পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (ত্রয়োদশ কল্প প্রথম খণ্ড).pdf/৩৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ه دار RRy করিয়া এক্ষণে বেদোক্ত জ্ঞানেরই প্রাবল্য প্রদর্শিত হইতেছে। দেহেন্দ্রিয়াদি অনাত্মাতে যে আত্মবুদ্ধি তাহাকে অহংধী অর্থাৎ অহঙ্কার বলা যায়। সেই অহংধী অহংকৰ্ত্তার ইদং অংশ হইতে অর্থাৎ পূর্ব পূর্ব অহঙ্কারের বাসনা-কবলিত অন্তঃকরণ রূপ ইদং আত্মা হইতে উত্থিত, অধ্যাসাজুক। অহংধীর স্বরূপত এইরূপ দৌৰ্ব্বল্য প্রদর্শন পূর্বক এক্ষণে বিষয়ভেদ বশতও তাহাই প্রদর্শিত হইতেছে । যাহা স্বতঃসত্তাহীন অথচ প্রত্যক্ষ-ব্যবহার-গোচর তাহাই বাচারম্ভণ । স্পষ্ট কথায় যাহা মিথ্যা জড় ও অনাত্মরূপ তাহ বাচারম্ভণ । এই বাচারম্ভণই ইদ:ধীর গোচর বা বিষয়। যখন এইরূপ হইতেছে এই হেতু অর্থাৎ ‘নেতি নেতি’ শাস্ত্র দ্বারা নিষিদ্ধ যে আত্মা তদুখিত এই হেতু আত্মযাথার্থ্য জ্ঞানের পর সেই ইদংধী আর কিছুতেই প্রমাণ হইতে পারে না । কারণ স্বপ্নাবস্থা-বিশেষজাত জ্ঞানের ন্যায় ইহা অবস্তু,অবস্তুজাত ও অবস্তু-বিষয়ক । অতএব বেদোক্ত জ্ঞানই প্রবল, অন্য নহে ইহাই সিদ্ধান্ত । ক্রমশঃ । প্রভাত চিন্ত । ঈশ্বরের আহবান শ্রবণ কর । বিশ্বনিয়ন্তা পরমেশ্বর প্রতিদিন প্রভাতকালে র্তাহার স্বষ্টিকে জাগ্রৎ করিয়া তাহার মঙ্গল কার্য্যে কেমন নিয়োজিত করেন । তাহার আদেশে কনকময়ী উষা গাঢ় অনুরাগভরে মহোল্লাসে তাহার প্রেমকরুণাভা দিগন্তে বিস্তার করিয়া নব দিবসের সূচনা করে । জগৎপ্রাণ সমীরণ র্তাহার প্রীতি-সুধা বহন করিয়া মধুর মধুরতর রূপে প্রবাহিত হয়। বিহঙ্গকুল শশ প্রভাত চিন্ত৷ হইতে বলিতেছেন না ? \06. шао ব্যস্তে স্ব স্ব আহারান্বেষণাদি কার্য্যে প্রবৃত্ত হয় ও তৎসঙ্গে সঙ্গে প্রাণদাতার প্রতি নির্ভর-সূচক আনন্দ কোলাহল ব্যক্ত করিয়া ভক্তের প্রাণ মন হরণ করে । এ সময়ে প্রত্যেক বৃক্ষ লতা—তাহাদিগের প্রত্যেক পত্র পুষ্প ও ফল—বায়ু ও সূর্য্যালোকের সহিত মিলিত হইয়া স্ব স্ব জীবন ধারণের প্রয়োজন অবগত হইয়া যেন তাহার সিদ্ধির নিমিত্তে তৎপর থাকে। সূৰ্য্য দিষ্মগুল প্রকাশিত করিয়। উদ্যম ও স্ফর্তি সহকারে রেখামাত্র অতিক্রম না করিয়া স্বীয় অন্টার নির্দিষ্ট পথে ধাবমান হইতে থাকে। এ সময়ে হে মানব ! তুমি কি জাগ্রৎ হইয়া আপনার কার্য্য কি তাছ। প্রণিধান করিবে না ? যিনি প্রত্যেক পুষ্পকে যেন নাম * ধরিয়া ডাকিয়৷ তাহার সুবাস ও সৌন্দৰ্য্য বিকীরণ দ্বারা স্বীয় স্বীয় জন্মের সফলতা সম্পাদন করিতে বলিতেছেন, তিনি কি তোমার অমরাত্মার উচ্চ ভাব ও নিয়তির প্রতি লক্ষ্য করিয়া তোমাকে অদ্য জীবনপথে অগ্রসর বৃক্ষ সকল পৃথিলী হইতে রসাকর্ষণ দ্বারা জীবন ধারণ করিলেও যেমন তাহারা উন্নতি ও পুষ্টিবৰ্দ্ধন জন্য সূৰ্য্যরশ্মি ও বৃষ্টিবিন্দুর প্রত্যাশায় উৰ্দ্ধমুখে প্রতীক্ষা করে, সেইরূপ তুমি সংসারে নিবদ্ধ থাকিয়া সংসারের কার্য্যে রত থাকিয়াও প্রেমসূর্য্য ও করুণাঘন প্ৰাণেশ্বরের দিকে তাকাইয়া তাহার প্রিয় কার্য্য বলিয়া সংসারকার্য্যে প্রবৃত্ত হও । তিনি অমৃত কিরণ দ্বার: তোমার হৃদয়ের প্রতিপুষ্প প্রস্ফুটিত করবেন, ও কৃপাবার বর্ষণপূর্বক তোমাকে শান্তি স্থধাতে আপ্লা • “একে একে নাম ধরে ডাকিছেন বুঝি প্রভু – একে একে ফুলগুলি তাই ফুঠি উঠিছে বলে ।” করির গান ।