পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (ত্রয়োদশ কল্প প্রথম খণ্ড).pdf/৫১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

rাষ.ঢ় ১৮১৩ চৈতন্য ও তাহার শিষ্যগণ 8 SMSMAAA AAAS SSAAA SS SSS SSS SMMMS SSSSSAAAAAAS S আজ্ঞা হয় চলি আমি শ্রীচরণ সহ । " সছিতে নারিব আমি তোমার বিরহ ॥ প্রভূ কহে আগে যাঞা দেখ বৃন্দাবন । পাছে নীলাচলে মোর পাবে দরশন ॥ বচযত্নে সনাতনে মথুরা পাঠাঞী। নীলাচল যাত্র কৈলা আনন্দিত হএ ॥” চৈতন্য চন্দ্রোদয় নাটক নবম অঙ্ক। গৌরচন্দ্র রজনীযোগে নীলাচল উদেশে বহির্গত হইলেন । চন্দ্রশেখর লালব্য-তপন মিত্র প্রভৃতি পাচজন শিষ্য তাহার অনুসরণ করিয়া কিয়দর গমন করিলে, তিনি সকলকে স্নেহুবচনে প্রবোধ দিয়া প্রতিনিবৃত্ত করিয়৷ বলিলেন, তামি বারি খণ্ডের আরণ্য পথে একাকী গমন করিব । যার ইচ্ছা হয়,ইহার পর আসি ও । তদনন্তর সনাতন রাজপথ ধরিয়া বৃন্দাবন অভিমুখে প্রস্থান করিলেন । এদিকে সনাতনের অনুসন্ধানর্থ রূপ ও বল্লভ বৃন্দাবন হইতে গঙ্গাপথে কাশী যাত্রা করিয়া ছেন, সুতরাং পরম্পর সাক্ষাৎ হইল না । সনাতন মধুরীতে উপনীত হইলে ধ্রুবঘাটে স্তবুদ্ধি রায়ের সহিত তাহার পরিচয় হইল । স্তবুদ্ধি রায় পরম সমাদরে সনাতনকে গ্রহণ করিলেন । এখানে সুবুদ্ধি রায়ের বিষয়ে কিছু বলা যাইতেছে। এই সুবুদ্ধি রায় পূৰ্ব্বে গৌড়ের রাজা ছিলেন । সেই সময়ে সৈয়দ হুসেন সাহা তাহার কৰ্ম্মচারী ছিলেন। দীঘিকা খনন কার্য্যে সৈয়দ হুসেনের কোন অপরাধ পাইয়া সুবুদ্ধি তাহাকে কশাঘাত করিয়াছিলেন। পরে হুসেন সাহা গোড়ের রাজা হয়েন। হুসেন রাজপদে অধিষ্ঠিত হইয়াও পুরাতন প্রভুর প্রতি যথোচিত সম্মান প্রদর্শন করিতেন ; কিন্তু তদীয় ক্ষুদ্রহৃদয় স্ত্রী স্বামীর প্রতি স্ববুদ্ধি রায়ের কশাঘাত বিস্মৃত হয়েন নাই। অঙ্গের আঘাতচিহ্ন দেখাইয়। উক্ত নারী স্ববুদ্ধির প্রাণদণ্ডেরু নিমিত্ত স্বামীকে প্ররোচিত । করিতে লাগিল। হুসেন কিছুতেই স্বীকৃত না হওয়াতে ফেই নারী বলিল তবে উহার জাতি মারিয়া দাও । হুসেন বলিলেন,জাতি নষ্ট হইলে রায় বঁচিবেন না । শেষে স্ত্রীর বিশেষ অনুরোধে হুসেন স্ববুদ্ধি রায়ের মুখে জল ছিটাইয়া দিলেন । জাতিভ্রষ্ট সুবুদ্ধি রায় বিষয় বিভব পরিত্যাগ করত বারাণসীতীর্থে উপনীত হইয়া তত্রত্য ^{{ণ্ডতদিগের নিকট প্রায়শ্চিত্ত বিধান জিজ্ঞাসা করিলেন। শাস্ত্ৰদশী ব্রাহ্মণ পণ্ডিতেরা এই গুরুতর (?) পাপের প্রায়শ্চিত্ত স্বরূপ তপ্ত য়ুত ভক্ষণ করিয়া প্রাণত্যাগ করিতে ব্যবস্থা দিলেন। শুক কৰ্ম্মকাণ্ড অtশ্রয়ী পণ্ডিতদিগের উপদেশে ঘুত ভক্ষণে আত্মহত্যা করা হুবুদ্ধি রায় সঙ্গত মনে করিলেন না। এই সময়ে বারাণসীতে চৈতন্যচন্দ্র বাস করিতেছিলেন। ":"ञछीज़ ভক্তিপ্রসঙ্গ ও প্রেমবিগলিত হরিনাম সংকীৰ্ত্তনের প্রবল প্লাবনে কাশীর ন্যায় নীরস স্থানও সরসভাব ধারণ করিয়াছিল । স্ববুদ্ধি রায় শ্রীচৈতন্যের বিষয় অবগত হইয়া তাহার নিকটে উপস্থিত হইলেন এবং আদ্যোপান্ত সমুদায় বৃত্তান্ত নিবেদন করিলেন । চৈতন্য বলিলেন, হ’হা হইতে যাহ বৃন্দাবন। নিরন্তর কর কৃষ্ণ নাম সংকীৰ্ত্তন ॥ এক নামাভাসে তোমার পাপ দোষ যাবে। আর নাম লইতে কৃষ্ণচরণ পাইবে ॥ আর কৃষ্ণ নাম লৈতে কৃষ্ণ স্থানে স্থিতি । মহাপাতকের হয় এই প্রায়শ্চিত্তি ॥” চৈতন্য চরিতামৃত মধ্য খণ্ড । হে রায় ! তুমি শ্ৰীবৃন্দাবনে গিয়া নিরন্তর হরিনাম সংকীৰ্ত্তন কর। একনামে তোমার পাপদোষ নষ্ট হইবে, দ্বিতীয় নামে হরিচরণারবিন্দ লাভ করিবে, এবং তৃতীয় নামে কৃষ্ণসহবাসে স্থান পাইবে, ইহাই মহাপাতকের প্রায়শ্চিত্ত বিধি । उछाड