পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (ত্রয়োদশ কল্প প্রথম খণ্ড).pdf/৯৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

వ8 অদ্য যেন নিয়মিতরূপে ঈশ্বরোপাসনা তাহার ধ্যান ও ধারণীতে নিযুক্ত থাকি, | র্তাহার প্রতি প্রীতি ও ভক্তি রসার্জ চিত্ত হইলে আমরা তাহার আহবান-বাণী শ্রবণ করিতে উৎকর্ণ থাকিব, ও তাহা শ্রবণ করিয়া প্রাণপণে তদনুসরণ করিব। অদ্য যেন অধিকাংশ সময় ঈশ্বরের সহিত যোজিত-চিত্ত হইয়া যাপন করি, যেহেতু র্তাহার সহিত সংযুক্ত হইলে জীবন মধুময় হয়, ও তা হা হইতে বিচ্ছিন্ন হইলে কেবলই বিমাদ ও মোহের ঘনান্ধকার । যেন অদ্য তাহার চরণ ছাড়া না হই । حده يصعييم. তাহার পরিচয় | এই ভয়াবহ সংসারে তাহার মত নির্ভর স্থান আর কিছু নাই । চতুৰ্দ্দিকে যেরূপ শোকসন্তাপ দুঃখ বিপত্তি তাহাতে এক একবার প্রাণ অৰ্দ্ধ-উন্মত্তের ন্যায় হইয়া যায় । সেই তাদ্ধোন্মত্ত অবস্থায় ইহাকে বিশ্বাস করি উহাকে বিশ্বাস করি বিশ্বাসের একটা কোন ঠিক ঠিকানা থাকে না । না থাকাতে সেই বিশ্বাসহীন প্রাণে আমরা মূলহান তরুর ন্যায় ভূতলে পড়িবার উপক্রম করি, এমন সময়ে দিব্যচক্ষে দেখিতে পাই তিনি আমাদের পড়িতে দিতেছেন না, দণ্ডদ্বারা পতনে বাধা দিতেছেন । তখন অামাদের চক্ষু তাহার দিকে চায়, ভক্তিভরে প্রীতিভরে র্তাহার দিকে চাই; যথার্থ অন্তঃকরণের সহিত র্তাহাকে তখন পরমবন্ধুভাবে আলিঙ্গন করিয়া সেই বিশুদ্ধ আলিঙ্গন-জনিত পরমানন্দ উপভোগ করি । উচ্ছসিত হইয়া সেই আনন্দ যাহাকে পাই, দৃষ্টান্তেব দ্বারা, রচনা দ্বারা, কাৰ্য্যকৌশলের দ্বারা বুঝাইতে যাই, দেখি সহজে সে বুঝিয় ওঠে—কেন সে বুঝিবে না ? সেও তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা ०७ कन्न, * ड* মানুষ। তাহার ধ্বনির সহিত আমার ধ্বনি এক হইয়া যায়, মনুষ্যত্বের মধুর মিলন-সঙ্গীত তৎকালে অপূর্ব আকারে রচিত হয় । সে সঙ্গীত তবে আমাদের জীবনের যথার্থ উপাদেয় সামগ্ৰী হয় ; সূর্য্যের ন্যায় দীপ্তিমান হইয়া আমাদের মোহান্ধকার বিনষ্ট করে ; আমরা আলোক লাভ করিয়া জগতের চারিধার দেখিয়া স্বীয় অহঙ্কার দূর করি । অহঙ্কারশূন্য হইয়া বিনীতভাবে পরোপকারে ব্রতা হই, নিঃস্বার্থেই স্বার্থ দেখিতে পাই । প্রবৃত্তির মধ্যে থাকিয়া নিবৃত্তির পরিমল উপভোগে সমর্থ হই । প্রবৃত্তি আমাদের একেবারে দুর্বল করিতে পারে না । এই প্রবৃত্তি ও নিবৃত্তি দুইটী সহোদর ভ্রাতৃসদৃশ । দুই জনের মধ্যে সদ্ভাব থাকা চাই । তাহা হইলেই রক্ষ। আর তাহ। না হইলে ভ্রাতৃবিরোধ উপস্থিত হইলে সংসার ছারখার হইয়া যায়। উভয়ের কোনটাই পৃথক ভাবে সংসার রক্ষা করিতে পারে না । দুইটা দুই মেরুর সমান। একটী উত্তর মেরু এবং আর একটী দক্ষিণ মেরু । উভয়ই হিম-ঘোর জীবন-বিরহিত । সুতরাং আমাদের সংসার রক্ষায় প্রবৃত্তি ও নিবৃত্তির মধ্যপথ আবশ্যক করে । ছয়ের মধ্য পথেই গহস্থ্য ধৰ্ম্ম বিরাজ করে । এই মধ্য পথেই সেই বিষ্ণুর পরমপদ প্রতিষ্ঠিত রহিয়াছে। এই মধ্য পথে সমুদয় স্থিতিলাভ করে। এই মধ্যপথে আমাদের প্রাণমন সকলি আকৃষ্ট করিয়া মাধ্যাকর্ষণজনিত বলপ্রভাবে আমরা যথার্থ উন্নতি লাভে সমর্থ হই, আমাদের তেজ সংযত ংহত ভাব ধারণ করে । তখন ঈশ্বর যেমন জগতে থাকিয়াও আপনার মহিমাতে আপনি প্রতিষ্ঠিত হইয়া নিঃশব্দে জগতের