পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (ত্রয়োদশ কল্প প্রথম খণ্ড).pdf/৭২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ՏՉԵ যদিও এই পবিত্র ধৰ্ম্ম হস্তামলকের ন্যায় প্রাপ্ত হইয়াও উদাসীন হইয়া রহিয়াছি, তথাপি ঈশ্বরের নিত্য মঙ্গল ইচ্ছার বিরাম নাই। ব্রহ্মজ্ঞান এখন সমস্ত ভারতবর্ষকে পুনরায় সেই পুরাতন কালের ন্যায় আচ্ছন্ন করিয়া ফেলিতেছে । আমরা যদি ও ব্রাহ্ম অনুষ্ঠান বিষয়ে তত উৎসাহের সহিত যোগ দিতেছি না, কিন্তু মফঃস্বলে অনেকগুলি “সনাতন হিন্দুধৰ্ম্ম প্রচারিণী” প্রভৃতি নামধারী সভা অনুষ্ঠানগুলি অপৌত্তলিক ভাবে চালাইতে চেষ্টা করিতেছেন। ধন্য হে পরমেশ্বর, তুমিই ধন্য ; ইহাতে তোমারই অপার করুণা প্রকাশ পাইতেছে । হে পরমাত্মন! তুমি যে কত উপায়ে আমাদিগকে তোমার পথে লইয়া যাইতেছ, আমরা তাছা সকল সময়ে বুঝিতে পারি না । আমরা কত সময়ে জানিয়া শুনিয়াও তোমাকে পরিত্যাগ করিয়া দূরে গমন করি—আমরা মৃত্যুর দিকে অগ্রসর হই ; কিন্তু আবার যেই চেতনা পাহয়৷ অমৃতের পিপাস্থ হইয়া আসি, তখনই তুমি রাশি রাশি অমৃতবারি প্রদান করিয়া আমাদিগের দগ্ধ হৃদয়কে শীতল কর । হে বলদাতা ! অামাদিগের আ তু্যায় এ প্রকার বল দাও যে সকল বাধ৷ অতিক্রম করিয়া আমাদিগের প্রতি কম্মে, প্রতি অনুষ্ঠানে তোমাকেই আহবান ক- | রিতে পারি ; সমাজের ভয়েই হউক, কি পরিবারের ভয়েই হউক, কি সমস্ত জগতের ভয়েই হউক, কোন প্রকার ভয়েই যেন তোমাকে পরিত্যাগ করিয়া, তোমার অবমাননা করিয়া, তোমারি স্বস্ট বস্তু সকলকে তুমি বলিয়া আরাধনা করিতে না হয়—এ প্রকার সাহস দাও, বল দা ও— হৃদয়কে বজ্রের ন্যায় দৃঢ় করিয়া দাও । ওঁ একমেবাদ্বিতীয়ং । তত্ত্ববোধিনী পত্রিক ויזש י שיף eג ঈশ্বরের উপাসনা । ভবানীপুর ব্রাহ্মসমাজের সাম্বৎসরিক উৎসবে আচার্য্যের উপদেশ ) আমরা আপনাকে আপনি জিজ্ঞাসা করিলে আপনা-হইতেই এইরূপ উত্তর পাই যে, পরমাত্মার উপাসনাই আমাদের জীবনের পরম পুরুষাৰ্থ । পরম পুরুষাৰ্থ কাহাকে বলে ? যাহাতে মনুষ্যের সমগ্র আত্মা চরিতার্থ হয় তাহাই মনুষ্যের পরম পুরুষাৰ্থ। কিসে মনুষ্যের সমগ্র আত্মা চরিতার্থ श्श्न ? সুস্বাদু অন্নপানীয় দ্বারা আমাদের ভোগ লালসা চরিতার্থ হইতে পারে, কিন্তু আমাদের আত্মার সহিত সে সকল বস্তুর কি সম্পর্ক ? সম্পর্ক কেবল এইটুকু যে, আমরা নিয়ম-মত অন্নপানীয় সেবন না করিলে আমাদের শরীর রুগ্ন হয় ; শরীর রুগ্ন হইলে মন চঞ্চল হয় ; মন চঞ্চল হইলে ঈশ্বরেতে উপাসকের মন বসে ন৷ এবং তাহার প্রিয় কাৰ্য্য মাধনেও সাধকের হস্তপদ সরে না। ফল কথা এই যে, ভৃত্যবর্গের সাহচৰ্য্য ব্যতিরেকে আত্মা একাকা সংসারের কোনো কাৰ্য্যই নিৰ্ব্বাহ করিতে পারে না । ভূত্য-বগ কাহারা ? না প্রধান অমাত্য মন এবং সেই প্রধান অমাত্যের অধীনস্থ কৰ্ম্মচারী দশ ইন্দ্রিয়—সবশুদ্ধ একাদশ জন। এই একাদশ ভূত্যের জীবিকা-নির্বাহের জন্য অন্ন-পানীয় প্রভৃতি নানাবিধ বহিৰ্ব্বস্তুর আয়োজন-কাৰ্য্য অাত্মার পক্ষে অবশ্য-কৰ্ত্তব্য তাহাতে আর ভুল নাই—কিন্তু ভৃত্যবর্গেরই জীবিকা নির্বাহের জন্য তাহা অবশ্য-কৰ্ত্তব্য, আত্মার নিজের জীবিকা-নির্বাহের জন; নহে। আত্মার জীবিকা-নির্বাহের উপ QA =ണ്ട്-ു.