পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (ত্রয়োদশ কল্প প্রথম খণ্ড).pdf/৭৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

פיגשג "א றககாந b = যশ:স্পৃহা চরিতার্থ হয়, অপৰ্যয়ের অনুলীলনে ভোগপূহ চরিতার্থ হয়। এই সকল পৃথক পৃথক শাখা-বৃত্তির চরিতার্থতা স্বতন্ত্র, আর সমগ্র আত্মার চরিতার্থতা স্বতন্ত্র ;—দুয়ের মধ্যে আকাশ-পাতাল প্রভেদ । সমগ্র আত্মার চরিতার্থতার যদি কোনো পথ থাকে, তবে সে পথ এক কেবল পরমাত্মার উপাসনা—তা ভিন্ন তাহার দ্বিতীয় পথ নাই। পরমাত্মার উপাসনা কি ? না তাহার প্রতি শ্রদ্ধাভক্তি প্রীতি এবং তাহার প্রিয় কার্যা সাধন । শ্রদ্ধাতে ফল কি হয় ? না ধ্রুব নিষ্ঠা এবং অপরাজিত শান্তি ; এক রকমের ক্রীড়া পুত্তলিকা আছে—তাহাকে যেমন করিয়াই আছড়াইয়া ফেল না— কিছুতেই ইবে ; সেইরূপ, ঈশ্বরেতে র্যাহার শ্রদ্ধা অটল তিনি সহস্র আঘাত খাইলেও র্তাহার মাথা হেঁট হয় না ; সংসার-তরঙ্গের অধীর তাড়নায় তাহার মনোনেীক সহস্ৰ এপাশ ওপাশ করিলেও তাহা জল-মগ্ন হয় না— কিয়ৎ পরেই তাহ স্থির-ভাবে সোজা इ३शा मैड़िाञ्च । ভক্তিতে ফল কি হয় ? না আত্মার পরম আরোগ্য—পাপ তাপ হইতে নিস্কৃতি। হৃদয়কে যদি সৰ্ব্বদা সরস পবিত্র এবং নিষ্কলঙ্ক রাখিতে চাও, তবে ভক্তিপূর্ণ হৃদয়ে ঈশ্বরেতে আত্মসমপণ কর, তাহার অমোঘ প্রসাদ-বারিতে তোমার সমস্ত পাপতাপ ধৌত হইয়া যাইবে—হৃদয় সরস নবীন এবং শিশুর ন্যায় অকৃত্রিম হইবে। প্রীতিতে কি ফল হয় ? জীবাত্মা এবং

ঈশ্বরের উপাসনা তাহ ধরাশায়ী হইবে না ; ভূতল স্পর্শ । করিব মাত্রই তাহা মাথা তুলিয়া দাড়া AS প্রীতি একরূপ অলৌকিক অগ্নি, তাহ পরমাত্মার সহিত আত্মাকে গলাইয়া তন্ময়ীভূত করিয়া দেয়। সে অগ্নির কণামাত্র পাইলে জীবের কিছুই আর প্রাপ্তব্য অবশিষ্ট থাকে না । সংসারের সহিত আত্মার যত কিছু সম্বন্ধ—সমস্তই ক্ষণস্থায়ী মনোবৃত্তি-সকলের মধ্যদিয়া ; এ কেবল পরোক্ষ সম্বন্ধ ; ; স্নার সাক্ষীও সম্বন্ধ কেবল পরমাত্মারই সঙ্গে। পরমাত্ম সমগ্র অtত্মাকে পূর্ণ করিয়া আত্মাতে স্বপ্রকাশ এই সত্যটি যখন আমরা অত্বাতে উপলব্ধি করি, তখন এটাও সেই সঙ্গে উপলব্ধি করি যে আত্মা এবং পলমাত্মার মধ্যস্থলে কোনো প্রকার শাখা-মনোবৃত্তির ব্যবধান স্থান পাইতে পারে না । জ্ঞানের এই সত্যটিকে সাক্ষাৎ প্রত্যক্ষরূপে অন্তরে উপলব্ধি করিয়৷ সমগ্র আত্মার সহিত পরমাত্মার সহবাস উপভোগ করাই ঈশ্বরপ্রীতির পরম রমণীয় দেবম্প হনীয় ফল । সাধকের অন্তঃকরণে যদি কোনো প্রকার বাধা বিঘ্ন না থাকে, তবে ঈশ্বরের প্রতি প্রীতি হইতেই ঈশ্বরের প্রিয়কাৰ্য্য-সাধন অনর্গল উচ্ছসিত হইতে থাকে ; নচেৎ ঈশ্বরের প্রিয়কাৰ্য্যসাধন সাধকের সবিশেষ প্রযত্ন-সাপেক্ষ । বাধা বিঘ্ন কি ? না অন্তঃকরণের পশুবৃত্তি—কাম ক্রোধ দ্বেষ হিংসা লোভ মোহ । সাধক কঠোর প্রযত্ন-সহকারে ঈশ্বরের প্রিয় কাৰ্য্য সাধনে রত থাকিলে, ঐ সকল বাধা বিঘ্ন মন হইতে আপনিই সরিয়া পড়িতে থাকে ;—এইরূপ করিয়া মন যখন স্বচ্ছ দর্পণের ন্যায় নিৰ্ম্মল হয়—তখন পরমাত্মার স্বপ্রকাশ জ্যোতি সূৰ্য্য-কিরণের ন্যায় তাহাতে প্রতিবিম্বিত হয় । ঈশ্বরোপাসনার প্রথম ফল সমগ্র অt পরমাত্মার মধ্যে আবরণ-শূন্যতা। ঈশ্বর- | জ্বার চরিতার্থতা-জনিত অনুপম আনন্দ। ம. - க -_2