পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (ত্রয়োদশ কল্প প্রথম খণ্ড).pdf/৩৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

هداءه اarج \○○ 明- -** SMSMSAMAAA AAAAA - ---- جےـــــیـپــ بے একমাত্র ফল, সুতরাং উহার সহকারি অপেক্ষা নাই । যখন কৰ্ম্ম ও বিদ্যার এই রূপ স্বভাবভেদ তখন অগ্নিষ্টোমের দৃষ্টান্ত বিষম অর্থাৎ দাস্টাস্তিকের অননুরূপ হইয়া পড়িল । কৃষ্যাদিবৎ ফলাৰ্থত্বাদনাকৰ্ম্মোপবৃংহণম্। জগ্নিষ্টোমস্বপেক্ষেত বিদ্যান্যৎ কিমপেক্ষতে ॥ দৃষ্টান্তের বৈষম্যই প্রদর্শিত হইতেছে। অগ্নিষ্টোম সাতিশয় * কারণ উহার প্রক্রিয়া-বিশেষ-সাধ্য-ফলার্থিতা আছে । সে এই সাধ্য-ফলার্থিতা হেতু অন্য সহকারি কৰ্ম্ম অর্থাৎ বিহিত উদগীথাদি অঙ্গসংস্থষ্ট উপাসনাদি কৰ্ম্ম দ্বারা উপচয় অর্থাৎ বৃদ্ধিকে অপেক্ষা করে । কৃষি বাণিজ্যাদিতে ফলবৃদ্ধির নিমিত্ত সাধন-বিশেষের বৃদ্ধি অাবশ্যক ইহা সুপ্রসিদ্ধ ; অগ্নিষ্টোমকেও সেই রূপ বুঝি ও । কিন্তু বিদ্যা নিরতিশয়-ফল অর্থাৎ স্বফলে অতিশয় কি না অতিরিক্তকে অপেক্ষা করে না এই হেতু সে কোন সহকারি বস্তুকে অপেক্ষা করিবে । প্রত্য বায়স্ক তস্তৈব যস্যাচস্কার ইয্যতে । অহঙ্কার ফলাথিত্বে বিদ্যেতে নাত্মবেদিনঃ ॥ যাহার অহঙ্কার ইষ্ট হইতেছে তাহারই প্রত্যবায়। আত্মজ্ঞের অহঙ্কার ও ফলার্থিতা নাই । তুমি কহিয়াছিলে ‘অকুৰ্ব্বন বিহিতং কৰ্ম্ম’ ‘বিহিত কৰ্ম্মের অননুষ্ঠানে প্রত্যবায় হয়’ ইহাতেও বক্তব্য আছে । এই কৰ্ম্মের আমি কর্তা, এই কৰ্ম্ম করিয়া এই ফল আমি ভোগ করিব ইত্যাকার অহঙ্কার অর্থাৎ অহংবুদ্ধি যাহার স্বাভাবিক রহিয়াছে সেই অধিকারীরই বিহিত কৰ্ম্মের অননুষ্ঠানে প্রত্যবায় হইবে। কিন্তু যিনি আত্মতত্ত্ববিৎ আত্মতত্ত্ব-জ্ঞান-নিষ্ঠ তাহার

  • অভাব পূরণকল্পে অতিশয় কিনা অতিরিক্তকে অপেক্ষ করে এই জন্য সাতিশয় ।

বৈদান্তিক মত -ബ് --ബ് - = ،سےپ نے ہے.تھی- یے No ang ভোগ্য বিষয়ের অভাব বশতই অহঙ্কার ও ফলার্থিতা থাকিতেছে না। অতএব যখন অহঙ্কার ও ফলার্থিতারূপ নিমিত্তেরই অসস্তাব তখন কৰ্ম্মের অননুষ্ঠানে প্রত্যবায় র্তাহার আর কিরূপে ঘটিবে । তস্মাদজ্ঞানহানায় সংসারবিনিবৃত্তয়ে। ব্রহ্মবিদ্যাবিধানায় প্রারদ্ধোপনিষত্ত্বিয়ম্ ॥ অতএব সংসারোচ্ছেদ কর অজ্ঞান-নাশ এবং ব্রহ্মবিদ্যা বিধানের নিমিত্ত এই উপনিষৎ আরব্ধ হইয়াছে । অজ্ঞান-নাশের 'নিমিত্ত বিদ্যাই অপেক্ষিত কৰ্ম্ম নহে এই কথার অবতারণ। করিয়া এতাবৎ গ্রন্থে কৰ্ম্মের নিজে বা জ্ঞান-সহকারিতাতেই হউক কোনওরূপে মোক্ষের প্রতি সাক্ষাৎ হেতুত্ব নাই ইহা প্রতিপাদন পূর্বক প্রকৃত কথার উপসংহার করা হইতেছে। অজ্ঞানহানি অর্থাৎ অনাদি অজ্ঞান-নিরাস-সিদ্ধির জন্য অপেক্ষিত যে ব্রহ্মবিদ্যা তৎপ্রতিপাদনের নিমিত্ত এই উপনিষৎ বেদান্ত ভাগ আরব্ধ হইয়াছে । এস্থলে উপনিষৎশব্দ লক্ষণাবলে বেদান্তে প্রযুক্ত হইয়াছে । সদেরুপনি পূৰ্ব্বস্য ক্কিপি চোপনিসৎ ভবেৎ । মনদীকরণভা বাচচ গভাদেঃ শাতনাত্তথা । ভাল, তবে উপনিষৎ শব্দের মুখ্য অর্থ কি ? এই প্রশ্নে ব্রহ্ম-বিদ্যাতে উহার শব্দবল প্রদর্শন পূর্বক উহার ব্যুৎপত্তিলভ্য অর্থ-বলেও কেবল ব্রহ্ম-বিদ্যাই যে মোক্ষহেতু তাহার সূচনা করিতেছেন। উপ ও নি এই দুই উপসর্গ-যোগে সদ ধাতুর উত্তর কিপ প্রত্যয়ে উপনিষৎ সিদ্ধ হইয়াছে । কিন্তু ইহাতে বিশরণ, গতি ও অবসাদন এই তিনটী ধাত্বর্থ আছে। যাহারা মন্দবুদ্ধি তাহাদিগের জন্ম ও জরাদি শিথিল করিয়া দেয় এই জন্য উপনিষৎ ;—ইহ। বিশরণ অর্থে প্রযুক্ত। জিজ্ঞাষ্ট্রর উপ অর্থাৎ