পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (ত্রয়োদশ কল্প প্রথম খণ্ড).pdf/২৪৪

२8० —একথা খুবই সত্য ; কিন্তু প্রশ্ন এখানে তাহা নহে; প্রশ্ব এই যে, ঈশ্বর কিরূপে মনুষ্যকে ধৰ্ম্মপথে চালাইতেছেন? যেরূপে তিনি পুথিবীকে চালাইতেছেন—সেইরূপে কি তিনি মনুষ্যকে উত্তরোত্তর ধৰ্ম্মপথে চালাইতেছেন ? পৃথিবীকে তিনি ভৌতিক বল দ্বারা চালাইতেছেন ; কিন্তু ভৌতিক বল দ্বারা কাহাকে ও কি কখনো ধৰ্ম্মপথে পরিচালন করা সম্ভবে ? বিশুদ্ধ প্রেম ভক্তি ' প্রভৃতি কি কাহাকেও জোর করিয়া গিলা ইয়া দেওয়া যায়—ন অসৎ ব্যক্তিকে কারারুদ্ধ করিয়া সৎ লোক করিয়া তোলা যায় ? পিতা যেমন চায় যে পুত্র ইচ্ছা করিয়া ভাল পথ অবলম্বন করুকৃ ; ঈশ্বর তেমনি চা’ন যে মনুষ্য ইচ্ছা করিয়া ভাল পথে চলুক ; এই জন্য মনুষ্যের জ্ঞান ইচ্ছা এবং প্রেম এই সকল আধ্যাত্মিক শক্তি যাহাতে অল্পে অল্পে প্রস্ফুটিত হয়, তাহার তিনি নানা রূপ বিধি ব্যবস্থা করিয়াছেন। এখন বক্তব্য এই যে আপন ইচ্ছায় ধৰ্ম্মপথে চলা’র নামই স্বাধীনতা । তুমি যদি জোর করিয়া একজনকে ধাৰ্ম্মিক করিয়া তুলিতে যাও তবে তাহার নাম ভৌতিক বলপ্রয়োগ ; আর, তুমি যদি একজনকে সাধু দৃষ্টান্ত এবং উপদেশ দ্বারা লওয়াইয়া ধৰ্ম্মপথে প্রবৃত্ত কর, তবে তাহার নাম আধ্যাত্মিক শক্তি প্রয়োগ; ভৌতিক শক্তি স্বাধীনতার হন্তারক , কিন্তু আধ্যাত্মিক শক্তি স্বাধীনতার পরিপোষক । ঈশ্বর আধ্যাত্মিক শক্তি দ্বারা তাহার ধৰ্ম্মরাজ্য চালাইতেছেন ; তাই পাপী ব্যক্তি কোন না কোন সময়ে ইচ্ছা পূর্বক পাপপথ পরিত্যাগ করিয়া পুণ্য-পথ অবলম্বন করিবে, ছহ ঈশ্বর জানিতেছেন ; পাপী ব্যক্তি ভৌতিক বল দ্বারা বাধ্য হইয়া নহে, কিন্তু ইচ্ছা পূর্বক পাপ পথ পরিত্যাগ করিবে—এইখানেই স্বাধীনতা । এখন, স্বাধীনতা কাহাকে বলে, সে বিষয়ে অনেক রূপ মতভেদ হইতে পারে । কৈহ বলিতে পারেন যে, কোনো কিছু দ্বারা পরিচালিত না হওয়ার নামই স্বাধী তত্ত্ববােধি প l . . . اچ د ۴۰ هد SMMS MSMSM MAAA SAAAAAS LAAAAAAAAS S it: mm = அ _ _ _ _ _ _ _ _ _ SATA TAMM SATS মত। কিন্তু স্পষ্টই দেখা যাইতেছে ধে, hপ স্বাধীনতা একটা মনঃকল্পিত ব্যাপ। কেন না, যে ব্যক্তি কোনো কিছুtাই চালিত না হয়, তাহ দ্বার। কোকোৰ্য্যই সম্ভবে না । মনুষ্য জ্ঞান ঐতি অন্তর্নিহিত মহস্তাব দ্বারা : লে বিষয়-শৃঙ্খল হইতে যেরূপ পক্ষে ধীনতা । যিনি এইরূপ ভাবে কাৰ্য্য ক্লন তিনিই স্বাধীনতার প্রকৃত অর্থ হৃদম করেন। ইরূপ স্বাধীনতা ঈশ্বরের টুর চরম উদেশ্য, তাহার সাক্ষী স্বষ্টির ম৷ এরূপ স্বাধীনতা কেবল মনুষ্যেরই রাভূষণ, আর কোনো জীবের নহে | নে এই একটি কথা উঠিতে পাdযে, পাপী ব্যক্তি তবে এই বলিয়। মঞ্চ প্রবোধ দি’ক্‌ --আমি এখন তো পাপরণ করি, পরিণামে ঈশ্বর আছেন । পি যদি মনুষ্যের স্বভাব সিদ্ধ ধৰ্ম্ম হইত ছা হইলেই এ কথার অর্থ থাকিত ; পাপ একটা রোগ বিশেষ ; কো মনুষ্যই ঈশ্বরের নিয়মের বিপরীতে ৷ রোগকে অধিক কাল অtলিঙ্গন করি সুস্থ থাকিতে পারে না ; ইহকালেই কি আর পরকালেই হউকৃ— এক না এক য়ে তাহাকে বিকৃতির পথs পরিত্যাগ কী প্রকৃতির পথে আসিতেই হইবে—ইচ্ছাপূর্বক আসিতে হইবে । কখন কে কিণালীতে প্রকৃতির পথে ফিরিয়৷ অ{ি স্বাধীন ইচ্ছার সহিত তাহার ইচ্ছা যোগ দিবে, তাহ। তিনি আদ্যোপান্ত স্তই জানিতেছেন ; আর র্তাহার সেইরূ1জানাই আমাদের স্বাধীনতার মুল কা। অতএব ঈশ্বরের আধ্যtত্মিক শক্তি এ সর্বজ্ঞতা মনুয্যের স্বাধানতার বিরোধাওয়া দূরে থাকুক তাঙ্গ। মনুষ্যের স্বাধী"র পরিপোষক । মেহেতু ঈশ্বর ধ্যাত্মিক শক্তি দ্বারাই । আধ্যাত্মিক জগচালাইতেছেন, ভৌতিক শক্তি দ্বারা নহে সং ।