পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (ত্রয়োদশ কল্প প্রথম খণ্ড).pdf/২১৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S$8 তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা se कल्ल, १ छोन SSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSAAAASSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSS সিদ্ধান্ত ?—তাহ যদি হয় তবে, ধিক্‌ র্তাহীদের বিদ্যাবুদ্ধি পাণ্ডিত্য ! ধিক্‌ ৰ্তাহtদের উপদেশ বাক্য ! সত্যমেব জয়তে নামৃতং সত্যেরই জয়— অসত্যের জয় কখনই না—ইহা জানিয়াও জ্ঞানবান মনুষ্য যে, কেমন করিয়া সত্যং জ্ঞানমনন্তং ব্রহ্মকে পরিত্যাগ পূর্বক কৃত্রিম দেবতার উপাসনায় ব্রতী হয়,জানিয়া শুনিয়াও চক্ষু থাকিতে অন্ধ হয়—ইহা অতীব আশ্চৰ্য্য। অজ্ঞান মূৰ্তি-উপাসকদিগের তো কথাই নাই—এমনও সব বিজ্ঞানবিং পণ্ডিত আছেন র্যাহারা মনুষ্যত্ব বলিয়া একটা মহাজীব কল্পনা করিয়া সেই মনঃসস্তুত দিবাস্বপ্নকে সত্যং জ্ঞানমনন্তং ব্রহ্মের স্থলাভিষিক্ত করিতে কিছুমাত্র কুষ্ঠিত বা লজ্জিত হ’ন না । কিন্তু ঈশ্বরের করুণ অপার । তিনি লোকভঙ্গ নিবারণার্থে সেতুস্বরূপ হইয়া সমস্ত ধারণ করিতেছেন । কি অজ্ঞ কৃষক কি বিদ্বান পণ্ডিত সকলেরই জন্য তিনি পার্থিব এবং আধ্যাত্মিক উভয়বিধ জীবনের সম্বল পূৰ্ব্ব হইতে আয়োজন করিয়া রাখিয়াছেন । এ জ্ঞান যেমন আপামর সাধারণ সকলেরই মনে দৃঢ়ৰূপে বদ্ধমূল আছে যে এক জ্যোতিষ্মান প্রতাপবান সূৰ্য্য দিন রাত্রি ঋতু সম্বৎসর সমস্তেরই মূলাধার ; ইহাও তেমনি দেদীপ্যমান যে,এক সৰ্ব্বজ্ঞ সৰ্ব্বান্তর্যামী ধৰ্ম্মাবহ পরমেশ্বর সমস্ত জগতের মূলাধার; তিনি রাজার রাজা, পিতার পিতা এবং সকল ঈশ্বরের পরম মহেশ্বর । বুদ্ধি যেমন সকল মনুষ্যের সাধারণ সম্পত্তি, আত্ম প্রত্যয়ও তেমনি সকল মনুষ্যের সাধারণ সম্পত্তি; কিন্তু"সকলেরই বুদ্ধি আছে” ইহার অর্থ এরূপ নহে যে, সকলেই বিজ্ঞান-শাস্ত্রে স্থপণ্ডিত ; তেমনি সকলেরই আত্মপ্রত্যয় অাছে ইহার অর্থ এরূপ নহে যে, সকলেই ব্রহ্মবিদ্যায় পারদশী। বিজ্ঞান শাস্ত্র অনেকেরই নিকটে অপরিচিত থাকিতে পারে, কিন্তু সংসার নির্বাহের উপযোগী বিষয়-বুদ্ধি নূ্যনাধিক পরিমাণে সকলেরই আছে ; তেমনি ব্রহ্মবিদ্যা অনেকেরই নিকটে অপরিচিত থাকিতে পারে, কিন্তু ধৰ্ম্ম-নিৰ্ব্বাহের উপ যোগী ব্ৰহ্মজ্ঞানরূপ স্বৰ্গীয় অগ্নি সকলে রই অন্তঃকরণে নূ্যনাধিক পরিমাণে প্রজ্জ্বলিত আছে । মনুষ্য এক দিকে পুথিবীর জীব অার একদিকে অনন্ত-উন্নতিশীল আত্মা | নশ্বর পার্থিব উপকরণের আয়োজনের জন্য তাহার যেমন বিষয়-জ্ঞানের প্রয়োজন, অবিনশ্বর স্বৰ্গীয় উপকরণের আয়োজনের জন্য তাহার তেমনি ব্রহ্মজ্ঞানের প্রয়োজন। করুণাময় পরমেশ্বর তাই মনুষ্যের আন্তঃকরণে দুই বিভিন্ন-মুখী বৃত্তি সংযোগ করিয়া দিয়াছেন ;–বিষয়জানের বৃত্তি— বুদ্ধি;এবং ব্রহ্মজ্ঞানের বৃত্তি—আত্মপ্রত্যয়। বুদ্ধি বহিরিন্দ্রিয় এবং অন্তরিন্দ্রিয়ের বিষয়রাজ্য হইতে পরিমিত সত্যসকল সংগ্ৰহ কবে, আত্মপ্রত্যয় অতীন্দ্রিয় জগৎ হইতে বুদ্ধির অতীত মহান সত্য-সকল সংগ্ৰহ করে। বুদ্ধি এবং আত্মপ্রত্যয় দুইই মনুষ্য জাতির সাধারণ সম্পত্তি, আর, দুয়েরই রীতিমত বিকাশ শিক্ষার উপরে, সঙ্গের উপরে, সামর্থ্যের উপরে এবং সাধনের উপরে নির্ভর করে। র্যাহারা মনে করেন যে, বুদ্ধিই জ্ঞানের একমাত্র দ্বার সেটি র্তাহাদের বড়ই ভুল। এমন-সকল অপরিচ্ছিন্ন মহান সত্য আছে যাহা বুদ্ধি সহস্ৰ হাতবাড়াইয়াও নাগাল পায় না—অথচ আত্মপ্রত্যয়ে যাহা ধ্রুবরূপে স্বপ্রকাশ । আমরা—যেমন-স্পষ্ট দেখিতেছি যে, এ দেশ এইখানে ওদেশ ঐখানে, তেমনি