পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (ত্রয়োদশ কল্প প্রথম খণ্ড).pdf/৯৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৯২ তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা ७ कछ, » ठाण গীতার অার একটি প্রধান গৌরবের বিষয় এই যে তিনি বাহ্য জগৎ শরীর ও মনকে ঝাড়িয়া ফেলিয়া এবং অহঙ্কার পরিত্যাগ করিয়া আত্মাকে কেবল পরমাত্মাতে নিমগ্ন করিতে আমাদিগকে উপদেশ দেন । অহংভাব অামাদিগের সকল অনর্থের মূল অহংভাব একেবারে অামাদিগের পরিত্যাগ করা কর্তব্য । যদি আমি ঈশ্বর হইতে ক্ষমতা প্রাপ্ত না হইতাম তবে আমি কি করিতে পারিতাম এইরূপ সৰ্ব্বদা মনে করা কর্তব্য । পাপ ছাড়া আমি যাহা কিছু করিতেছি সকলই সেই ঈশ্বরের অাশ্রয়ে করিতেছি, সকলই ঈশ্বরকে অবলম্বন করিয়া করিতেছি এই ভাব সৰ্ব্বদা আমাদিগের মনে জাগরূক থাকা কর্তব্য । যখন এক মাত্র তার আশ্রয়ে তাহাকে অবলম্বন করিয়া কাজ করিতেছি তখন আমার কিছু মাত্র কর্তৃত্ব নাই । যখন তিনি আছেন তখন আমি কে ? তাহার নিকটে আমি কিছুই নহি । ভক্ত যাহা যাহা কৰ্ম্ম করেন সকলই ঈশ্বরে অপণ করেন । আমি উপরে বলিয়াছি যে পাপ ছাড়া আমি যাহা করিতেছি তাহা ঈশ্বরকে আশ্রয় করিয়া করিতেছি, ঈশ্বরের কর্তৃত্বাধীন করিতেছি । যখন গীতা আমাদিগকে “অকল্মষ’ অর্থাৎ নিষ্পাপ হইতে বলিতেছেন তখন ঈশ্বর পাপকাৰ্য্য অনুমোদন করেন ইহা কখনই গীতার মত হইতে পারে না । যখন বাহ্য জগৎ উঙিয়া গেল, মন উড়িয়া গেল, অহংজ্ঞান উড়িয়া গেল, যখন জ্ঞাত জ্ঞেয় ও জ্ঞান এক হইল তখন ঈশ্বরই সৰ্ব্বেসৰ্ব্ব৷ হইলেন । এইরূপ ভক্তের অস্তিত্ব হরণ র্তাহার প্রতি ভগবানের উচ্চতম কৃপা । ইহাকে গীতা ব্রহ্মনিৰ্ব্বাণ শব্দে আখ্যাত করিয়াছেন । ইহাই যোগের পরাকাষ্ঠ, ইহাই গীতার চরম উপদেশ । ঐরাজনারায়ণ বস্তু । প্রভাত চিন্তা । (গত জ্যৈষ্ঠ মাসের পত্রিকার ৩৬ পৃষ্ঠার পর।) অদ্য ঈশ্বরের আহবান শ্রবণ করিয়া তুমি একান্তে র্তাহার পথের পথিক হও । বিগত জীবনে তুমি যে সকল অপরাধ, ক্ষমতা সত্তে সৎকৰ্ম্ম করণে আলস্য ঔদাস্ত বৃথা কাল হরণ প্রভৃতি শত শত ক্রট করিয়াছ, তজ্জন্য স্মৃতি তোমাকে কণ্টকিত করিতেছে কিন্তু “যার দয়া মুখে বলা নাহি যায়” তিনি অধম তারণ পতিত পাবন, তার নিকট কৃত পাপ জন্য ক্ৰন্দন করিয়া তার পথে প্রত্যাবৃত্ত হও, তিনি এখনি তোমাকে তাহার অভয় ক্রোড়ে স্থান দান করিবেন । অদ্য মনে দৃঢ়রূপে প্রতিজ্ঞ কর যে ঈশ্বরকে নয়নে নয়নে রাখিয়া তাহার প্রীতির জন্য সাংসারিক কাৰ্য্য ও পরসেবায় প্রবৃত্ত থাকিবে । জীবন অনিত্য, অদ্যই তোমার মৃত্যু হইতে পারে অতএব সেই সেই কাৰ্য্য ও সেবা করিবার সময় উহা জীবনের শেষ দিনের কৰ্ম্ম মনে করিয়া প্রেম ও ভক্তি সহকারে সংযত মনে সম্পন্ন করিবে । আদ্য যদি তুমি উপদেশ বাক্য দ্বারা কাহারও চিত্তে ঈশ্বরের প্রতি ভক্তি-বীজ রোপণ করিতে পার, তাহার প্রতি—ধৰ্ম্মের প্রতি অনুরাগ উদ্রিক্ত করিতে পার, যদি কোন ক্ষুধাৰ্ত্তকে অন্ন বা তৃষ্ণাৰ্ত্তকে জল দান করিতে পার তাহা হইলে কি তোমার আদ্যকার জীবন সফল হয় না ? পরম মাত৷ তাহার কোন না কোন সস্তানের উপকার করিলে বলিয়া তোমাকে কি তজ্জন্য আশীৰ্ব্বাদ করিবেন না ? মহৎকার্য্য করিবার শক্তি অনেকেরই জীবনে সংঘটিত হয় না। কবি হইয়। " মনোহর কান্ত পদাবলীসমন্বিত স্বমধুর ভাবাপদেশ প্রদান দ্বারা লোকের মনো- ৷ হরণ করা, তাহাদিগের চিত্তকে , অসার