পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (ত্রয়োদশ কল্প প্রথম খণ্ড).pdf/৪৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

دى د ۶اد er{fgه চৈতন্য ও র্তাহার শিষ্যগণ 26. ঋষিতুল্য মহাজনগণের প্রদর্শিত পথে চলিতে চেষ্টা করি। সে দিন—সে শুভদিন কবে আসিবে, যে দিন আমরা প্রত্যেকে সেই মঙ্গলময়ের নির্দিষ্ট পথে চলিয়া ক্রমে র্তাহারই সন্নিহিত হইতে থাকিব। এখন যদি বুঝিলাম যে সেই দয়াময় ভিন্ন আর আমাদের গতি নাই, তবে আর যেন বৃথা কালহরণ না করি । ধৰ্ম্মবিষয়ে কালহরণ করা কোন ক্রমেই কৰ্ত্তব্য নহে । “গৃহীত ইব কেশেযু মৃত্যুনা ধৰ্ম্মমাচরেং।” সৰ্ব্বদাই যেন মনে করিয়া থাকি যে মৃত্যু নিকটেই দণ্ডায়মান আছে। তাই বলি যে, আমরা এতদিন যদি বৃথা কাল নষ্ট করিয়া ঈশ্বরের পথে ধৰ্ম্মের পথে চলিতে চেষ্টা না-ও করিয়া থাকি, তবে আজ যেন দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হই যে ঈশ্বরকেই আদর্শরূপে রক্ষা করিয়া তঁহারই আদিষ্ট পথে চলিতে থাকিব ; আজ যেন আমরা প্রত্যেকে মনে মনে প্রতিজ্ঞা করি যে ঈশ্বর ব্যতীত আর কাহাকেও পূজা অৰ্পণ করিব না । হে করুণাময় পরমেশ্বর ! তোমার শাসনে সূৰ্য্য চন্দ্র, ছ্যলোক ভূলোক, বিরোধে শূন্যে বিষ্কৃত হইয়। স্থিতি করিতেছে ; তোমার শাসনে দিন, রাত্রি, পক্ষ, মাস, ঋতু, সম্বৎসর সকলেই স্বীয় স্বীয় কৰ্ম্ম সম্পাদন করিতেছে । এই সকলে যেমন তোমার অতুলনীয় শক্তির প্রভাব অবগত হইতেছি, তেমনি তোমার অনুপম স্নেহও আমরা প্রতিমুহূর্তে অনুভব করিতেছি । তোমারি প্রসাদে পূর্বপশ্চিমবাহিনী নদী সকল ধরণীকে শস্যশ্যামলা করিতেছে, সেই শস্যের দ্বারা আমরা জীবন ধারণ করিতেছি । তোমারি প্রসাদে আমরা o - - - পিতা মাতার স্নেহ যত্নে লালিত পালিত হইয়াছি ; তীেমারি প্রসাদে স্ত্রী পুত্র ভাই ভগিনী প্রভৃতি সকলের সুকোমল প্রেমভাব নিত্য নূতন ভাবে অনুভব করিতেছি। তোমা হইতে এ সকল জীবনের সুখ শান্তি লাভ করিয়াও তোমাকে কৃতজ্ঞতার সহিত স্মরণ করিব না তো আর কাহাকে করিব ? “মাহং ব্রহ্ম নিরাকুৰ্য্যাং মামা ব্ৰহ্ম নিরা করে। দনিরাকবণমস্ত অনিবাকরণং সেইস্ত।” হে পরমাত্মন, তুমি আমাদিগকে পরিত্যাগ কর নাই, আমরা যেন তোমাকে পরিত্যাগ না করি ; তুমি সৰ্ব্বদা অপরিত্যক্ত থাক, তুমি আমাদিগের কর্তৃক সৰ্ব্বদা অপরিত্যক্ত থাক। আমরা দুর্বল ভ্রান্ত জীব ; তুমিই আমাদিগকে শুভবুদ্ধি প্রদান কর ।

  • ঔ একমেবাদ্বিতীয়ং ।

চৈতন্য ও তাহার শিষ্যগণ । সনাতন গোস্বামী ও সু বুদ্ধি রায় । সনাতন বিনয় বচনে চৈতন্যচরণে নিবেদন করিলেন, প্রভু, আমাকে বৈষ্ণব স্মৃতি প্রচার করিতে আদেশ করিলেন, কিন্তু আমি আচারভ্রষ্ট হীন জাতি, সদাচার কিছুই জানি না, আমার দ্বারা কখনই ইহা সম্পন্ন হইবে না। আপনি এবিষয়ে উপদেশ দিয়া কৃতাৰ্থ করুন। চৈতন্য বলিলেন, সনাতন, ভগবানের কৃপাতে তোমার অন্তরে সমুদায় তত্ত্ব প্রকাশিত হইবে। তথাপি সংক্ষেপে কিছু বলিতেছি। প্রথমতঃ গুরু-আশ্ৰয়, গুরুলক্ষণ, শিষ্যলক্ষণ, গুরু শিষ্যের পরীক্ষা, মন্ত্রের বিচার, মন্ত্রের অধিকারী নির্ণয় ও দীক্ষা বিষয়ে লিখিবে । তৎপরে প্রাতঃকৃত্য শোচ আচমন চন্দন