পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (ত্রয়োদশ কল্প প্রথম খণ্ড).pdf/৪৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

38 তত্ত্ববোধিনী পত্রিক se कन्न, ४ छ?ण -ms---msm-moor" একটা বলবতী ধৰ্ম্মজিজ্ঞাসা আছে, তাহার প্রত্যক্ষ পরিচয় দিয়াছেন এবং আপনার জীবনকে ধৰ্ম্মজীবনে পরিণত করিবার ভাবও সুন্দররাপে প্রকাশ করিয়াছেন। কিন্তু তথাপি তিনি মনুষ্য ; তাহাকে সহস্রবার আদর্শরূপে চক্ষের সম্মুখে স্থাপন করিলেও পূর্ণ আদর্শ করিতে পারি না । তিনি যখন সংসারের চারিপাশ্বে দুঃখরাশি বিপদরাশি দেখিয়া আপনার ধৰ্ম্মপিপাসা নিবৃত্তি করিবার জন্য স্বীয় পিতামাতা, নববিবাহিতা স্ত্রী ও নবজাত শিশুকে পরিত্যাগ করিলেন, তাহার সেই অবস্থা স্মরণ করিয়া আমরা মুগ্ধ হইয়। যাই বটে, কিন্তু ইহা অাদর্শ বলিয়া মনে করিতে পারি না । তামোদিগের আদর্শ তিনিই, “যিনি অতি ধীর গম্ভীর, আপনে আপনি স্থির”; যিনি সমুদয় হইতে নির্লিপ্ত ভাবে থাকিয়াও একটা সামান্য কীটামুকীটের পর্য্যন্ত অtহার প্রদান করিতে ভুলেন না । বুদ্ধদেব সম্বন্ধে যাহা বলিলাম, আমা দের আরো নিকটবৰ্ত্তী চৈতন্যদেব সম্বন্ধেও । তাহা ছাড়া | তাহাই বলা যাইতে পারে। চৈতন্য সম্বন্ধে আরো বেশী একটু বলা যাইতে পারে যে, তিনি যেমন ঈশ্বরের প্রতি প্রীতি ভক্তি বিষয়ে অগ্রসর হইতে পারিয়াছিলেন, ঈশ্বরের প্রিয়কাৰ্য্য অনুষ্ঠান বিষয়ে ততটা অগ্রসর হইতে পারেন নাই। কৰ্ম্মের দিকে র্তাহার মন ততটা আগ্রহের সহিত ধাবিত হয় নাই ; তাই তাহার ঈশ্বরের উপাসনা সম্বন্ধে অসম্পূর্ণত রহিয়৷ গেল। আমরা চৈতন্যকে একেবারে কোন দেবতা কিম্বা কোন অভ্রান্ত গুরু বলিয়া গ্রহণ করিতে পারি না । আমরা অবশ্য র্তাহার বিশ্বজনীন প্রেমকে আদর্শ করিতে পারি বটে কিন্তু তাহার দোষ গুলিকেও গুণ বলিয়া গ্রহণ করিতে প্রস্তুত নহি । আমাদের আদর্শ তিনিই, যিনি কেবল মাত্র “রসোবৈ” নহেন কিন্তু আবার “ভয়াদ যস্যাগ্নিস্তপতি ভয়াত্তপতি স্বৰ্য্যঃ। ভয়াদিন্দ্রশ বায়ুশ্চ মৃত্যুধাবতি পঞ্চমঃ ॥” যাহার ভয়ে, র্যাহার শাসনে সূৰ্য্য উভাপ দিতেছে, অগ্নি প্রজ্বলিত হইতেছে, যাহার শাসনে মেঘ, বায়ু এবং মৃত্যু অবধি সকলেই স্বীয় স্বীয় কাৰ্য্য সম্পন্ন করিতেছে ; তিনিই আমাদিগের অভ্রান্ত গুরু, তিনিই আমাদের দেবতা । তবে মনুষ্যকে আদর্শ করিয়া কি ফল? ঈশ্বরই আমাদের প্রকৃত আদর্শ; কিন্তু কখন কখন মনুষ্য-শ্রেষ্ঠদিগকে আদর্শ করিয়া সেই পূর্ণ আদর্শের নিকটবর্তী হইবার উপায় অবগত হই মাত্র । দেখিলাম যে নানক এক উপায়ে আপনাকে ধৰ্ম্ম পথে ঈশ্বরের পথে আনিয়াছেন ; আমরাও চেষ্টা ক রিলে সেই উপায় গুলির অনেক উপায়ই আপনাদের লক্ষ্য সাধনে প্রয়োগ করিতে পারি। দেখিলাম যে রামমোহন রায় ঈশ্বরের প্রিয়কাৰ্য্য সাধন করিবার জন্য নিজের জীবন উৎসর্গ করিলেন । ইহা দেখিয়া আমরাও সাহস পাইলাম যে ঈশ্বরের প্রীতিকামনায়, ধৰ্ম্মের জন্য একজন মনুষ্য – আমাদিগেরই মতন একজন মনুষ্য, আপনার সর্ববস্ব ত্যাগ করিতে পারে । তখন তিনি যে যে উপায়ে এরূপ নিঃস্বার্থ হইতে প্রস্তুত হইয়াছিলেন, আমরা দৃষ্টান্ত বলে বলা হইয়া সেই সেই উপায় গুলি, সম্পূর্ণ সক্ষম হই বা না হই, আমাদের লক্ষ্য সাধনে প্রয়োগ করিতে অন্ততঃ চেষ্টা ও করিতে পারি। আমরা যে চেষ্টা করিতে পারি, তাহা নহে ; আমাদের নিতান্ত কর্তব্য এই যে পূর্ণ আদর্শ ঈশ্বরকে নিয়তই নয়নের সম্মুখে ধারণ করিয়া