পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (ত্রয়োদশ কল্প প্রথম খণ্ড).pdf/৯২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

سbسb নৈয়ায়িকদিগের পরিভাষা মাত্র, কথা মাত্র, বস্তুতঃ ঐ সকলের অভিধেয় খ-পুষ্পবৎ। ঐ সকল সৰ্ব্বথা সৰ্ব্ব প্রমাণের অগোচর অর্থাৎ অসিদ্ধ । ফলিতাৰ্থ—জাতি ও উপাধি প্রভৃতি প্রামাণিক নহে ; বাক্‌চাতুর্য্য মাত্র। ঘটোহয়ং—এই ঘট,—ইত্যাকার প্রত্যক্ষ জ্ঞান বা সাক্ষাৎ অনুভব ঘট থাকার ও ঘটত্ব থাকার প্রমাণ সত্য ; কিন্তু সেই ঘটত্ব যে জাতি নামক সৎপদার্থ, তদ্বিষয়ে প্রমাণ নহে। জাতি নিতান্তই অপ্রসিদ্ধ। সে জন্য তাহাতে অনুমান-প্রমাণ ও স্থান প্রাপ্ত হয় না । নৈয়ায়িক যাহাকে জাতি বলেন তাহ। এই—“যাহা নিত্য অথচ বহু সমবেত, তাহাই জাতি।” সমবেত অর্থাৎ সমবায় সম্বন্ধে অবস্থিত। এই যে ন্যায়সম্মত জাতিলক্ষণ, এ লক্ষণ ঘটত্বে নাই । প্রথমতঃ দেখা যায়, সমবায় সম্বন্ধই অসিদ্ধ অর্থাৎ কাল্পনিক কথা মাত্র । , প্রমাণসিদ্ধ নহে। দ্বিতীয়তঃ, বেদান্ত মতে ব্ৰহ্ম ভিন্ন সমুদায় পদার্থ অনিত্য । সুতরাং বেদান্তীর প্রতি নিত্যত্ব সমবেতত্ব ঘটিত জাতিলক্ষণের লক্ষ্য দেখান নিতান্ত দুঃসাধ্য বা সাহস মাত্র । ন্যায় মতের “উপাধি” পরিভাষা ও ঐরূপ জানিবে। নিষ্কর্য । অনুমিতি স্থলে অনুমেয় পদার্থে চক্ষুরাদির সংযোগ না হওয়ায় অন্তঃকরণ অনুমেয় প্রদেশে গমন করে না সুতরাং তৎপ্রদেশে তদাকার বৃত্তি হয় না । তাহা না হওয়ায় অনুমেয়পদার্থবিচ্ছিন্ন চৈতন্য ও অন্তঃকরণ-বৃত্ত্যবচ্ছিন্ন বা প্রমাতৃচৈতন্য এক বা অভিন্ন হইতে পারে না। তাহা না পারাতেই অনুমেয় পদার্থের সত্তা ও প্রমাতার সত্তা পৃথক ভাবে অবস্থিতি করে। এইরূপ পৃথগবস্থানই অনুমেয় পদার্থের পারোক্ষ্য ঘটনার কারণ। তত্ত্ববোধিনী পত্রিক २७ कछ, ७ जीर्ण প্রশ্ন । ধৰ্ম্মাধৰ্ম্ম নিত্য পরোক্ষ। উক্ত উভয় কস্মিন কালে কাহারও প্রত্যক্ষগোচর হয় না। প্রসিদ্ধই আছে, তাহ অনুমান প্রমাণ ব্যতীত অন্য প্রমাণের গোচর নহে। কিন্তু যেরূপ প্রত্যক্ষ-লক্ষণ বর্ণিত হইল, তাহাতে সে সকল পরোক্ষ থাকা অসম্ভব । অনায়াসেই আপত্তি করিতে পারি, উক্ত উভয় প্রত্যক্ষ না হয় কেন ? যে স্থানে অন্তঃকরণ সেই স্থানেই ধৰ্ম্মাধৰ্ম্ম, স্থতরাং ধৰ্ম্মাদি-অবচ্ছিন্ন ও প্রমাতৃ-অবচ্ছিন্ন (অন্তঃকরণবিচ্ছিন্ন) চৈতন্য তৎপ্রদেশে এক বা অভেদ । অপিচ, ধৰ্ম্মাদির সত্তাও প্রমাতৃসত্তার অনতিরিক্ত । ধৰ্ম্মে ইন্দ্রিয়পাত না হইলেও বহিশ্চিহ্ন অনুসারে তদ্বিষয়িণী বৃত্তি অনুমিতির দ্বারা জন্মিতে পারে, বৃত্তি হইলেই ধৰ্ম্মাবচ্ছিন্ন ও তদূৰ্বত্ত্যবচ্ছিন্ন চৈতন্য এক হইয়া যায়, চৈতন্য এক হওয়ায় ধৰ্ম্মাধৰ্ম্মের প্রত্যক্ষত৷ আপত্তি অবশ্য হইতে পারে । প্রত্যুভর। বিষয়াংশে “যোগ্য” বিশেষণ দিতে হইবেক । অর্থাৎ যোগ্য বিষয়ই প্রত্যক্ষ হয় । ধৰ্ম্ম ধৰ্ম্ম স্বতঃ পরোক্ষস্বভাব ; সেই জন্য তাহ প্রত্যক্ষের অযোগ্য বা প্রত্যক্ষ হয় না । যাহা প্রত্যক্ষযোগ্য তাহাই প্রত্যক্ষ হয়, যাহা অযোগ্য তাহ প্রত্যক্ষ হয় না। “রূপী ঘটঃ — এই ঘটট রূপবিশিষ্ট” ইত্যাকার প্রত্যক্ষ জ্ঞান হয়, অথচ তাহার পরিমাণ অপ্রত্যক্ষ থাকে । রূপ ও পরিমাণ একই প্রদেশে একই ঘটে বিরাজিত, রূপাবচ্ছিন্ন চৈতন্য ও পরিমাণবিচ্ছিন্ন চৈতন্যও সেস্থানে অভিন্ন, তদুভয়ের সত্তাও প্রমাতৃসত্তার অনতিরিক্ত, অথচ রূপ প্রত্যক্ষ হয়, পরিমাণ অপ্রত্যক্ষ থাকে। কেন থাকে ? রূপপ্রত্যক্ষের সঙ্গে পরি }, মাণ প্রত্যক্ষ হ গুদাই-ত উচিত ? অথচ