পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (ত্রয়োদশ কল্প প্রথম খণ্ড).pdf/৭০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

აეა) পূৰ্ব্বে ব্রাহ্মধৰ্ম্ম প্রচারের একটা অন্তরায়ের কথা বলিয়াছি তাহ ব্রাহ্মগণের স্বীয় কর্তব্য কৰ্ম্মে অবহেলা প্রদর্শন । এইবারে আর একটা অন্তরায়ের কথা বলিব— তাহা এই যে, অনেক ব্রাহ্ম ব্রাহ্মধৰ্ম্মের স্বাধীনতার প্রকৃত অর্থ বুঝেন না । স্বেচ্ছাচারিতা কখনও স্বাধীনতা নামের যোগ্য হইতে পারে না । স্বাধীনতার অর্থ আপনার অধীনতা, যেটা ভাল সেইটা করিতে সক্ষম হওয়া এবং যেটা মন্দ সেইটী ত্যাগ করিতে সক্ষম হওয়া । কিন্তু ভালমন্দের অবিচারে ব্যবহার করাই স্বাধীনতার অপব্যবহার। প্রকৃত ধৰ্ম্মবুদ্ধি যে বিষয়ে উপদেশ প্রদান করে, সেই বিষয়ই আমাদের প্রতিপাল্য এবং তাহাতেই আমাদিগের স্বাধীনতা । ব্যক্তিগত মত সময়ে সময়ে ধৰ্ম্মবুদ্ধির বিরোধীও হইতে পারে। এই ব্যক্তিগত মত ও প্রকৃত ধৰ্ম্মবুদ্ধি এক ও অভিন্ন ভাবে সময়ে সময়ে চিন্তিত হয় বলিয়া স্বাধীনতার অর্থ বিপরীত হইয়া পড়ে এবং সঙ্গে সঙ্গে স্বাধীনতার অপব্যবহার ঘটে । আবার আরও দেখিতে হইবে এই যে, কতকগুলি কৰ্ত্তব্য কৰ্ম্ম আছে বলিয়া যে সকলগুলিই একই সময়ে করিতে হইবে, তাহার কোন অর্থ নাই । সত্য দুই প্রকার, এক নির্বিশেষ সত্য, আর এক বিশেষ সত্য | মাধ্যাকর্ষণের বলে সকল বস্তুই পড়িয়া যায়, এই একটা নিৰ্ব্বিশেষ সত্য ; কিন্তু এটা পড়িতেছে, কি ওটা পড়িতেছে, কি কোন বিরোধী বলের দ্বারা রক্ষিত হওয়াতে এই , বস্তুট পড়িতেছে না—এই সকল হইল বিশেষ বিশেষ সত্য। কর্তব্যও সেইরূপ দুইপ্রকার, এক নির্বিশেষ কর্তব্য, আর এক বিশেষ বিশেষ কর্তব্য । শরীর অ তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা

= = = == == اے جیسی میے- =-

०७कत्र, * खां সুস্থ হইলে গুরুপাক দ্রব্য আহার নিষেধ, এইট হইল অসুস্থ শরীরের পক্ষে নিৰ্ব্বিশেষ কৰ্ত্তব্য ; কিন্তু এই জিনিসটা খাওয়া উচিত, কি ওই জিনিসটা খাওয়া উচিত— এইগুলি তাহার বিশেষ কর্তব্য । অামাদিগের ব্রাহ্মসমাজেরও কর্তব্য দুই প্রকার । ঈশ্বরের উপাসনা—ঈশ্বরবোধে অন্য কোন স্বস্ট বস্তুর আরাধনা না করা— কোন গৃহকৰ্ম্মে, কোন অনুষ্ঠানে, ঈশ্বর ব্যতীত অন্য কোন স্বস্ট বস্তুর আশ্রয় গ্রহণ না করা, সত্যকথা বলা প্রভৃতি ব্রাহ্মসমাজের নির্বিশেষ কৰ্ত্তব্য কৰ্ম্ম, অর্থাৎ এই কৰ্ম্মগুলি ব্রাহ্মমাত্রেরই সকল অবস্থায়, সকল দেশে এবং সকল কালে করা কর্তব্য । আর সমাজসংস্কার, রাজনীতি সংস্কার, এইরূপ কতকগুলি কৰ্ম্ম দ্বিতীয় শ্রেণীর কর্তব্য কৰ্ম্ম । এইগুলি সাধন করিবার সময়ে দেশকাল পাত্ৰাপাত্র বিবেচনা পূর্বক করিতে হইবে । প্রত্যেক জাতীয় সমাজই কতকগুলি জাতীয় মঙ্গলজনক বন্ধনে আবদ্ধ থাকে । সেই বন্ধনগুলিকে আমরা যদি রক্তের উষ্ণতা প্রযুক্ত অবিবেচনার সহিত সহসা পরিত্যাগ করিয়া, এদেশের পক্ষে অনুপযোগী হইলেও আপাত রমণীয় বলিয়া বিদেশীয় সমাজ নিয়মের আশ্রয় গ্রহণ করি, তবে তাহাতে আমাদের কেবল মাত্র যে মূখত প্রকাশ পায় তাহ নহে, প্রত্যুত তাহাতে সমাজের ঘোর অনিষ্ট সাধন করা হয়। এই হিন্দু সমাজের মধ্যে যদি এমন কোন নিয়ম থাকে, যাহা এক্ষণেই পরিত্যাগ না করিলে এই মূহুর্ভেই উৎসন্নদশা ঘটিতে পারে, তবে তাহা অবশ্য অবিলম্বেই পরিত্যজা । কিন্তু যদি এমন কোন নিয়ম থাকে, যাহ। এই মুহূর্তে পরিত্যাগ না করিলে সমাজ একে

  • .