পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (ত্রয়োদশ কল্প প্রথম খণ্ড).pdf/২২৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

م دvد 53T? vammum ইবে।” অসীম আকাশে অগণ্য গ্ৰহ নক্ষত্রগণ সেই দেবাধিদেবের মহৎ যশ ঘোষণা * করিয়াও বলিতেছে “অাম দিগের নিকট অতি অল্পই জানিতে পারিবে ; তুমি আপনার আত্মার আসনে নিস্তব্ধ সমাসীন সেই পরমদেবকে দেখিতে ইচ্ছা কর, তবেই সফলকাম হইবে।” আত্মাই তাহার জ্যোতিৰ্ম্ময় শ্রেষ্ঠ আসন । কিন্তু সেই আত্মার আত্মাকে, আত্মাতে সমাসীন দেখিবার জন্য দুইটী উপায় আবশ্যক । সেই দুইটী উপায় বৈরাগ্য ও বিবেক । এই দুইটী উপায়ের সাধন না করিলে আত্মজ্ঞান কিছুতেই উজ্জ্বল হইতে পারে না। এখন আমাদিগকে দেখিতে হইবে যে, বৈরাগ্য ও বিবেক এই দুইটী উপায়ই বা কি প্রকার এবং ইহাদিগের সাধনই বা কি উপায় অবলম্বন করিলে হইতে পরিবে । প্রথম বৈরাগ্য —বৈরাগ্য কি ? বৈরাগ্যের অর্থ রাগরাহিত্য অর্থাৎ আসক্তিরাহিত্য । স্ত্রী পুত্র, বিষয়বিভব, কোন ক্ষণভঙ্গুর সাংসারিক বিষয়ে আসক্তি, -তদগতচিত্ততা না থাকাই বৈরাগ্য । এই বৈরাগ্য দুই প্রকারে দেখা দিতে পারে— (১) সংসারত্যাগ, (২) সংসারে স্থিতি । ইহাদিগের মধ্যে অনাসক্ত হইয়া সংসারে স্থিতিই অধিকতর প্রার্থনীয় । হৃদয়ের মধ্যে যদি প্রকৃত বৈরাগ্য আসিয়া থাকে, তবে সংসারে থাকিলেও অনাসক্তি থাকিতে পারে ; আর যদি হৃদয়ে বৈরাগ্য না আসিয়া থাকে, তবে সংসারেই থাকি আর অরণ্যেই থাকি, আমার পক্ষে উভয় স্থানই প্রলোভন-সস্কুল। উভয়ের মধ্যে গৃহে থাকিয়া গার্হস্থ্য প্রতিপালন করাই শ্রেয়স্কর । কারণ গৃহস্থ হুইয়া পরোপকার । বলুহাটী ব্রাহ্মসমাজ ९९ (t -- - - প্রভূতি কৰ্ম্মযোগের अर्र्छन করিতে করিতে ক্রমে চিত্তশুদ্ধি হইতে পারে। শ্ৰীমদ্ভগবদগীতা ইহারি জন্য স্থম্পষ্টরূপে বলিয়া দিয়াছেন


بسیار -

“ন চ সন্ন্যসনাদেব সিদ্ধিং সমধিগচ্ছতি ।” কেবল সন্ন্যাসের দ্বারা সিদ্ধি প্রাপ্ত হওয়৷ यश नौ ।

  • "তন্মাদসক্ত: সততং কার্য্য সমাচর । অসক্তে হাচর কৰ্ম্ম পরমাপ্নোতি পুরুষঃ ॥”

অতএব আসক্তি-রহিত হইয়া কৰ্ত্তব্য কৰ্ম্ম সকলের অনুষ্ঠান কর ; কারণ পুরুষ আসক্তি-রহিত হুইয়া কৰ্ম্ম করিলেই পরম পদ প্রাপ্ত হয় । এতক্ষণে বুঝিলাম যে বৈরাগ্য কি, না হৃদয়ের অনাসক্তভাব | এখন দেখা যাউক যে বিবেক কি প্রকার । আত্মার অন্তরে এমন একটা আলোক আছে, যাহা শত সহস্ৰ কুটিলতা ভেদ করিয়াও বিদ্যুতের ন্যায় প্রকাশিত হয় । ইহা সত্যের জ্যোতি। যাহার আত্মা পাপ হইতে নির্মুক্ত, তাহার আত্মাতে এই সত্যের জ্যোতি সূর্য্যের ন্যায় চিরবিরাজিত । সকল বিষয়েরই দুইটী দিক আছে—এক ভাব, দ্বিতীয় অভাব। আত্মার ঈশ্বরস্পহারও দুইটা দিক আছে। বৈরাগ্য ইহার অভাবের দিক এবং বিবেক ইহার ভাবের দিক। বৈরাগ্য আসিয়া বলিয়। দিল যে, সংসার অনিত্য ; মৃত্যুর পরে সংসার আমাদিগের সঙ্গে যাইবে না অতএব সংসারে আসক্ত হওয়া মনুষ্যের উপযুক্ত নহে। আত্মা যখন বৈরাগ্যের এই বাক্যে সংসারের অনিত্যভাব উপলব্ধি করিল, সংসার যখন আর আত্মার তৃপ্তিস্থান হইতে পারিল না, তখন আত্মার এক মহা অভাব আসিয়া পডিল । এতে