পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (ত্রয়োদশ কল্প প্রথম খণ্ড).pdf/২১৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

काँहीनं w )శ్రీ সাম্বৎসরিক ব্রাহ্মসমাজ ২১১ পূজা গ্রহণের জন্য এখনই এখানে উপস্থিত। বিষয়চিন্তা হইতে মনকে প্রতিনিবৃত্ত করিয়া আইস আমরা তাহাকে অন্তরে বাহিরে দর্শন করি । শ্রদ্ধাভক্তি কৃতজ্ঞতার বিকসিত পুষ্প ৰ্তাহার চরণে অর্পণ করি, তাহার মধুর নাম গ্রহণ করিয়া মনুষ্য জন্মের সাফল্য সম্পাদন করি । পরে শ্রদ্ধাস্পদ শ্ৰীযুক্ত শম্ভুনাথ গড়গড়ি এইরূপ প্রার্থনা করিলেন । হে ত্রিভুবননাথ ; স্মরণে হয় আনন্দ ; আজি এই পবিত্র উৎসবের দিনে তুমি ঘন ঘন স্মরণ পথে জগিতেছ। আমরা উপযুক্ত ন হইলে ও তুমি আমাদের হৃদয়ের লৌহময় কবাট ভেদ করিয়া তথায় প্রবেশ করিয়াছ । আমরা সহজে আজ তোমাকে হৃদয়ের মধ্যে পাইয়া উৎসাহের সহিত আহলাদের সহিত বলিতেছি, “তুমিই বন্ধু তুমি নাথ, নিশি দিন তুমি আমার । তুমি সুখ তুমি শান্তি, তুমি হে অমৃত পাথার । - তুমি ত আনন্দ লোক জুড়াও প্রাণ নাশ শোক ; তাপহরণ তোমার চরণ অসীম শরণ দীন জনার’। তুমি কৃপা করিয়া আজ হৃদয় অধিকার করিয়াছ, তোমার গুরুভারে অবনত হইয়া আমরা তোমাকে প্রণাম করিতেছি। তুমি তোমার মঙ্গল হস্ত আমাদের মস্তকে অপণ কর । আমরা বিগতপাপ, বিগততাপ ও বিগতশোক হই। তুমি আশীৰ্ব্বাদ কর যেন অনুক্ষণ আমরা তোমার সহচর অনুচর হইয়। থাকি। একটুখানি পরিমিত স্থানকে এখন তোমার উৎসবভূমি বলিয়া বোধ হইতেছে, যেন তোমার প্রসাদে সমস্ত জগৎকে তোমার উৎসবক্ষেত্র বলিয়া | a অনুভব করিতে পারি। এখন এই পরিমিত কালটুকু তোমার উসৎবের সময় বলিয়া বুঝিতেছি, কিন্তু মাথ, প্রার্থনা, যেন চিরজীবন এই দেবদুর্লভ উৎসব-মুধা পান করিতে পাই ! তোমা বিহীনে যে জীবন সে মৃত্যুসমান, কে সে মৃত্যু যাতনা সহ্য করিবে ! পরিত.” করি ও না, হে অনাথনাথ ! তুমি আমাদিগকে পরিত্যাগ করি ও না । এ ঘোরতর সংসারে তুমি পরিত্যাগ করিলে কেমন করিয়া জীবন fরণ করিব । তুমি সংসারের বিপত্তি হইতে আমাদিগকে রক্ষা কর—তুমি পাপ তাপ হইতে রক্ষা কর । চারিদিকে অন্ধকণর ঝঞ্জাবাত ও বজাঘাত—তার মধ্যে তোমার অভয় ক্রোড়ই অভেদ্য দুর্গ— সেই দুর্গে তুমি আমাদিগকে আশ্রয় দাও । এখানে এমন স্নেহ নাই, যাহা চিরজীবন আমাদিগকে পালন করিতে পারে। এমন আশ্রয় নাই, যাহা চিরজীবন আমাদিগকে রক্ষা করিতে পারে—এমন প্রেম নাই যাহা চিরজীবন আমাদের হৃদয়পদ্মকে প্রস্ফটিত করিতে পারে। এ সংসারে সবই ক্ষণভঙ্গুর। এখানে কাহারও উপর নির্ভর করা যায় না। তুমি আমাদের ভগ্ন হৃদয়কে তোমার মৃতসঞ্জীবনী শক্তি দ্বারা রক্ষা কর । এ সংসারের ভীষণমূৰ্ত্তি দেখিয়া আমরা বড় ভীত হইয়াছি । “এ পরবাসে কে রবে হায়! কে রবে এ সংশয়ে এ শোকে সন্তাপে, হেথা কে রাখিবে দুঃখ ভয় সংকটে— তেমন আপন কেহ নাহি,এ প্রান্তরে রে ।” হে পরমেশ্বর,হে পিতামাতা, তুমিই কেবল অামাদের আপনার । তোমার মত অগপনার আর কে আছে ? তুমি আমাদিগকে এই অন্ধকার সংসারের পরপারে উত্তীর্ণ কর । হে জ্যোতির জ্যোতি ! তুমি জ্যোতিৰ্ম্ময়রূপে সকল সময়ে আমাদের