পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (ত্রয়োদশ কল্প প্রথম খণ্ড).pdf/২৪০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

*S)ー তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা se कल्ल, १ छ'न ---, m-- - - - T. ব্রহ্মের রূপকল্পনামাত্র এবং যেহেতু ব্ৰহ্ম সর্বময়—তিনি সকলেতেই আছেন, এই হেতু মূর্তিপূজা করিলেই ব্রহ্মপূজা সিদ্ধ হয় । তাহার। যদি ব্রহ্মকে সৰ্ব্বময় বলিয়া জ্ঞান করেন, তবে বিশেষ বিশেষ মূৰ্ত্তি পূজা করিবার প্রয়োজন হইত না এবং যদি বলেন যে সেই বিশেষ বিশেষ মূৰ্ত্তিতে মন্ত্রবলের দ্বারা ঈশ্বরের অধিকতর আবিভাব হয়, তবে তাহার উত্তর এই যে, ঈশ্বর যিনি, তিনি নূ্যনাধিক্য ও হ্রাসবৃদ্ধি দ্বারা পরিমিত হইতে পারেন না । এতক্ষণে দেখাইলাম যে যুক্তি দ্বারা মূর্তিপূজা সমর্থন করা যাইতে পারে না এবং আমাদিগের শাস্ত্রকারগণ মূৰ্ত্তিপূজার | ভূয়োভূয়ঃ নিন্দাবাদ করিয়া ব্রহ্মোপাস- । নারই শ্রেষ্ঠতা ও কর্তব্যতা প্রতিপাদন করিয়াছেন । কিন্তু এখন আমাদিগের মধ্যে এই প্রশ্ন উপস্থিত হইতে পারে যে এই ব্রহ্মোপাসনাই কি কেবলমাত্র প্রচার করিব এবং তাঁহাই যদি করি, তবে কি প্রকার উপায়ে তাহা করিতে চেষ্টা করিব ? ইহার উত্তরে আমি নিঃসংশয়ে বলিব যে প্রথমে ব্রহ্মোপাসনাই প্রচার করিয়া প্রত্যেক কৰ্ম্মে, প্রত্যেক অনুষ্ঠানে দেব দেবীর প্রতিমূর্তির পরিবর্তে ব্ৰহ্মকে, যিনি সকলের অন্তৰ্য্যামী, সেই ব্ৰহ্মকে প্রতিষ্ঠিত কর ; তাহারই চরণে সকল কৰ্ম্ম সমপণ করিতে শিক্ষা কর এবং শিক্ষা দাও । আমাদিগের ব্রহ্মকে কেন্দ্র করিয়া সকল কৰ্ম্মে হস্তক্ষেপ করা উচিত । ব্ৰহ্মপরায়ণ সাধু ব্যক্তিমাত্রেরই কেন্দ্র ব্রহ্ম এবং সমুদয় সংসার পরিধি । কেন্দ্রচু্যত হইয়৷ কাৰ্য্য করা আমাদিগের কদাপি কৰ্ত্তব্য মহে । আমরা কেন্দ্র চু্যত হইয়া কার্য্য করিলে কোন কার্য্যেরই ভিত্তি সুদৃঢ় করিতে পারিব না—কোন কাৰ্য্যই স্থায়ী হইতে পারিলে না ; সকল কার্য্যেই ঘোর বিশৃঙ্খলতা আসিয়া উপস্থিত চইবে। আমরা সমাজসংস্কার করিতে যাই, রাজনীতিসংস্কার করিতে যাই অর্থাৎ আমর সমাজকে রাজনীতিকে নিতান্ত সং স্ট্রীভাবের পরিবর্তে একটু মুক্ত ভাব দিতে যাই ; কিন্তু যখন আমরা মুক্ত স্বভাব ব্রহ্মকে আদর্শ করতেছি না, সত্যস্বরূপকে হৃদয়ে ধরিয়া রাখিতে অগ্রসর হই না তখন কিসের বলে, কিসের উপর নির্ভর করিয়া সংস্কার করিতে প্রস্তুত হইব ? সমাজকে মুক্ত করিব—কতট। মুক্ত করিব ? অামার নিজের জ্ঞান সীমাবদ্ধ, তবে আমি কোথা হইতে মুক্তভাবের আদর্শ (Ideal ) পাই ? তামি সমাজকে মুক্ত করিব—মিথ্যা হইতে ; লইয়। যাইব কোথায় ?—মুর সত্যের দিকে । কিন্তু এই সত্যের আদেশ কোথায় পাই ? আমরা দেখি যে অামাদিগের আত্মা সীমাবদ্ধ হইয়াও অসীমের দিকে ছুটিয়া যায় ; নানা ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র সত্য দেখিয় তাহাদিগের আদি কারণ এক মহান সত্যের অনুসন্ধানে ব্যস্ত হয়—তথনই আত্মপ্রত্যয়ের দ্বারা বুঝিতে পারি co এই সীমাবিশিষ্ট জগতের পশ্চাতে এৰ অনন্ত সত্যস্বরূপ মহান পুরুষ আছেন । আমরা যে কোন সংস্কার করিতে যাই । কেন, তাহা এই সত্যস্বরূপ শুদ্ধ বুদ্ধ মুক্ত স্ব ভাব পূর্ণপুরুষকেই আদর্শ করিয়া করিতে হইবে । ইহার জন্য বলিতেছি যে অ3ে ব্ৰহ্মকে হৃদয়ে ধারণ করিবার চেষ্টা পাও, তবে সকল প্রকার উন্নতি, সকল প্রকার সংস্কার সহজসাধ্য হইয়া উঠিবে। ইহ, ন হইলে উন্নতির ভিত্তিই দাড়াই;ে পরিবে না । অতএব আইস, আমর বদ্ধপরিকর হইয়া আজ হইতেই ব্রহ্মোপা সন প্রচার করিতে যত্নবান হই । আমরা