পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (ত্রয়োদশ কল্প প্রথম খণ্ড).pdf/৫৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ها و باد ق۲۹ পৌরাণিক উপাখ্যান 8) পৌরাণিক উপাখ্যান। মহাত্মা পাণ্ডবগণ কোন সময়ে বিপ্ৰবর্গে পরিবৃত হইয়া কাম্যবনে উপবিষ্ট আছেন, এমন সময়ে শ্ৰীকৃষ্ণমহিষী সত্ৰাজিৎরাজকুমারী সত্যভামা পাণ্ডবদিগের আশ্রমে প্রবেশ করিয়া প্রেমপ্রফুল্লহৃদয়ে পাণ্ডবকুললক্ষী দ্রৌপদীর সহিত বিবিধ বিচিত্ৰ কথা প্রসঙ্গে স্থখাসীন হইলেন । অনন্তর সত্যভামা প্রিয়বাদিনী যাজ্ঞসেনীকে নির্জনে জিজ্ঞাসা করিলেন, হে দ্রৌপদি ! তুমি কি প্রকার প্রিয় ব্যবহার দ্বারা লোকপালসদৃশ বিচিত্ৰবীৰ্য্যশালী মহামতি পাণ্ডবগণকে বশীভূত করিয়া রাখিয়াছ ? হে শোভনে ! পাণ্ডুনন্দনের প্রতি কখন ক্রোধ প্রকাশ করেন না, সুমিষ্ট প্রিয় বাক্যে সততই তোমার সন্তোষ বিধান করেন, সৰ্ব্বদা তোমার বশংবদ ও মুখাপেক্ষী হইয়া থাকেন, ইহার কারণ কি ? তুমি কি কোনপ্রকার ব্ৰতচৰ্য্যা তপস্যা অথবা হোম যাগ মন্ত্রেীযধ দ্বারা তাহাদিগকে এতাদৃশ বশ তাপন্ন করিয়াছ ? হে সখি ! যাহাতে কৃষ্ণ অামার একান্ত অনুরাগিণী হন, তুমি এরূপ উপায় নির্দেশ করিয়া আমাকে সুখী কর । মহাভাগা দেবী দ্রৌপদী বলিলেন, সত্যভামে ! তুমি আমাকে নিন্দিত অসাধী স্ত্রীগণের আচরণ কেন জিজ্ঞাসা করিতেছ ? তুমি বুদ্ধিমতী ও কৃষ্ণের প্রিয়মহিষী হইয়া ঈদৃশ প্রশ্ন করিতেছ ইহাই আশ্চর্য্য ! ইতর স্ত্রীলোকেরাই মন্ত্রেীষধ প্রয়োগ করিয়া স্বামীকে বশীভূত করিতে ইচ্ছা করিয়া থাকে। স্বামী, ভাৰ্য্যার এই ঘৃণিত অভিপ্রায় অবগত হইবামাত্র গৃহস্থিত সপের ন্যায় ভাৰ্য্যা হইতে অতিমাত্র উদ্বিগ্ন হইয় উঠেন । তোমার । --ബ്-= যেহেতু মন্ত্ৰকৰ্ম্মপরায়ণ স্ত্রীগণ মন্ত্রপ্রবাদে বিশ্বাস করিয়া স্বামীর প্রতি বিষপ্রয়োগেও কিছুমাত্র শঙ্কিত হয় না। শক্রগণ এই সুযোগে শক্রতা সাধন করিবার অবসর প্রাপ্ত হয়। পাপ স্বভাবা মন্দভাগিনী পত্নীদিগের এই দুর্ব্যবহারে পুরুষের নান৷ প্রকার রোগযুক্ত হইয়া বিনষ্ট হইয়। থাকে | হে সত্যভামে ! মন্ত্ৰকৰ্ম্ম দ্বার স্বামী কখন বশীভূত হন না। সুশীলত। ও প্রিয় আচরণ দ্বারা স্বামীর হৃদয় অধিকার করা যায় । আমি, পাণ্ডবগণের প্রতি যেরূপ আচরণ করি তৎসমুদায় তোমাকে বলিতেছি শ্রবণ কর । অামি কাম ক্রোধ অহঙ্কার বর্জন করিয়া সৰ্ব্বদা প্রফুল্লমনে যত্বপূর্বক পাণ্ডবগণের পরিচর্য্যা করি যা থাকি । আমি চিত্তকে সংযত করিয়৷ দপ ও ঈর্ষ। শূন্য হইয়। নিয়তই স্বামীগণের শুশ্রীম। করি। আমি কখন অশ্লীল বাক্য উচ্চারণ করি না। কুৎসিত স্থানে অবস্থান কি কুৎসিত ভাবে উপবেশন ও গমন আমি সৰ্ব্বথা ঘৃণা করিয়া থাকি। দেব মনুষ্য গন্ধৰ্ব্ব ধনবান রূপবান মহাসৌন্দর্য্যশালা অলঙ্কত যিনিই হউন, স্বামীগণ ব্যতীত আমি অন্য পুরুষকে কখন অভিলাষ করি না । স্বামীগণ অস্নাত অভুক্ত ও অস্থপ্ত থাকিতে আমি কখন স্নান ভোজন ও শয়ন করি না । স্বামী কোন স্থান হইতে গৃহে আগমন করিবামাত্র আমি প্রত্যুদগমন পূর্বক আসম ও জল প্রদান করিয়া তাহার অভিনন্দন করি । আমি গৃহ এবং গৃহসজ্জা ও ভোজ্য দ্রব্য সকল পরিষ্কৃত করিয়া রাখি, ধনধান্যাদি যত্ন পূর্বক রক্ষা করি। নিয়ত আলস্য ত্যাগ করিয়া স্বামীর অনুকূল আচরণ করি । আমি দুঃশীল স্ত্রীগণের কখন অনুসরণ s. ** 3