পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (ত্রয়োদশ কল্প প্রথম খণ্ড).pdf/২১৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২১২ হৃদয়কে আলোকিত করিও । তুমি আমাদের জ্ঞান-চক্ষু ভক্তিচক্ষু ও বিশ্বাস-চক্ষু প্রস্ফুটিত কর । সেই চক্ষে আমরা যেন তোমার বিশ্ব দেখিয়া বলিতে পারি,“আলীন সেই বিশ্বশরণ র্তার জগৎ মন্দিরে” সেই চক্ষে আমরা যেন তোমাকে আমাদের আtত্মার মধ্যে আপনার আশ্রয় রূপে দেখিতে পাই । হে গুরুর গুরু পরম গুরু পরমেশ্বর! আমরা শুনিয়াছি, যে তোমাকে প্রীতি পূর্বক ভজনা করে,তুমি তাহাকে এমন বুদ্ধি পারে । আমরা তোমারি করুণার উপর নির্ভর করিয়া—তোমাকে ডাকিতেছি, তোমার নিকট প্রার্থনা করিতেছি,তুমি আমাদিগকে এমন শক্তি দা ও যাহাতে তোমার জ্বলন্ত সত্তা আত্মার মধ্যে উপলব্ধি করিতে পারি। তুমি কৃপা করিয়া যে উপদেশ দিবে, তাহ যেন আত্মার আভ্যন্তরে শুনিতে পাই । তোমার আদেশ যতই কঠোর হউক না কেন, তাহ যেন পালন করিতে পারি। আমরা নিজে দুর্বল। আমাদের আর বল কোথায়—তুমি আমাদের দুর্বলতা পরিহার কর । নাথ ! পার্থিব বস্তু কখনই আমাদিগকে চিরসুখী করিতে পারে নাই । কখন যে পরিবে তাহার কোন আশা নাই। অতএব চির আনন্দের কারণ যে তুমি, তুমি আমাদিগকে তোমার সৌন্দর্য্যে মুগ্ধ ৷ করিয়া রাখ। আমরা সংসার-কোলাহল হইতে দূরে থাকিয়া, মোহ-কোলাহল হইতে দূরে থাকিয়া প্রশান্ত চিত্তে তোমাতে অবস্থিতি করিবার জন্য তোমার নিকট আসিয়াছি, তোমার চরণ প্রান্তে আমাদিগকে একটু স্থান দাও । ঐ চরণের छ भौख्न झाशा डिब खूड़ाईबांद्र शन তত্ত্ববােধিনী পত্রিকা - --ബ--l. = ജ-> * = ०७ कछ, » छ** - - *= * * = == = =ബ গুরু—তুমি আমাদিগকে তোমার মধুর ধ্যানধারণায় নিযুক্ত কর। তুমি আমাদিগকে তোমার সহিত যোগযুক্ত হইতে শিক্ষা দাও । যখন অনন্যমনে অtামরা তোমাকে হৃদয়ে ধারণ করিব—তখন পৃথিবীর কোন অাকর্ষণ যেন আমাদিগকে তোমা হইতে বিযুক্ত করিতে না পারে। তুমি স্নেহের অাকর, প্রেমের সাগর, তুমি আমাদিগকে গ্রহণ কর । তুমি আমাদিগকে পবিত্র কর, আমাদের সকল প্রকার চাঞ্চল্য দূর কর । দান কর,যদ্বারা সে তোমাকে লাভ করিতে । তুমি যেমন শান্তস্বরূপ আমরা যেন তেমনি শান্ত হইয়া তোমাতে ডুবিতে পারি। হে পরমেশ্বর, যতদিন বঁাচিয়া থাকিব ততদিন তুমি আমাদের জীবনকে শান্তিময় কর । পরে জন্মের মত যখন চক্ষু মুদ্রিত করিব তখন কৃপা-নাথ, কৃপা করিয়া তোমার সেই আনন্দ-ধামে স্থান দি ও যেখানে — পাপ নাই, তাপ নাই, শোক নাই, কোন প্রকার বিরহবেদনা নাই—কেবলি যোগানন্দের উৎস উৎসারিত হইতেছে— প্রেমানন্দের উৎস উৎসারিত হইতেছে। ওঁ একমেবাদ্বিতীয়ং । পরে ভক্তিভাজন আচাৰ্য্য শ্ৰীযুক্ত দ্বিজেন্দ্রনাথ ঠাকুর নিম্নোক্ত বিষয়ট পাঠ করিলেন । ব্রাহ্মের আরাধ্য দেবতা । পরম মঙ্গলtলয় পরমেশ্বরের প্রসাদে আবার আমরা এখানে সবান্ধবে সমাগত হইয় তাহার পূজার বিমলানন্দ উপভোগ করিয়া কৃতপুণ্য হইতেছি । এই শুভ অবসরে—পরমাত্মার প্রসাদামৃতের ভtণ্ডার যখন আমাদের চতুর্দিকে উন্মুক্ত রহিয়াছে—ভগবদ্ভক্ত সাধু সজ্জনে যখন সভামণ্ডপ পরিপূর্ণ হইয়াছে—এই শুভ ত্রিভুবনে আর কোথাও নাই। হে জগৎ | অবসরে—হে ভ্রাতৃগণ আইস আমর