহা করিলে চলিবে না । ঈশ্বরকে লাভ করিতে হইলে বিশেষরূপ সাধনা করিতে হইবে । অশ্রুবারিতে হৃদয়ের পাপতাপ ধৌত করিয়া ব্যাকুল ভাবে তাহাকে প্রার্থনা করিতে হইবে। “নায়মাত্মা প্রেবচনেন লভ্যোন মেধয়া ন বহুনা শ্রীতেন । ৰমেবৈষ বৃণুতে তেন লভ্যস্তস্তৈষ আত্মা বৃণুতে তমুং স্বাম্ ॥ অনেক উত্তম বচন দ্বারা, বা মেধা দ্বারা, অথবা বহু শ্রবণ দ্বারা এই পরমাত্মাকে লাভ করা যায় না ; যে সাধক তাহাকে প্রার্থনা করে, সেই তাহাকে লাভ করে। পরমাত্মা এরূপ সাধকের সন্নিধানে আত্ম স্বরূপ প্রকাশ করেন । কেবল বাক্যের দ্বারা তাহীকে লাভ করা যায় না । মন তাহাকে গ্রহণ করি:ত পারে না ; তখন বা ক্যই বা কি প্রকারে তাছাকে বলিতে পরিবে ? বাক্য ও তাছাকে বলিতে পারে না । মন তাতাকে মনন করিতে গিয। নিরস্ত হয় । তামরা হয়তো ব্রহ্ম-জ্ঞান সম্বন্ধে পঠিন বা শ্র অনেক কথা শুকপক্ষীর ন্যায় অrওড়াইয়। যাইতে পারি ; আমরা হয়তে ঈশ্বরের সম্বন্ধে নানা তত্ত্বকথা বলিয়া, বক্ততা করিয়া সকলের সমক্ষে আমাদের ধাৰ্ম্মিকতার পরিচয় দিতে পারি, কিন্তু যদি ঈশ্বরকে বাস্তবিক হৃদয়ে একটবার ও অনুভব করিতে চেষ্টা না করি ; যদি তাহার প্রিয়কাৰ্য্য সাধন না করিয়া তাহার মঙ্গলস্বরূপ প্রেমস্বরূপ অবগত না হই; ব্রহ্মজ্ঞানকে হৃদয়ঙ্গম না করি, ব্রহ্মতত্ত্ব সকল প্রত্যক্ষ অনুভব না করি, তবে সহস্ৰ বক্তৃত। দ্বারা আমরা নিজেও ব্রহ্মের পথে যাইতে পারিব না সুতরাং অপর কাহাকেও ব্রহ্মপথের পথিক করিতে পারিব না। “যদি তাহাকে পাইবার নিমিত্ত অনুরাগ ও যত্ন না থাকে ; তবে প্রবল মেধাই থাকুক, আর প্রচুর উপদেশবাক্যই শ্রুত হউক, কিছুতেই র্তাহাকে লাভ করা যায় না । যিনি পিপাসাতুর পথিকের ন্যায় ব্যাকুল হইয়। একান্তে র্তাহাকে প্রার্থনা করেন, তাহারই সন্নিধানে পরমাত্মা আত্মস্বরূপ প্রকাশ করেন ।” ঈশ্বর সকলেরই আত্মারূপ উজ্জ্বল পবিত্র সিংহাসনে সমাসীন রহিয়াছেন ; কিন্তু আমরা যখন বিষয়-কোলাহলে মত্ত থাকিয়া, ধনমানের অন্বেষণে ব্যতিব্যস্ত থাকিয়া তাহার ধীর সুমন্দ্র আহবানের প্রতি মনোযোগ প্রদান না করি, তখন র্তাহার আবির্ভাব আমাদিগের নিকটে সুস্পষ্ট